ইঞ্জিল নয় কদু

এক খ্রিস্টান বক্তা দেওবন্দে আগমন করতে। আমি তখন সে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতাম। এক দিন সে এসে মাদ্রাসার কাছে বক্তৃতা করলো। মহল্লার লোক এবং মাদ্রাসার ছাত্র মিলিত হয়ে বেশ বড় একটা সমাবেশের মত হলো। খ্রিস্টান বক্তা দাঁড়িয়ে হাতে সুন্দর হরফে “ইঞ্জিল” খচিত একটি বই নিয়ে সমবেত লোকদের লক্ষ্য করে জিজ্ঞেস করলো, আপনারা বলুন, আমার হাতে এটা কি?” তার উদ্দেশ্য ছিল এ যে, মুসলমানেরা যদি জবাব দেয় ‘এটা ইঞ্জিল’ তাহলে তাদের এ স্বীকারোক্তি দিয়ে প্রমাণিত হবে যে এটা ইঞ্জিল। আর ইঞ্জিলকে যেহেতু মুসলমানেরা আল্লাহর কিতাব বলে বিশ্বাস করে সুতরাং এ বইয়ের হুকুমকেও তারা মান্য করবে।

কিন্তু মুসলমানদের এরূপ জবাবের দ্বারা বিতর্কের সৃষ্টি হবে। মুসলমানেরা বলবে, ‘এটা ইঞ্জিল হলেও এর হুকুম রহিত (মানসুখ) হয়ে গেছে। আর সে বলবে, ‘না, রহিত হয়নি।’ সুতরাং তার প্রশ্ন ‘এটা কি?’ এর জবাবে ‘ইঞ্জিল বলল একটা স্থায়ী বিতর্কের সৃষ্টি হবে; যা কখনও শেষ হবে না। সুতরাং কেউ কোন জবাব দেয়নি। এমন সময় মাদ্রাসা কমিটির মেম্বার হাকিম মুশতাক আহমদ সেখানে আগমন করলেন। তিনি ছাত্রদের কে বললেন, “সরে যাও, এর জবাব দেওয়া তোমাদের কাজ নয়। আমি জবাব দিচ্ছি।

তিনি বললেন, “তোমার প্রশ্নের জবাব আমি দিব। প্রশ্ন-যা করতে চাও কর।” খ্রিস্টান বক্তা খুব উৎসাহের সাথে সে বইটি হাতে নিয়ে বললো, “বলুন, আমার হাতে এটা কি? তিনি বললেন, “এটা কদু।” খ্রিস্টান বক্তা অসন্তুষ্ট হয়ে বললো, “তুমি বড় বেয়াদব দেখছি। তিনি বললেন, “আমার যা বুঝতে পেরেছি তাই বলেছি। এতে আবার বেয়াদবির কি হলো? অবশ্য যদি ব্যাখ্যা চাও তবে আমরা ব্যাখ্যা দিতে পারি। পরবর্তীত করার পর এটা আর আল্লাহর কিতাব নয় যে বেয়াদবি হবে। কদু যে রূপ আল্লাহর কিতাব নয় এটাও সেরূপ আল্লাহর কিতাব (ইঞ্জিল) নয়। কদু আর এটার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। সুতরাং এটাও একটা কদু। কদুকে কদু বললে কোন বেয়াদবী হয় না।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!