আমাকে ফেরেশতা সালাম করে
হযরত এমরান (রহঃ) কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে ক্রমাগত ত্রিশ বছর বিছানায় পড়েছিলেন। মল-মূত্র ত্যাগ করতেন বিছানাতেই এবং এ সুদীর্ঘ কাল তিনি মুহুর্তের জন্যও বিছানাতে উঠে বসতেও পারেননি। একবার তাঁর ভাই আলা এবং মাতরাফ নামে এক ব্যক্তি তাকে দেখতে এল। হযরত এমরানের এই করুন অবস্থা দেখে তারা সবাই কেঁদে ফেললেন।
তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কাঁদছ কেন? তারা বলল, আপনার কঠিন অবস্থা দেখা না কেঁদে পারছিনা। তিনি বলেলেন, তোমারা কেঁদো না। কেননা, আল্লাহ পাক আমাকে যখন যে অবস্থায় রাখেন আমি সে অবস্থাই পছন্দ করি। আরেকটি গোপন কথা তোমাদের নিকট প্রকাশ করি, আমার মৃত্যু পর্যন্ত এটি গোপন রাখবে অন্য কারো নিকট বলবে না।
হয়তো আল্লাহ তা’আলা এর দ্বারা তোমাদের উপকৃত করবেন। কথাটি হল, মাঝে মাঝে ফেরেশতারা এসে আমার সাথে সাক্ষাত করে যায়। আমি এ দ্বারা শান্তি পায়। তারা এসে আমাকে ছালাম করে এবং আমি তা স্পষ্ট শুনতে পাই। এজন্য আমি মনে করি এ ব্যধি আমার জন্য আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে আযাব নয় বরং বিশেষ নেয়ামত বটে , আচ্ছা তোমরাই বল, কোন ব্যধির বিনিময়ে মানুষ যদি এমন সৌভাগ্য অর্জন করে তাহলে কি সে ঐ মুসীবতকে কোন কষ্ট মনে করবে?
মাতরাফ বলেন, অতঃপর আমরা অসুস্থ সোয়াইদ বিন সোয়াবাকে দেখতে গেলাম। আমার মনে হল যেন তিনি বিছানার সাথে একেবারে মিশে গেছেন। তাকে একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। আমরা সেখানে যাবার পর তাঁর স্ত্রী মুখ হতে কাপড় সরিয়ে জিজ্ঞেস করল, আপনাকে কি খেতে দেব বলুন? তিনি বললেন, দীর্ঘদিন বিছানাতে পড়ে থাকতে থাকতে আমার উভয় পাশ ব্যথা হয়ে গেছে। পাছার চামড়া ঝুলে গেছে। দীর্ঘদিন অনাহারের ফলে বিছানার সাথে একেবারে মিশে গেলাম। অবুও আমি এ অবস্থা থেকে বিন্দু মাত্রও মুক্তি কামনা করি না।