আমাদের ছক্কু–জাবেদ ভুঁইয়া

আমাদের ছক্কুকে চেনেন?

না, চেনার কথাও না।
উন্নয়নশীল দেশগুলোকে যেমন সবাই চেনে না, তেমনি উদীয়মান প্রতিভাগুলোকেও অনেকেই চিনে না।
তবে ছক্কুর বিষয়টা অবশ্য আলাদা। কারণ, তার প্রতিভা এরিস্টটলের মতো এত দিকে বৃদ্ধি পেয়েছে যে সে কোনটা রেখে কোনটার চর্চা করবে, তা ভেবে কুল পায় না।

ফলশ্রুতিতে আজ দেখা যায়, কালো কাপড় গায়ে দিয়ে, চোখে চশমা পরে, কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে গোয়েন্দাগিরিতে নেমেছে।
আবার কালকেই দেখা যায়, সালফিউরিক অ্যাসিডে পানি মিশিয়ে তাতে পিতল–তামা দিয়ে ভোল্টার কোষের উন্নয়ন সাধন করছে।
কিছুক্ষণ পরেই দেখা যায়, খেলার মাঠে একটা ইট ছুড়ে তার গতি, পড়ন্ত বস্তুটির ত্বরণ ইত্যাদি নিয়ে নিউটনীয় গবেষণায় মেতে আছে।

পরিশেষে, সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই দেখা যায়—
গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে গৃহকর্তা ভেবে ডাকাতের হাতে সব মালপত্র তুলে দিচ্ছে, আর ডাকাত ভেবে গৃহকর্তাকে এমন রামধোলাই দিচ্ছে যে শেষে গিয়ে হাজতে ঠাঁই হচ্ছে!

ভোল্টার কোষের উন্নয়ন করতে গিয়ে ঘরে আগুন লাগানো,
আর নিউটনীয় গবেষণার ফসল—চাচার টাকমাথায় ভয়ানক এক “আলু” তৈরি হওয়া!

এই তো, এবার তো আমাদের ছক্কুর পরিচয় সম্পূর্ণ হলো।
ওর আরেকটা নাম আছে—তা হলো ‘ছক্কু ভাই’।
পাড়ার সবার ভাই। এমনকি গোপন সূত্রে আমি জানতে পেরেছি, ওর বাবাও নাকি ওকে “ছক্কু ভাই” বলেই ডাকে!

এবার আসি ছক্কু ভাইয়ের নতুন প্রজেক্টে — “এলিয়েনুক্কুর” কাহিনি।

কয়েকটা এলিয়েন-ভিত্তিক সিনেমা দেখে এবং এলিয়েন দেখার সৌভাগ্যের গল্প শুনে ছক্কু ভাইয়ের মাথাটাই গেল বিগড়ে।
সে স্থির করল—একটা এলিয়েন ধরতেই হবে!

কিন্তু এলিয়েনরা যদি পৃথিবীতে না আসে, তবে ধরবে কী করে?
আর বন্ধুত্বই বা করবে কেমন করে?

ঝোপঝাড়-ঘেরা, খড়-বিছানো এক জায়গায় বসে এসব ভাবছিল ছক্কু ভাই।
বেলা তখন দুপুর।

হঠাৎ করেই একটা গাছের মাথায় কী যেন একটা “কুক্কুরু!” বলে ডেকে উঠল।
আরে! কান খাড়া করে, আড়চোখে গাছের আগার দিকে তাকাল ছক্কু ভাই।
—“এটা নিশ্চয়ই একটা ট্রিকস!” ভাবল সে।

কারণ, প্রথমেই যদি এলিয়েনদের সঙ্গে চোখাচোখি হয়ে যায়, তাহলে ওরা পালিয়ে যায়।
কিন্তু গাছের ফাঁক দিয়ে ঝিলিক মারা সূর্যের আলো ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ল না তার।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!