আনুমানিক রাত ৯.০০ থেকে ৯.৩০বাজে তখন

আমার কাজিন এর সাথে ঘটা একটি সত্য ঘটনা আজ শেয়ার করছি। তিনি খুলনা শহরে থাকেন পড়শোনার কাজে। মাঝে মধ্যে গ্রামে আসেন। একবার গ্রামে আসার পর তার সাথে ঘটা এক ভয়াবহ কিন্তু সত্য ঘটনা শুনুন আজ। তার নিজে
র ভাষাতেই বলছি—
ওইবার বাড়ি আসার দুই দিন পর একদিন বিকাল বেলায় আমি যাই আমার এক বন্ধুর বাসায়।বেশ কিছু কাজ থাকায় বাড়ি ফিরতে একটু দেরি হয়ে যায়।আনুমানিক রাত ৯.০০ থেকে ৯.৩০বাজে তখন। শহরে এটা তেমন রাত না হলেও গ্রামে তখন অনেক রাত। আমার বন্ধু আমাকেবাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিতে চাইলেও আমি ওকে নিষেধ করে বলি যে আমি একাই ফিরতে পারব। তো আল্লাহর নাম নিএ রাওনা হলাম। বাড়ি যাওয়ার পথে রাস্তা দুইটা। একটা বড়আরেকটা শর্টকাট , বড়টা দিএযেতে হলে অনেক ঘুরতে হয়। তো আমি ওই শর্টকাট পথেই রাওনা হলাম। ওই রাস্তায় বাড়িঘর নেই বললেই চলে। একটা মসজিদ আছে তাও আবার রাস্তার একেবারে মাথায়। আমি আমার মোবাইলের লাইট দিএপথ চলতে লাগলাম। জ্যোৎস্না ছিলনা তাই চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। ওই রাস্তাটার পাশে আবার সারি সারি কবর। ফাকা জায়গা তাই অনেকে ওখানে পারিবারিক কবরস্থান বানিএ ফেলেছে। আমার হালকা হালকা ভয় করতে লাগল যখন কবর গুলোর কাছ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম। তখন পর্যন্ত আমার আগে বা পিছে কোনও মানুষের চিহ্ন পর্যন্ত ছিল না। হটাৎ একবার নিচে তাকিয়ে আমি সামনে তাকাতেই দেখি কিছুদু্রে সাদা পাঞ্জাবি পরা এক লোক হাটছে।ওইখানে সারি সারি কবর আর বাগান ছাড়া আর কিছুই ছিলনা, তারপরেও ওই লোক কোথাথেকে আসলো আমি বুঝে উঠতে পারলামনা। যাই হোক আমি ভাবলাম একজন চলার সঙ্গী তো পাওয়া গেল, দুই জনে হাটলে ভয় কম লাগবে এই ভেবে আমি ওই লোককে ধরার জন্য জোরে জোরে হাটতে লাগলাম। কিন্তু আমি অবাক হয়ে গেলাম এই দেখে যে আমি প্রায় ৫.০০ মিনিটের মত দৌড়ানোর গতিতে হাটার পর ও ওই লোককে ধরতে পারছিনা। আমি ভয় পেয়ে আস্তে হাটতে লাগলাম, কিন্তুএরপর যা দেখলাম তাতে বুঝে উঠতে পারলাম না ঠিক কি করব!! দেখলাম ওই লোকটার গায়ে পরাসাদা পাঞ্জাবিটা টিউব লাইটের আলোর মত জ্বলছে। আমিতখনি বুঝে গেলাম ওই লোকটা মানুষ না। ভয়ে আমি চলার গতি আরো কমিয়ে দিলাম। একবার চিন্তা করলাম পিছনে ফিরে দৌড় দিব কিন্তু তখন আমি আমার ঐ বন্ধুর বাড়ি থেকে অনেক দূরে চলে এসেছি। শুনেছি এই সব জিনিস দেখে ভয় পেয়ে পিছনে গেলে ওরা আরো ভয় দেখাতে চায়। আমি দোয়া দুরুদ পড়তে লাগলাম মনে মনে। কিছুক্ষণ হাটার পরে যখন মসজিদের একেবারে কাছে চলে এসেছি তখন আমার ডান পাশে হটাত একটা পাতা নড়ার শব্দ পেলাম। কিন্তু ওই দিকে তাকিয়ে আবার যখন সামনে তাকালাম তখন দেখি আমার সামনে ওই লোকটা নেই। আমি সামনে এগিয়ে মসজিদের জানালা দিয়ে ভিতরে তাকালাম কিন্তু না ভিতরে কেউ ছিলনা। আমি তাড়াতাড়ি বাড়ি পোঁছে প্রায় অজ্ঞান হয়ে পড়ি। সবাইকে পরে এ ব্যাপারে বললে কেউ বিশ্বাস করেছিল কিনা জানিনা কিন্তু ওই রাত্রের ঘটনা মনে পড়লে আমি এখনো শিউরে উঠি।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!