আলজেব্রা

একটা জেব্রা আফ্রিকায় থাকতো। সারাদিন ঘাস খেতো আর সিংহ দৌড়ানি দিলে দৌড়াদৌড়ি করতো। বৃষ্টির পিছে পিছে একবার এদিকে আরেকবার সেদিকে করে সাভানায় চরে বেড়াতো। ভিল্ডেবিস্টের পালের সাথে নদীতে কুমীরের সাথে পাল্টি দিয়ে পার হতো।
হঠাৎ জেব্রার সাথে দেখা হলো এক কুঁজওয়ালা জেব্রার।
জেব্রা কুঁজওয়ালা জেব্রার সাথে আলাপসালাপ করে ঠিক করলো, আফ্রিকায় আর না। সে সৌদি চলে যাবে। ঐখানে উটের খামারে চাকরি করবে। বেতন দিয়ে কোনোমতে নিজের খেয়ে পরে চলে যাবে। সৌদি বড় আরামের জায়গা, শুধু মাঝে মধ্যে দুরন্ত আরব মমিন রাখালেরা একটু বিরক্ত করে। ঐখানে সিংহ নাই, কুমীর নাই, তবে বৃষ্টিও নাই। ঘাস পানি খামারেই পাওয়া যাবে, বেশি করে পানি খেয়ে নিলে কিছুদিন পর নিজের পিঠেই কুঁজ গজাবে, বৃষ্টির পিছে আর দৌড়াতে হবে না। বাকিটা আল্লাহ পাকের ইচ্ছা।
জেব্রা পরের ফ্লাইটেই সৌদি চলে গেলো।
বাকি জেব্রাদের জীবন কাটে আফ্রিকার সাভানায়। মাথার ওপর গনগনে সূর্য, ঝোপেঝাড়ে সিংহ, নদীতে কুমীর।
একদিন আমাদের জেব্রা ফিরে এলো। তার পিঠে কুঁজ গজায়নি, তবে মাথায় একটা সুন্দর টুপি। মুখে একটু ছাবা ছাবা দাড়ি।
অন্য জেব্রারা তাকে ঘিরে ধরে শুধালো, কীরে জেব্রা, সৌদি কেমন?
জেব্রা খ্যাঁক করে উঠে বললো, আমারে জেব্রা ডাকবি না।
বাকি জেব্রারা একে অন্যে মুখ দেখে নিয়ে বললো, তাইলে কী ডাকুম?
জেব্রা বুক ফুলিয়ে বললো, আমি এখন আলজেব্রা।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!