ঈমানের উছিলায়

হযরত মালেক বিন দিনার (রহঃ) বলেন, একবার বসরা নগরীতে আমি দেখতে পেলাম চারজন লোক একটি জানাজা বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের সাথে অপর কোন সহযাত্রী নেই। এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা বলল, এ ব্যক্তি বড় গুনাহগার ছিল। এ কারণে তাকে দাফন করতে কেউ আসেনি।

হযরত মালেক (রহঃ) বলেন, আমি সে জানাজার সাথে গেলাম এবং নামাযে জানাজা আদায়ের পর কবরে নেমে তাকে দাফন করলাম। অতঃপর তথা হতে ফেরার পথে একটি বৃক্ষের ছায়ায় ঘুমিয়ে পড়লাম। কিছুক্ষণ পর স্বপ্নে দেখলাম,  আকাশ হতে দুজন ফেরেশতা নেমে সেই কবরে অবতরণ  করল। অতঃপর একজন করে কবরে প্রবেশ করে তার সাথীকে বলল, এ মুর্দারের নাম জাহান্নামীদের তালিকাভুক্ত করে নাও। কেননা তার দেহের একটি অঙ্গও গুনাহ ও পাপচার হতে বিরত থাকিনি।

তার সাথীরা বলল, ভাই এত তাড়াহুড়া করো না। তার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখ, সেখানে  কোন নেকীর আলামত পাওয়া যায় কি না। সে বলল, আমি ভাল ভাবেই দেখেছি তার চোখ অপরাধ ও নাফরমানীতে পরিপূর্ণ। সে আবার বলল, তবে তার হাত, পা, নাক, কান ও জবানের দিকে তাকিয়ে দেখ হয়ত সেখানে ইবাদতের কোন চিহ্ন থাকতে পারে। ফেরেশতা জবাব দিল আমি তার সকল অঙ্গ তন্ন তন্ন করে দেখছি, সেখানে নেকীর চিহ্ন মাত্র নেই। বরং তার মাথা হতে পা পর্যন্ত আল্লাহর নাফরমানীতে পরিপূর্ণ।

সে ফেরেশতা আবার বলল, ভাই! তবুও তুমি তাড়াহুড়া কর না। আমাকে কবরে নামিয়ে দাও। অতঃপর সেই ফেরেশতা কবরে নেমে দীর্ঘ সময় অবস্থানের পর বলল, ভাই! আমি তার কলবের উপর নজর দিয়ে দেখেছি, সেখানে ঈমানের অস্তিত্ব অবশিষ্ট আছে। সুতরাং তার নাম জান্নাতীদের তালিকাভুক্ত করে নাও।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।