রহিম সাহেব বড়ই অসাবধান।আজ এটা ভাঙে, কাল ওটা হারায়। এজন্য বউ তাকে কতই বকে। কিন্তু
বকিয়া বকিয়াও বউ তাকে সাবধান করিতে পারে না।
সেদিন হাটে যাইবার সময় বার বার করিয়া বলিয়াছে,“দেখ আজ হাটে যাইয়া আমার তেলের শিশিটা যেন হারাইয়া আসিও না।
এই শিশিটা আমার বাপের বাড়ি হইতে আনিয়াছি, কেমন সুন্দর দেখিতে!
রহিম তেলের শিশি লইয়া হাটে চলিল।এক জায়গায় বৃষ্টির পানিতে পথ পিছল হইয়া আছে।সেখানে আসিয়া তো পা টিপিয়া টিপিয়া চলিতে হয়।কিন্তু অসাবধানে রহিম যেমন
চলিতেছিল সেখানে আসিয়াও তেমনি চলিতে লাগিল।আর তখনি পা পিছলাইয়া আছাড় খাইল। হাতের শিশিটা মাটিতে পড়িয়া ভাঙ্গীয়া গেল।
রহিম তখন ভাবিতে লাগিল, “ বাড়ি গেলে বউ যখন জানিতে পারিবে শিশিতা ভাঙ্গীয়া গিয়াছে, তখন সে কি জবাব দিবে,?
জদি বলে কাদার পথে চলিতে চলিতে পা পিছলাইয়া সে আছাড় খাইয়ছিল, সেই সময় শিশিটা পড়ে ভাঙ্গীয়াছে,তখন বউ জিজ্ঞাসা করিবে, কাঁদার পথে চলিতে কেন সাবধান হও নাই? এ কথার সে কি উত্তর দিবে?
মনে মনে সে একটি ফন্দি আঁটিয়া বাড়ি আসিল।
বউ তাড়াতাড়ি হুকাটি আনিয়া তাঁহার হাতে দিল। হুকা টানিতে টানিতে রহিম গল্প আরম্ভ করল,“আজকের হাটে যে গিয়াছে তাহারই তেলের শিশি হারায়াছে।
কতজন তেলের শিশিটা হারাইয়া পথে পথে তালাশ করিয়া ফিরিতেছে।”
বউ জিজ্ঞাসা করিল,“বলি, আমাদের তেলের শিশিটা তো হারায় নাই!”
রহিম একটু কাশিয়া উত্তর করিল, “ আমাদের টা তো পথ দেখাইয়াছে। আমাদের শিশিটা প্রথম হারাইল। তাঁর পর সকলের তেলের শিশিই হারাইতে আরম্ভ করিল।