আবু বকর (রা.)-এর শ্রেষ্ঠত্ব

পবিত্র কুরআন শরীফ আর হাদিসে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর খলিফা বলে নির্ধারিত কাউকে উল্লেখ করার কথা পাওয়া যায় নি । এরপরও হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর অনেক সময়ের কথা ও কর্মের মধ্যে এমন কিছু আভাস পাওয়া যায়, যাতে বুঝা যায় যে হযরত আবু বকর (রা.)-ই খলিফা হবার যোগ্যতা রাখেন । হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর কর্মের মধ্যে যেই রকমের ইঙ্গিত নির্দেশ করেছিলেন এ সম্পর্কে নিচে কয়েকটি ঘটনা বর্ণনা করা হল ।

হযরত মুহাম্মদ (সা.) যে যুদ্ধে নিজে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন এরই মধ্যে জীবনের সর্বশেষ যুদ্ধ ছিল তাবুক যুদ্ধ । এ যুদ্ধ ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ । এ ধরনের যুদ্ধে মুসলমানদের বড় দায়িত্ব ছিল ‘যুদ্ধের পতাকা বহন’ করা । আর আ পতাকা বহন করার জন্য হযরত আবু বকর (রা.) কেই বলা হয়েছিল । হযরত মুহাম্মদ (সা.) ৯ম হিজরীতে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.)-কে তাঁর নিজের প্রতিনিধি আর হজ্জের আমীর নিয়োগ করে মক্কাতে পাঠিয়ে তাকে আদেশ করলেন, যাতে আবু বকর (রা.) মদিনায় ঘোষণা করেছিলেন যে, এ বছরের পরে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ঘরে তাঁর অবাধ্যদের হজ্জ করার আর কোন সুযোগ থাকবে না । এরপর হযরত আলী (রা.)-কে তাঁরই মাধ্যমে সূরা বারাতের আয়াতসমুহ শুনার জন্য প্রেরন করা হল । আর ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে এ হজ্জকে ‘হজ্জে আবু বকর’ নামে আখ্যায়িত করলেন । বুখারী ও মুসলিম শরিফে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মসজিদে নববীর আশেপাশে যেসব সাহাবীদের বাসবাসের স্থান ছিল, তাঁদের মসজিদে যাওয়ার সুযোগ-সুবিধার দিকে লক্ষ্য করে সে দিকে দরজা খুলে এবং সে পথেই তাড়া মসজিদে আসা-যাওয়া করতেন । যখন হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর মৃত্যুর নিকটবর্তী সময়ে বললেন যে, হযরত আবু বকর (রা.)-এর দরজা ব্যতীত বাকি সকল দরজা একবারে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য ।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!