গল্পের শেষ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
ক্রিট রাজ্যের সেই সকাল টা ছিল খুব সুন্দর । রাজকুমারী আরিয়ানা তার সহচরী দের সাথে সেদিন বেড়িয়েছিলেন সমুদ্র পাড়ে বেড়াতে । দূর থেকে রাজপুত্র থেসিউস কে দেখতে পায় আরিয়ানা । অতি সুপুরুষ থেসিউস কে দেখা মাত্রই প্রেমে পড়ে যায় আরিয়ানা , আমাদের রবি বাবুর সেই বিখ্যাত লাইনদ্বয়ের মত
থেসিউস এর চোখেই আরিয়ানা নিজের সর্বনাশ দেখেছিলেন হয়তো ।
আরিয়ানার চোখের সামনে বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজকুমার থেসিউস কে । আর তা আরিয়ানা কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না । আরিয়ানা ভাবতে থাকেন কি করে বাঁচাবেন তার স্বপ্ন পুরুষ থেসিউস কে । এক পলকেই যাকে ভালবেসে ফেলেছে তার মন , মনের উপর কি জোর করা চলে ??
ভাবতে ভাবতেই সমাধান ও পেয়ে যায় আরিয়ানা ।
দানব মিনেটর এর বাস ছিল এক গোলকধাঁধা এর ভেতর । সেই গোলকধাঁধায় একবার যে প্রবেশ করে সে আর বের হতে পারে না । সেই গোলকধাঁধার নকশা করেছিলেন ডিডালাস নামের একজন বিখ্যাত প্রকৌশলী । ডিডালাস ও ক্রিটেই থাকতেন । আরিয়ানা সবার আগে ডিডালাসের সাথে যোগাযোগ করলেন । আরিয়ানার কথা শুনে আঁতকে ওঠেন প্রকৌশলী , রাজকুমারী যে আগুন নিয়ে খেলতে চাইছেন । রাজবন্দী কে বাঁচানোর চেষ্টা করার চেয়ে সমুদ্রে ঝাপ দিয়ে মরা ভাল । রাজা জানতে পারলে জান নিবে দুই জনের ই !! আরিয়ানা কেঁদে পড়লো ডিডালাসের পায়ে । এই জীবনে প্রথম কাউকে ভালবেসেছে সে , দরকার হলে নিজের জীবন যাবে তবুও থেসিউসের জীবন যে তাকে বাঁচাতেই হবে ।
রাজকুমারীর কান্না দেখেই হয়ত ডিডালাসের মনে দয়া হল । রাজি হলেন তিনি সাহায্য করতে । মিনেটর এর হাত থেকে বাঁচতে হলে লাগবে মন্ত্রপুত তরবারি । ডিডালাস রাজকুমারীর মন রক্ষার্থে তা জোগাড় করে দিলেন ।
মন্ত্রপূত তরবারি আর খানিক টা গোলা সুতো নিয়ে রাতের আঁধারে রাজকুমারী আরিয়ানা দেখা করতে গেলো রাজপুত্র থেসিউসের সাথে ।
থেসিউস অবাক হয়ে রাজকন্যা আরিয়ানা কে দেখতে থাকে প্রথম দেখায় । একটা মানুষ এতো সুন্দর ও হয় ?? আরিয়ানা কে রাজকুমারী না বরং তার দেবী মনে হতে থাকে । আরিয়ানার কথায় চমক ভাঙ্গে তার ।
রাজপুত্র , আমি তোমাকে বাঁচাতে এসেছি ।
আরিয়ানা খুলে বলে সব । কিন্তু বিপদের সমূহ সম্ভাবনা তাতে । থেসিউস জানতে চায় কেন তার জন্য এতো কিছু করছে আরিয়ানা ? সে তো তার বাবার শত্রুর ছেলে । সলাজ হাসিতে থেসিউসের বুকে মুখ লুকোয় আরিয়ানা । কেন মুখেই সব বলতে হবে তাকে ? থেসিউস কি কিছুই বুঝেনা ? থেসিউস কি তার চোখের ভাষা পড়তে পারে না ? ছলছল চোখে আরিয়ানা যখন থেসিউসের দিকে তাকায় , থেসিউস তখন বুঝে নিলো সব । রাজকুমারীর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে ওয়াদা করে থেসিউস
যদি জীবিত ফিরে যেতে পারে থেসিউস , সাথে নিয়ে যাবে আরিয়ানা কেও । রানী করে রাখবে তাকে এথেন্স এর । আনন্দে আরিয়ানার চোখে জল আসে , এইটুকুইতো সে চেয়েছিল ঈশ্বর এর কাছে । আরিয়ানার কপালে চুমু খেয়ে সুতো ছাড়াতে ছাড়াতে থেসিউস ল্যাবিরিন্থ এর ভেতরে ঢুকে পড়ে ।
গল্পের শেষ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।