আযানের সময় টেলিভিশন বন্ধ না করায় শাস্তি হল এক মহিলার
তাবলীগে যাওয়া এক বন্ধু ভারতের এক এলাকার একটি বিস্ময়কর ঘটনা শুনালেন । তিনি বলেন, তাবলীগ জামাতের সাথে আমরা এক মসজিদে গেলাম । মসজিদে অবস্থানের পর আমাদের কাজে আমরা নিয়োজিত ছিলাম । এমন সময় মহল্লার কইয়েকজন লোক এসে বললো, আমরা ভীষণ বিপদের সম্মুখীন । আমাদের ঘরের একজন মেয়ে মারা গেছে । তার লাশ ঘিরে রেখেছে বিষাক্ত বিচ্ছুর মত দেকতে এক দল কাঁখজোর ।
ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা দেকতে পেলাম লাশের চারিদিকে মুখ খোলা কাঁখজোর অবস্থান নিয়েছে । এরা কাউকে লাশের পাশে দেকতে যেতে দিচ্ছে না । মেয়েটিকে গোসল দিয়ে কাফন এর কাপড় পরিয়ে কবর দেওয়া দরকার, কিন্তু কিছুই করা যাচ্ছেনা । মেয়ের আত্মীয় স্বজন অনুরোধ করলো, আপনারা নেক্কার মানুষ, আপনারা দুয়া করুন, যেন মেয়েটিকে দাফন করতে পারি । আমরা জাইগায় বসে পড়লাম এবং দুয়া দুরুদ পাঠ করে মোনাজাত করলাম । বললাম, হে মহান আল্লাহ ! আপনার ওই মাখলুককে সরিয়ে নিন যেন মহিলার গোসল এবং কাফন দাফন এর ব্যবস্থা করা যায় । দুয়া এবং কান্না কাটির ফলে কাঁখজোর সরে একপাশে গিয়ে জড়ো হল। আমরা চলে এলাম। মহিলাকে গোসল দেওয়া হলো। কাফন পরিয়ে কবরে নামানো হল। কবরে নামানোর সময় দেখা গেল ওসব কাঁখজোর কবরের এক কোণে জড়ো হয়ে আছে।
মহিলাকে কবর দেওয়ার পর আমরা তার আত্নীয়-স্বজনকে মহিলার জীবন যাপন এবং আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। আমাদের বলা হল যে, সে নামাজ আদায় করতো না। সব সময় টেলিভিশন নিয়ে মগ্ন থাকতো। টেলিভিশনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখতো। একদিন টেলিভিশনে গানের অনুষ্ঠান চলছিল। এ সময় মসজিদে আজান হচ্ছে। মেয়েটি বললো, আযান তো রোজই হয় কিন্তু এমন গান সব সময় প্রাচারিত হয় না। মেয়েটি টেলিভিশন বন্ধ করেনি। এসব কথা শোনার পর আমাদের মনে হল, মহান আল্লাহর নামের উপর গানকে প্রাধান্য দেওয়ায় আল্লাহ অসন্তুষ্ট হয়েছেন। আযানের সময় টেলিভিশন বন্ধ না করায় বেনামাযী এই মেয়েটি কিছুদিন পর মারা যায় এবং তারপর এই ঘটনা ঘটে।