স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ার একটি অঙ্গরাজ্য হলো এলচে। এখানে একটি পুরনো স্প্যানিশ গির্জা রয়েছে। গির্জার পাশেই আছে এক প্রাচীন খ্রিস্টান কবরস্থান। শহরটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার।
শোনা যায়, ১৫ শতকে এক মহামারীতে এই শহরের প্রায় সকল মানুষ মারা যায়। বিংশ শতাব্দীতে গবেষকদের ধারণা ছিল, হয়তো কোনো সংক্রামক রোগের কারণে এমনটা ঘটেছিল। কিন্তু সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয় ২০০৮ সালে, যখন শহরটির পুরনো গির্জা থেকে একটি ডায়েরি আবিষ্কৃত হয়।
ডায়েরিটি ছিল গির্জার এক প্রাক্তন পাদ্রীর। তিনি সেখানে স্পষ্টভাবে ডাইনিদের কথা উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি লিখেছেন, সেই সময়ে এক পরিবারের চার সদস্যকে কালো জাদুর সাধক মনে করে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। এরপর থেকেই সন্ধ্যার পর শহরের (সেই সময় এটি একটি বিশাল গ্রাম ছিল) আকাশে আগুনের একটি গোলা ঘুরতে দেখা যেত। আতঙ্কে মানুষ সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দেয়।
কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। এক অজানা রোগ দ্রুত পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রথমে শরীরে লালচে দাগ দেখা যেত, পরে সেই দাগ থেকে এক ধরনের পোকা বের হতে শুরু করত। প্রচণ্ড যন্ত্রণায় তারা চিৎকার করত, কিন্তু কোনোভাবেই তাদের বাঁচানো যেত না। রোগটি অত্যন্ত সংক্রামক ছিল, তাই কেউ আক্রান্তদের কাছেও যেত না।
পাদ্রী তার ডায়েরিতে স্বীকার করেছেন যে তিনিও সেই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ধারণা করা হয়, সেই রোগেই তার মৃত্যু হয়েছিল।
এই পৃথিবীতে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটে চলছে, যার ব্যাখ্যা আজও অজানা। আমরা কতটুকুই বা জানি?
আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের সহি-সালামতে থাকার তৌফিক দান করুন। আমীন।
