
ঘটনাটি যখন ঘটেছিলোঃ সাল ১৯৮০। ঘটনাটি আসলে দেখেছে আমার মামা। আমার নানা একজন মাউলানা সাহেব। তিনি তার ছেলে (আমার মামা) কে চট্রগ্রামে একটি মাদ্রাসায় পড়তে পাঠান।
আমার মামা যেই মাদ্রাসায় ছিলেন সেই মাদ্রাসার পাশে একজন বিরাট ধনী লোক থাকতেন। সেই লোক প্রতি শুক্রবারে মাদ্রাসা থেকে ১০ জন ছাত্রকে নিজের বাসায় নিয়ে যেতেন এবং তাদের খাওয়াতেন। সিরিয়াল অনুযায়ী সব ছাত্ররাই তার বাসায় খানা খেতে যেত।
তো, একবার সেই সিরিয়াল অনুযায়ী একবার আমার মামার সময় এলো। মামা এবং তার সাথের আর ১০ জন ছাত্র যাওয়ার জন্য তৈরি হলেন। রেডি হবার পর দেখা গেলো ৯ জন আছেন, কিন্তু আসাদ নামের একজন ছেলে, যার বাকিদের সাথে যাবার কোথা ছিল, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
তাহলে সবাই খুব হন্যে হয়ে তাকে খুঁজে বেড়াতে লাগলো। মাদ্রাসার প্রায় সব জায়গাতেই দেখা হল, কিন্তু তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। হটাত কেউ একজন বলল, “আসাদের তো জ্বর। ও ছাদে মুয়াজ্জিনের রুমে ঘুমাইছে!”
তারপর এক ছাত্র সেই রুমে নক করল। কিন্তু ভেতর থেকে কেউ দরজা খুলল না। এইবার সে জোড়ে জোড়ে বাড়ি দিতে লাগলো। কিন্তু তারপরও ভেতর থেকে কোনও সাড়াশব্দ এলো না।
শেষমেশ ছেলেটি কার্নিশের উপর দাঁড়িয়ে জানলা দিয়ে ভেতরে উকি দিল। ছেলেটি উকি দিয়ে খুব ভয়ঙ্কর কিছু একটা দেখল। দেখার সাথে সাথে বিকট চিৎকার দিল এবং হুড়মুড় করে ছাদে এসে পড়লো।
ছাদে এসেই সে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। জ্ঞান ফেরার পর হুজুর তাকে জিজ্ঞেস করেন যে, “তুই কি দেখেছিলি?” সে বলল, “আমি দেখলাম আসাদের ড্রেস পড়া একটা মোটা অজগর সাপ বিছানায় শুয়ে আছে!”
একথা শুনে হুজুর সবাইকে বললেন যে আসাদকে যেনও কেউ কিছু না বলে। তারপর কিছুদিন পড়ে আসাদ সুস্থ হলে হুজুর তাকে কাছে ডেকে বলেন, বাবা আসাদ, তুমি যে একজন জীন সেটা আমরা সবাই টের পেয়েছি।
তুমি যদি এখানে থাকো তাহলে সব ছাত্র তোমার ভয়ে চলে যাবে। তাই তোমার কাছে অনুরোধ যে, তুমি এখান থেকে চলে যাও। এরপর আসাদ নামের সেই জীনটি ঐ মাদ্রাসা থেকে চলে যায়।
কিন্তু যাওয়ার আগে সে হুজুরকে নিজের সম্পর্কে কিছু কোথা বলে গিয়েছিলো, যেমন, আসাদ তার প্রকৃত নাম নয়। তার নাম আমানুল্লাহ। তার বয়স ৩৮৬ বছর এবং তার মত অনেক জীন বিভিন্ন মাদ্রাসা এবং অন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানুষের রূপ ধরে মানুষের সাথে পড়াশোনা করে।
আসাদ রূপি আমানুল্লাহ আর বলেছিল যে, জীনরা যখন অসুস্থ থাকে তখন তারা কোন রূপে থাকে তা নিজেরাও বুঝতে পারে নাহ।