আমরা সেই সে জাতি

বনী মুসতালিকের যুদ্ধ শেষ। মহানবী (সা)-এর নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনী মদীনায় ফিরছে।

কি এক ঘটনায় একজন মুহাজিরের সাথে একজন আনসারের বিরোধ বাধল। বলা হলো, একজন মুহাজির লাথি মেরেছে একজন আনসারকে। এ নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষের মধ্যে একটা শোরগোল সৃষ্টি হলো।

মহানবী (সা)-এর কানে এলো বিষয়টা। তিনি ডেকে বললেন, ‘এ তো জাহেলী যুগের আওয়াজের মত শোনাচ্ছে। এসব অশোভন কথাবার্তা পরিত্যাগ কর।’

বিষয়টা এখানেই মিটে গেল।

মুসলিম বাহিনীর সাথে মুনাফিক সর্দার আবদুল্লাহ ইবনে উবাই ছিল। তার ছেলেও ছিল। তিনি মুনাফিক নন।

ঘটনাটা মুনাফিক সর্দার আবদুল্লাহ বিন উবাই-এর কানেও গেল। মুহাজির ও আনসার মুসলমানদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির একটা বড় সুযোগ বলে একে সে মনে করল।

সে নেচে উঠল। বলল, ‘কি! একজন মুহাজির এই কাজ করেছে? ঠিক আছে মদীনায় একবার পৌঁছতে দাও। সম্মানী লোকেরা (মদীনাবাসী) নীচু সম্প্রদায়ের (মক্কাবাসী) লোকদের মদীনা থেকে বের করে দেবে।’

আবদুল্লাহ বিন উবাই এর ষড়যন্ত্রের কথা উমর (রা)-এর কানে গেল। উমর (রা) মহানবী (সা)-এর কাছে গিয়ে আরজ করলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ, আপনি অনুমতি দিলে ঐ মুনাফিকের গর্দান উড়িয়ে দিতে পারি।’

মহানবী (সা) বললেন, ‘না। মানুষ বলবে যে, আমি নিজের লোকদের হত্যা করে থাকি।’

মহানবীর কথায় উমর (রা) চুপ করে গেলেন।

আবদুল্লাহ বিন উবাই-এর ছেলে কিন্তু চুপ করে থাকলেন না। পিতার ঔদ্ধত্যে ক্রুদ্ধ আবদুল্লাহ (রা) তাঁর পিতাকে গিয়ে বললেন, ‘আল্লাহর কসম, আমি আপনাকে মদীনা প্রবেশ করতে দেব না, যে পর্যন্ত না আপনি নিজ মুখে সাক্ষ্য দেন যে, আপনি নীচ লোক, আর রাসূল্লাহ সম্মানিত।’

অবস্থা বেগতিক দেখে মুনাফিক সর্দার আবদুল্লাহ বিন উবাই পুত্র যেভাবে বলেছে সেইভাবে সাক্ষ্য দিল।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!