আপনি কি কোরিয়ানদের মতো গ্লাস স্কিন চান?

আপনি কি কোরিয়ানদের মতো গ্লাস স্কিন চান?

আস-সালামু আলাইকুম সবাইকে। কেমন লাগল আমার স্কিনকেয়ার ব্লগটি? আপনি যদি আমার ব্লগটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে ফলো করেন, তাহলে অবশ্যই উপকৃত হবেন, আশা করি, ইন শা আল্লাহ। আজ আমরা স্কিনকেয়ারের আরও কিছু বিষয় এবং উপাদান নিয়ে জানার চেষ্টা করব। গত ব্লগে আমরা শুধু বেসিক স্কিনকেয়ারের কথা বলেছিলাম। আজ আমরা আরও ডিটেইলসে সেরাম, এসেন্স, টোনার ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করব। এইসব প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে গেলে আমাদের স্কিন টাইপ এবং স্কিনের সমস্যা অনুযায়ী প্রোডাক্ট বেছে নিতে হবে। নাহলে দেখা যাবে আমাদের হিতের বিপরীত হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্কিনকেয়ার একটি লং প্রসেস এবং এটি ধীরে ধীরে আমাদের স্কিনে কাজ করবে। আমরা অনেকেই স্কিনকেয়ার মানে বুঝি শুধু সাদা হওয়া এবং তাড়াতাড়ি সাদা হতে গিয়ে বাজারের স্থানীয় কম দামি জিনিস ব্যবহার করে স্কিনকে নষ্ট করে ফেলি, পরে দোষ হয় স্কিনকেয়ারের। আসলে আমাদের স্কিন অনেক সেনসিটিভ একটি জিনিস। এখানে আমরা যা ইচ্ছা তা কেমিক্যাল জিনিস ব্যবহার করলে এর খতি হবেই, আবার অনেক সময় দেখা যায় যে এইসব ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহার করে স্কিন ক্যান্সারও হয়ে যায়। তাই আমাদের সাদা হওয়ার ক্রিমগুলো থেকে নিজেদের বিরত রাখা লাগবে। স্কিনকেয়ার মানে শুধু বিভিন্ন প্রোডাক্ট ব্যবহার করা না। স্কিনকেয়ারের সাথে যদি লাইফস্টাইল, স্লিপিং সাইকেল এবং খাদ্যাভ্যাস হেলদি না হয়, তাহলে আমাদের স্কিনকেয়ার কাজ করবে না। এখন নতুন ট্রেন্ড হচ্ছে কোরিয়ান গ্লাস স্কিনের। এখন সবাই এমন গ্লাস স্কিন চায়, তাই সেটা কিভাবে পাবেন চলুন জেনে নিই। বর্তমানে কিছু ইফেক্টিভ উপাদান হলো হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, নায়াসিনামাইড, আলফা আরবুটিন, এপিফেন (Exfoliator), ইত্যাদি। এইগুলো আমরা বিভিন্ন ফর্মে বাজারে পেয়ে থাকি, যেমন সেরাম, এসেন্স, টোনার ইত্যাদি। আজ আমরা এইগুলো কিভাবে কাজ করে, কোন স্কিনে কোনটা কাজ করে এবং কিভাবে আমরা এইগুলো ব্যবহার করব, এইসব ডিটেইলসে বলব। জানতে সাথে থাকুন।

 

টোনার কী ?

টোনার হলো একটি তরল স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট যা সাধারণত ক্লিনজিংয়ের পরে এবং ময়েশ্চারাইজিং বা সেরাম ব্যবহারের আগে ব্যবহার করা হয়। এটি ত্বকের pH ব্যালান্স ঠিক রাখে, ত্বককে পরবর্তী স্কিনকেয়ার স্টেপের জন্য প্রস্তুত করে এবং ত্বকের ছিদ্রগুলোকে টাইট করে।

টোনার কিভাবে কাজ করে?

ক্লিনজার ব্যবহারের পর ত্বকের pH লেভেল অ্যাসিডিক থেকে অ্যালকালাইনে চলে যায়। টোনার ত্বকের প্রাকৃতিক pH ব্যালেন্স ফিরিয়ে আনে, যা ত্বককে সুস্থ রাখে। অনেক টোনারে হাইড্রেটিং উপাদান (যেমন: হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন) থাকে, যা ত্বককে আর্দ্র রাখে।টোনার ত্বকের ছিদ্রগুলোকে টাইট করতে সাহায্য করে, যা ত্বককে মসৃণ এবং পরিষ্কার দেখায়।টোনার ব্যবহারের পর ত্বক পরবর্তী স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট (যেমন: সেরাম, ময়েশ্চারাইজার) ভালোভাবে শোষণ করতে পারে।

টোনার ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি:

ক্লিনজিংয়ের পর ত্বক পরিষ্কার করে একটি কটন প্যাডে টোনার নেবো, তারপর হালকা করে মুখে এবং ঘাড়ে টোনারটি লাগাবো। শুকানোর জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবো, তারপর পরবর্তী স্কিনকেয়ার স্টেপ (সেরাম বা ময়েশ্চারাইজার) ব্যবহার করবো।

কোন টোনার আপনার জন্য সঠিক?

  • শুষ্ক ত্বকের জন্য: হাইড্রেটিং টোনার (হায়ালুরোনিক অ্যাসিড বা গ্লিসারিনযুক্ত)।
  • তৈলাক্ত ত্বকের জন্য: অ্যাস্ট্রিনজেন্ট বা ছিদ্র টাইট করার টোনার (স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা উইচ হ্যাজেলযুক্ত)।
  • সেনসিটিভ ত্বকের জন্য: মৃদু এবং অ্যালকোহল-মুক্ত টোনার।

আজ আমরা গ্লাস স্কিনের জন্য টোনারের সব কিছু জানলাম। বাকি বিষয়গুলো আমরা পরবর্তী ব্লগে জানবো। জানতে চাইলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। 😊

রাসূল আমার আলোর জ্যোতি

সুলতান মাহমুদের দাড়ি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *