আবদুল মুত্তালিবের কনিষ্ঠ ছেলে খাজা আবদুল্লাহ অত্যন্ত সুপুরুষ, সুশ্রী ও অসীম সাহসের অধিকারী ছিলেন। খতামুন্নাবীয়ীনের নূর মোবারক আবদুল্লাহর পেশানীতে শোভা পাওয়ার কারণে তাঁর চেহারা এত সুদর্শন ছিল যে, তাঁকে দেখে যে কেউ সহজেই আকৃষ্ট হয়ে পড়ত। তাই তিনি রাস্তায় বের হবার সময় চেহারা আবৃত্ত করে বের হতেন।
ইহুদীরা তওরাত কিতাবের ইঙ্গিতে বুঝতে পারল যে, শেষ নবীর আগমন সান্নিকটে এবং তার নিদর্শন আবদুল্লাহর মধ্যে বিরাজিত।
তাই তারা খাজা আবদুল্লাহর ঘোরতর শত্রু হয়ে দাঁড়াল। কারণ, চিরকালের জন্য তাদের কাছ থেকে নবুয়াত চলে যাওয়ার সময় এসেছে এবং তাদের নেতৃত্বও তাদের কাছ থেকে চিরবিদায় নেবে। তাই তারা যে কোনো উপায়ে আবদুল্লাহকে হত্যা করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হল।
একদিন খাজা আবদুল্লাহ শিকারের উদ্দেশ্যে জঙ্গলে গেলেন। ইহুদীরা একে অপূর্ব সুযোগ মনে করে বনে গিয়ে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করল। পিছনের দিক থেকে হযরত আবদুল্লাহকে তরবারী দ্বারা আঘাত করল। কিন্তু অদৃশ্য সাহায্য আবদুল্লাহর সঙ্গী হল। কিছু অদৃশ্য অশ্বারোহী ইহুদীদের তরবারীকে প্রতিহত করে দিল।
এভাবে বহুবার চেষ্টা করার পরও তারা খাজা আবদুল্লাহর দেহে সামান্য আচঁড় পর্যন্ত লাগাতে সক্ষম হয়নি। ফলে তারা এ হীন প্রচেষ্টা মূলতবী রেখে ফিরে গেল।
ওহাব বিন মুনাফরও ঘটনাক্রমে সেই বনে উপস্থিত ছিলেন। তিনি এসব ঘটনা স্বচক্ষে দেখলেন এবং বাড়ি ফিরে তাঁর স্ত্রীকে বললেন, “আমার কন্যা আমেনার জন্য আবদুল্লাহ হতে উত্তম স্বামী নেই।”
তাঁর স্ত্রী পূব হতেই আবদুল্লাহর যশ শুনে সম্মত হয়ে গেলেন। তাই ওহাব আবদুল মুত্তালিবের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে হাজির হলেন। খাজা আবদুল মুত্তালিব সাদরে তাঁর প্রস্তাব গ্রহণ করলেন এবং আমেনা ও আবদুল্লাহর মধ্যে বিবাহ কার্য সুসম্পন্ন হল। খাজা আবদুল মুত্তালিব বিয়ের খুতবা পাঠ করলেন।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।