ইসলাম গ্রহণের সময় ইকরিমা বিন আবু জাহল বলেছিলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে তিনি যত যুদ্ধ করেছেন, যত অর্থ খরচ করেছেন, তার দ্বিগুণ তিনি খরচ করবেন ইসলামের জন্য। আমৃত্যু কথাটি মনে রেখেছিলেন ইকরিমা বিন আবু জাহল।
হযরত আবু বকর (রা) এর খিলাফতকালে ভন্ড নবীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু থেকে সেনাপতি ছিলেন ইকরিমা। এ জন্যে গঠিত ১১টি বাহিনীর একটির সেনাপতি ছিলেন তিনি। ইয়ামামা থেকে জর্ডান, জর্ডান থেকে ইয়েমেন — এই বিস্তৃত অঞ্চলে তিনি যুদ্ধে ব্যস্ত ছিলেন। তাঁর বাহিনীর গোটা খরচ তিনি নিজের অর্থ থেকে ব্যয় করেছেন, বায়তুল মাল থেকে তিনি এক পয়সাও নেননি।
ভন্ড নবীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শেষে আমর ইবনুল আসের নেতৃত্বাধীন সিরিয়াগামী বাহিনীতে শামিল হলেন ইকরিমা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) একজন সেনাধ্যক্ষ হিসেবে।
সিরিয়াগামী বাহিনী সমবেত হয়েছে মদীনার উপকন্ঠে। এ বাহিনীর পরিদর্শনে বের হয়েছেন আমীরুল মু’মিনীন হযরত আবু বকর (রা)। এক তাঁবু তার দৃষ্টিগোচর হলো যার চারিদিকে ঘোড়া আর ঘোড়ার মিছিল। আর দেখলেন বর্শা, তরবারি ও অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জামের বিশাল স্তূপ সেখানে।
হযরত আবু বকর (রা) এলেন সে তাঁবুর কাছে। উঁকি দিলেন ভেতরে। দেখতে পেলেন ইকরিমা(রা)-কে। তিনি জানতে পারলেন, এসব ঘোড়া ও সরঞ্জাম ইকরিমা নিজ অর্থে কিনেছেন যুদ্ধের জন্য।
হযরত আবু বকর (রা) ইকরিমাকে সালাম করলেন এবং বললেন, “ইকরামা, তুমি এই যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জামাদি ক্রয়ের জন্য বিপুল অর্থ খরচ করেছ। আমি চাই, এর একটা অংশ বায়তুল মাল থেকে তুমি নাও।”
ইকরামা রাদিয়াল্লাহু আনহু আরজ করলেন, “হে খলিফাতুর রাসূল, আমার নিকট এখনও দু’হাজার দিনার রয়েছে। আমার সম্পদ আমি আল্লাহর রাস্তায় ওয়াকফ করে দিয়েছি। বায়তুল মালের উপর বোঝা আরোপ করা থেকে আমাকে মাফ করুন।”
হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন। দু’হাত তুলে তিনি দু’আ করলেন ইকরিমার জন্য।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।