আবূ তালিবের দায়িত্বে শিশু নবী মুহাম্মদ (সাঃ)

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আট বছর বয়সে পিতামহ আবদুল মুত্তালিব ইনতিকাল করেন। এসময় আবদুল মুত্তালিবের বয়স ছিল বিরাশি বছর। মৃত্যুর পূর্বে তিনি পুত্র আবূ তালিবের হাতে তাঁর পিতৃমাতৃহীন নাতীর প্রতিপালনের ভার অর্পণ করে যান। আবদুল্লাহ ও আবূ তালিব উভয়ে ছিলেন সহোদর ভাই।

পিতার অন্তিম উপদেশ এবং নিজের স্বাভাবিক স্নেহবশত আবূ তালিব এতীম ভ্রাতুষ্পূত্রের প্রতিপালন করতে থাকেন। তিনি এতীম ভাতিজাকে এতই স্নেহ করতেন যে, সর্বদা চোখে চোখে রাখতেন। এমনকি শোবার সময় এবং কোথাও বেড়াতে গেলেও ভাতিজাকে ছাড়া যেতেন না।

বয়োবৃদ্ধির সাথে সাথে তাঁর বাহ্যিক সৌন্দর্য ও চরিত্র মাধুরী এমন সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছিল যে, আবূ তালিব তা দেখে এতীম ভাতিজার প্রতি আরও বেশী অনুরক্ত হয়ে পড়েছিলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ভাতিজার প্রতি তাঁর অকৃত্রিম স্নেহ মমতা অক্ষুন্ন ছিল।


কোন কোণ ঐতিহাসিক বলেন, একবার অনাবৃষ্টির দরুন আরবে ভীষণ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সকলে আবূ তালিবকে বলল-আপনি বৃষ্টির জন্য দোয়া করুন। আবূ তালিব তাঁর এতীম ভাতিজা মুহাম্মদ (সাঃ)-কে সাথে নিয়ে কাবা শরীফে উপনীত হলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) স্বীয় পৃষ্ঠদেশ কাবা গৃহের সাথে লাগিয়ে আঙ্গুল দিয়ে আকাশের প্রতি ইশারা করেন।

তৎক্ষণাৎ মেঘশূন্য নির্মল আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয় এবং প্রবল বৃষ্টিপাতে মক্কার মরু অঞ্চল প্লাবিত হয়ে যায়।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!