
এক ইঁদুর চলছিল বড় রাস্তা ধরে। পথে পড়ল এক বিরাট হাতি। হাতির পিঠে রাজকীয় হাওদায় আসীন তার মালিক মহামহিম স্বয়ং। আর রয়েছে মালিকের প্রিয় কুকুর, বিড়াল, টিয়া এবং বানর। বিশাল প্রাণীটা আর তার পরিচারকদের পিছন পিছন চলছিল বিশাল এক জনতা – জয়ধ্বনি দিতে দিতে, গোটা পথ জুড়ে। সব দেখেশুনে ইঁদুর রেগে আগুন। ভীষণ ক্ষেপে গিয়ে সেই জনতাকে বলল, “এত বোকা কেন তোমরা, একটা হাতিকে নিয়ে এমন মাতামাতি করছ? কিসে এত মুগ্ধ তোমরা? ওর বিশাল আকার দেখে? বলি, ঐ গোব্দা চেহারায় কোন কাজটা হয় শুনি, ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা ভয় পেয়ে যাওয়া ছাড়া? আর সেই ভয় দেখানো – সে তো আমিও পারি। ও যেমন একটা জন্তু, আমিও কি তাই নই? ওর যতগুলো পা, আর কান আর চোখ, আমার ও সেগুলো ঠিক ততগুলোই আছে। ওর কোন অধিকার নেই গোটা পথ আটকে নিয়ে চলার। এই পথ যতটা ওর, ততটাই আমারও।”
ঠিক এই সময়ই হাতির পিঠ থেকে বিড়াল-এর নজর পড়ল ইঁদুর-এর উপর। লাফিয়ে নীচে নেমে এল সে। একটুক্ষণ-এর মধ্যেই সে ইঁদুরকে বুঝিয়ে দিল যে ইঁদুর আর যাই হোক, হাতি নয়।
প্রাচীন বচন: কোন বিরাট লোকের একটা কিছুর সাথে নিজের মিল পাওয়া মানেই সেই লোকের সাথে সমান হয়ে যাওয়া নয়।