রেল স্টেশনে একটি ভিক্ষুক ভিক্ষা করছিল।তার সামনে ভিক্ষার জুলিতে ছিল এক বান্ডিল পেন্সিল।এক ব্যবসা প্রতিষ্টানের কর্মকর্তা ট্রেনে ওঠার আগে তার ঝুলিতে একটি ডলার ফেলে দিয়ে কিছুক্ষন পরে কী ভেবে কয়েকটি পেন্সিল তুলে নিয়ে বললেন,’এক ডলারে এই কয়েকটা পেন্সিলই পাওয়া যাবে। তুমিই বা এমনি ডলারটা নেবে কেন?আমিই বা দেব কেন এই বলে লোকটি ট্রেনে উঠে গেলেন।
ছয়মাস পরে সেই কর্মকর্তার সঙ্গে ভিক্ষকের আবার দেখা হল এক পাটিতে।এবার ভিক্ষটি স্যুট-টাই পরে রীতিমত এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি।সেই কর্মকর্তাকে চিনতে পেরে তার কাছে গিয়ে বলল,“সম্ভত আপনি আমাকে চিনতে পারছেন না।তার পর ষ্টেশনের ঘটনা টি বলার পর কর্মকর্তা চিনতে পারলেন।জিজ্ঞেস করলেন,“আপনি এখানে কি করছেন”?পূর্বতন ভিক্ষটি জবাব দিলেন,“আপনি সাধারণত বুঝতে পারেননি আপনি আমাকে কি শিক্ষা দিয়েছেন।আমার আত্নমর্যাদা ফিরিয়ে দিয়েছেন।
আপনি বলেছেন,পেনছিলের গুলোর দাম হয়ত এক ডলার হবে।তাই এক ডলার দিয়ে পেন্সিল গুলো নিয়েছিলেন।এই কথা শুনে আমি বুঝলাম ভিক্ষা করা আত্নসম্মান নষ্ট করে আমি কি লাভ করছি!এর থেকে জীবনে গঠনমূলক কিছু করা উচিৎ।ভিক্ষার ঝুলি গুটিয়ে নিয়ে আমি কাজ করতে শুরু করলাম।তার ফলে আজ আমি এই অবস্থায় এসে পৌছেছি।আপনাকে ধন্যবাদ আপনি আমার আত্নমর্যাদা ফিরিয়ে দিয়েছেন; ফলে আমার জীবনে পরিবর্তন এসেছে।ভিক্ষটির আত্নমর্যাদা বোধ উদীপ্ত হল বলেই তার চিন্তা,কর্মপন্থা ও কর্মদক্ষতাতেও পরিবর্তন এল।জীবনে আত্নমর্যাদাবোধ ম্যাজিকের ন্যায় কাজ করে।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।