আল্লাহর মহব্বত
হযরত জুন্নুন মিশরী (রঃ) বলেন, একবার আমি হযরত শায়বান মাজনুনের সাথে সাক্ষাৎ করে তার নিকট দোয়া চাইলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ্ তোমাকে স্বীয় নৈকট্য দ্বারা ধন্য করুন। এ কথা বলেই তিনি বিকট স্বরে চীৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেন। দু’দিন পর জ্ঞান ফিরে এলে তিনি বললেন “বন্ধুর আলোচনা আমার আবেগে বৃদ্ধি করেছে, অতঃপর তার মহব্বত আমাকে অজ্ঞান করে ফেলেছে”।
বর্ণিত আছে যে, এক ব্যক্তি হযরত আলী ইবনে যিয়াকে জিজ্ঞেস করল যে, সে আর কতকাল কান্না করবে? আল্লাহ্ পাক তো তাকে মাফ করে দিয়েছেন। এ কথা শুনার সাথে সাথে সে চোখের পানি ছেড়ে বলল, এখন তো আমার অন্তরের জ্বলন আরো বৃদ্ধি পেয়ে গেল। এতদবিষয়ের উল্লেখ করে এক কবি কয়েকটি কবিতা রচনা করেন। যার মর্মার্থ নিম্নে উল্লেখ করা হল
মহব্বত যদিও ভাল জিনিস তথাপি দুনিয়াতে আল্লাহ্র আশেকরাই সবচেয়ে মুসীবতে আছেন। তুমি তাদেরকে সবসময় ক্রন্দনরত অবস্থায়ই দেখতে পাবে। মাশুক নিকটে থাকলে বিচ্ছেদের আশঙ্কায় সে অশ্রু ঝরায়।
হযরত জোনায়েদ বাগদাদী (রঃ) বলেন, একবার আমি স্বপ্ন যোগে হযরত আদম (আঃ) কে ক্রন্দন করতে দেখে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কেন ক্রন্দন করছেন? আল্লাহ্ পাক তো আপনাকে মাফ করে দিয়েছেন এবং জান্নাতে প্রবেশের ওয়াদা করেছেন। একথা শুনে তিনি আমার হাতে একটি কাগজ দিলেন। ঘুম হতে জেগে সেই কাগজটি আমার হাতের মুঠিতে পেলাম। তাতে তিন লাইন কবিতা লেখা ছিল। যার অর্থ হল
তুমি কি আমাকে বিচ্ছেদের আগুনে জ্বালাচ্ছ, অথচ তার দাহন সেই আগুন হতে আরো তীব্র। আমি জান্নাতের আশেক নই, বরং স্বয়ং আল্লাহ্ পাকের আশেক। যদি পূনরায় সেই অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছার ওয়াদা করা না হত, তবে এতদিন হয়তো আমি নিঃশেষ হয়ে যেতাম।