আমানতের খিয়ানতকারী একজন ইমামের করুণ পরিণতি

সিন্ধুর হায়দারাবাদের এক মসজিদে একজন মুসাফির ইমামের অনুমতি নিয়ে রাত্রিযাপন করতে চাইলেন। ইমাম অনুমতি দিলেন। সেই মুসাফির তার নিকটে নগদ টাকা চুরির ভয়ে ইমামার নিকট আমানত রাখলেন। বললেন, এ টাকা আপনার হিফাজতে রাখেন, সকালে আমি যাওয়ার সময় নিয়ে যাবো।

রাতে ইমাম সাহেবের নিয়ত খারাপ হয়ে গেল। ক্লান্ত মুসাফির ঘুমিয়ে যাওয়ার পর ইমাম তার টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে তাকে গলা টিপে মেরে ফেললো। ফজরের নামাজের সময় ইমাম মুসল্লিদের জানালেন, রাতে একজন মুসাফির এসেছিলো, মসজিদে শুতে দিয়েছি, হঠাৎ সে মারা গেছে।

লাশকে গোসল দেওয়ার জন্য উঠাতে চাইলে লাশ তোলা যাচ্ছিল না। কিন্তু ইমাম যখন লাশে হাত লাগালো সাথে সাথে লাশ উঠানো সম্ভব হল। গোসল দেওয়ার পর লাশ খাটিয়ার রাখা হল। কিন্তু খাটিয়া কিছুতেই উঠানো যাচ্ছিল না। কিন্তু ইমাম হাত লাগানোর সাথে সাথে খাটিয়ে উঠানো সম্ভব হল।

লোকেরা বলাবলি করতে লাগল, আমাদের ইমাম সাহেবের কত কারামতি দেখেছেন? লাশ কবরে নামানোর সময়ও সমস্যা দেখা দিল কিন্তু ইমাম সাহেব হাত লাগাতেই সহজে লাশ কবরে নামানো সম্ভব হল। মুসল্লিরা সবাই বলল, ইমাম কবরে নামুক তারপর লাশ কবরে রাখুক। ইমাম নামার সাথে সাথে কবরের মাটি ইমামের পা কামড়ে ধরল। ইমাম ক্রমেই মাটির গর্ভে ঢুকে যাচ্ছিলো। ইমাম ধীরে ধীরে মাটির গভীরে ঢুকে যাবার সময় মুসাফিরকে হত্যা করার কথা নিজ মুখে স্বীকার করলো। ক্ষমা চাইতে লাগলো কিন্তু মাটি তাকে ছাড়লো না। ইমাম সেই কবরের মাটির নিচে জীবন্ত সমাধিস্থ হলো। আল্লাহ হেফাজত করুন।

সূত্রঃ চোখে দেখা কবরের আযাব

আরো পড়তে পারেন...

অপু ও ফলচুরি রহস্য

মহানগরের কোলাহলের মাঝে, ব্যস্ত জনপথের কিছুটা দূরে একফালি সবুজ ল্যান্ডস্কেপ । সদ্য গড়ে ওঠা আবাসন…

ভালুক ও কাঠবিড়ালী

কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘খুকি ও কাঠবিড়ালী’ কবিতাটি কম-বেশি সবাই পড়েছে। এ কবিতাটির কারণেই ছোট্ট…

গাজা দিবস

শিশু-কিশোর বন্ধুরা, কেমন আছো তোমরা? আশা করি যে যেখানে আছো ভাল ও সুস্থ আছো। তোমরা…

আমানতের খিয়ানতকারী একজন ইমামের করুণ পরিণতি

সিন্ধুর হায়দারাবাদের এক মসজিদে একজন মুসাফির ইমামের অনুমতি নিয়ে রাত্রিযাপন করতে চাইলেন। ইমাম অনুমতি দিলেন। সেই মুসাফির তার নিকটে নগদ টাকা চুরির ভয়ে ইমামার নিকট আমানত রাখলেন। বললেন, এ টাকা আপনার হিফাজতে রাখেন, সকালে আমি যাওয়ার সময় নিয়ে যাবো।

রাতে ইমাম সাহেবের নিয়ত খারাপ হয়ে গেল। ক্লান্ত মুসাফির ঘুমিয়ে যাওয়ার পর ইমাম তার টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে তাকে গলা টিপে মেরে ফেললো। ফজরের নামাজের সময় ইমাম মুসল্লিদের জানালেন, রাতে একজন মুসাফির এসেছিলো, মসজিদে শুতে দিয়েছি, হঠাৎ সে মারা গেছে।

লাশকে গোসল দেওয়ার জন্য উঠাতে চাইলে লাশ তোলা যাচ্ছিল না। কিন্তু ইমাম যখন লাশে হাত লাগালো সাথে সাথে লাশ উঠানো সম্ভব হল। গোসল দেওয়ার পর লাশ খাটিয়ার রাখা হল। কিন্তু খাটিয়া কিছুতেই উঠানো যাচ্ছিল না। কিন্তু ইমাম হাত লাগানোর সাথে সাথে খাটিয়ে উঠানো সম্ভব হল।

লোকেরা বলাবলি করতে লাগল, আমাদের ইমাম সাহেবের কত কারামতি দেখেছেন? লাশ কবরে নামানোর সময়ও সমস্যা দেখা দিল কিন্তু ইমাম সাহেব হাত লাগাতেই সহজে লাশ কবরে নামানো সম্ভব হল। মুসল্লিরা সবাই বলল, ইমাম কবরে নামুক তারপর লাশ কবরে রাখুক। ইমাম নামার সাথে সাথে কবরের মাটি ইমামের পা কামড়ে ধরল। ইমাম ক্রমেই মাটির গর্ভে ঢুকে যাচ্ছিলো। ইমাম ধীরে ধীরে মাটির গভীরে ঢুকে যাবার সময় মুসাফিরকে হত্যা করার কথা নিজ মুখে স্বীকার করলো। ক্ষমা চাইতে লাগলো কিন্তু মাটি তাকে ছাড়লো না। ইমাম সেই কবরের মাটির নিচে জীবন্ত সমাধিস্থ হলো। আল্লাহ হেফাজত করুন।

সূত্রঃ চোখে দেখা কবরের আযাব