
আমার আব্বু একজন মুক্তিযোদ্ধা।। আমি আজ যে ঘটনাটি শেয়ার করবো তা যুদ্ধ পরবর্তী ঘটনা।। আমাদের পুরো পরিবার তখন গ্রামে থাকতো।।
গ্রাম মানে, প্রায় প্রত্যন্ত অঞ্চল।। আমার তখন জন্ম হয়নি।। আমি পরে আব্বুর মুখ থেকে ঘটনাটি শুনেছিলাম।। আব্বু তখন প্রায়ই কাজ শেষে বেশ রাত করে বাসায় ফিরত।।
তো, এমনিভাবে একদিন রাত করে বাসায় ফিরছিলেন।। তিনি কিছুদুর আসার পর দেখেলেন যে লাল শাড়ি পরিহিত একটি মেয়ে।। আব্বু ক্ষণিকের জন্য ভাবলেন মেয়েটা হয়তো বিয়ের শাড়ি পড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।।
রাত্রি তখন প্রায় ২টা বাজে।। আব্বু দেখে পুরাই থ।। এতো রাতে একটা মেয়ে তাও লাল শাড়ি পড়া।। ব্যাপারটা কোন মতেই মিলছিল নাহ।। মেয়েটা হেঁটে যাচ্ছিল।।
আব্বুও মেয়েটার পিছন পিছন হাঁটতে লাগলেন আর মেয়েটাকে থামার জন্য বলতে লাগলেন।। কিন্তু এতে যেনও উল্টো মেয়েটার হাঁটার গতি বেড়ে গেলো।।
আব্বু যতই কাছে যাচ্ছে, মেয়েটা ততই দূরে সরে যাচ্ছে।। এভাবে প্রায় ১৫ মিনিট চলার পর আব্বু জোড়ে চিৎকার দিয়ে মেয়েটিকে থামতে বলল।। তখন মেয়েটি থামল।।
এরপর মেয়েটি যখন আব্বুর দিকে ঘুরে তাকায় তখন দেখার সাথে সাথে আব্বু অজ্ঞান হয়ে যান।। পরবর্তীতে সকালে আব্বুকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়।।
পরে আব্বু বলেছিল, ঐরকম বীভৎস চেহারা উনি কখনো দেখেননি।।