নন্দিতা আর কুলিয়ে উঠতে পারছে না। অফিস-বাসা এত কাজের চাপ। কাজের লোক ছাড়া যেন আর এক মুহূর্ত চলছে না। নন্দিতা চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় থাকে পেয়ারার মায়ের। পেয়ারার মা অনেক দিন ধরেই এই কাজ করে। দেশ থেকে কাজের লোক এনে পরিচিত মানুষের বাসায় দেয়। নিজে কারও বাসায় আর কাজ করে না। এই দেয়া-নেয়াতেই ওর ভালো একটা টাকার পরিমাণ জমে। ওতেই ওর নিজের সংসারের খরচ চলে যায়। তার একটা ভালো গুণ যে বাসায় কাজের লোক দেবে সেই বাসার খোঁজখবর আগে নেবে। ওদের নেয়া-আনার দায়িত্বও তার।
বৃহস্পতিবার বিকেলবেলা মেঘ না চাইতেই বর্ষণ। সত্যি সত্যি পেয়ারার মা একজন বুয়া নিয়ে হাজির। নন্দিতা দারুণ খুশি। সঙ্গে সঙ্গেই পেয়ারার মায়ের হাতে একখানা কড়কড়ে পাঁচশ টাকার নোট গুঁজে দেয় নন্দিতা। দেখে তো ভালোই লাগল নন্দিতার। চেহারায় মনে হচ্ছে ঠাণ্ডা স্বভাবেরই হবে। ইনোসেন্ট গোছের চেহারা। একটু ক্লান্তির ছাপ। ও কিছু না, এতটা পথ জার্নি করে এসেছে। তার ওপর আবার দুটো ছেলেমেয়েকে মায়ের কাছে রেখে এসেছে, মন তো একটু খারাপ হতেই পারে। যাক সামনে শুক্রবার পাওয়া গেল। আরম্ভ হল নন্দিতার বুয়া কিত্তন, বুয়া রন্ধন প্রশিক্ষণ, ঘরবাড়ি-পরিচ্ছন্ন অভিযান। বুয়াটা মুখরা নয়, তাই আর বশীকরণ করতে হল না অতটা।
সারাটা সপ্তাহজুড়েই নন্দিতার মনে ফুরফুরে দখিনা বাতাস বইছিল। নিজেকে একটু হালকা হালকা লাগছিল। পুরো সপ্তাহ বেশ খোশ মেজাজেই কাটল নন্দিতার। দ্বিতীয় সপ্তাহের শুক্রবার পুরো সপ্তাহের প্রস্তুতি
পর্বে গিয়ে দারুণভাবে হোঁচট খেল নন্দিতা। বেশ উৎসাহের সঙ্গেই বুয়ার সামনে এলো সকাল সকাল নন্দিতা। ওর দিকে ভালো করে নজর রাখতেই বুকটা আঁতকে উঠল, একি বিমর্ষ চেহারা! একেবারে ফ্যাকাসে লাগছে। কত দিন যেন ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করেনি সফুরা। কী হয়েছে সফুরা বুয়া? কাজ কি বেশি হয়ে গেছে? তোমাকে এমন লাগছে কেন? আজ না হয় কাজ কমিয়ে করো। কাপড় ধোয়া বাদ দিও। সময় তো পালিয়ে যাচ্ছে না! সফুরা তোমার কি শরীর খারাপ? খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো করছ তো?
সফুরার জবাব খুব আস্তে আস্তে, খাইতাম পারি না খালাম্মা। কী কইরা যে কথাটা আফনারে কইবাম? কথাগুলো বলে আবার মাথা নিচু করে সফুরা।
কেন? কোনো সমস্যা?
কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে পরে মাথা নাড়ে সফুরা। বলে, জে খালাম্মা, একটা সমস্যা তো হইছেই।
ওর কথা শুনে ভীষণভাবে অস্থির হয়ে ওঠে নন্দিতা। আসতে না আসতেই কি এমন সমস্যা হল?
বলো বুয়া, তাড়াতাড়ি বলো। আমার তো মনে হয় না যে তোমাকে আমি কোনো অযত্নে রেখেছি।
সফুরা- না, খালাম্মা না আমার মনে কয় কিছু হইব। আগে দুইবার পুয়াতি হইছি না? ঠিক হেই রহমই শরীরটা গুলায়।
নন্দিতা আতঙ্কিত। বিস্মিত হয়ে বলে- এসব তুমি কী বলছ সফুরা? তুমি না বলেছ তোমার স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে দুবছরের বেশি? আর আমার বাসায় এসেছ তো সবে মাত্র দুসপ্তাহ। কী করে এটা সম্ভব কিছুই তো বুঝে উঠতে পারছি না। এসব আজেবাজে চিন্তা মাথা থেকে সরিয়ে ফেল। তোমার টাইফয়েড বা জন্ডিসও তো হতে পারে। আগে ডাক্তার দেখিয়ে নেই, তবেই বোঝা যাবে।
নন্দিতা আবার জিজ্ঞাস করে- তুমি কি এবারে দেশে গিয়ে আবার বিয়ে করেছ নাকি?
সফুরা কিছু বলে না, শুধুই কাঁদে। কাঁদতে কাঁদতে উঠে গিয়ে রান্নাঘরের দরজাটা একটু ঠেলে দিয়ে আসে। তারপর মুখ খোলে। কাঁদতে কাঁদতে বলে- খালাম্মা এমন লজ্জার কথা কেমবাই কইয়াম! হঠাৎ করেই নন্দিতার দুই পা জড়িয়ে ধরে- বিশ্বাস করেন খালাম্মা দুই বছর হেই বাসায় ছিলাম। হেই বাসার কেউ আমার চরিত্রের দোষ দিতে পারত না। ভালাই ছিলাম। আপনার বাসারও কোনো দোষ নাই। একবার দেশে গিয়া আমার কী যে হইল, এই পোড়া শরীরটারে বাইন্ধা রাখতে পারলাম না কেন? এইডা আমার কুপালের দোষ।
খালাম্মা গো খরা নদীতে বান আইছিল- বান আইছিল। সেই অমানিশা রাইতে আমার ওপর জিনের আসর হইছিল। তা না হইলে এমন ব্যাক্কলের লাহাইন কামডা করলাম কেমবায়?
নন্দিতা আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারছে না। বুয়ার কথাগুলো শুনে ওর হার্টবিট বেড়ে গেছে। সত্যি যদি তাই হয় তবে কী করবে? আর এমনভাবে ওকে বাসায় রাখার তো প্রশ্নই ওঠে না। আশপাশের মানুষজনই-বা কী ভাববে। সফুরা ওর আগের ঘটনাগুলো নন্দিতাকে বলেছে। সফুরার শাশুড়ি সেই ছোট্ট সুন্দর মেয়েটিকে ঘরের বউ করে তুলেছিল। সুন্দর সুখের একটা সংসার ছিল ওদের। জমি-জিরাত কম থাকলেও সুখ ছিল। সফুরার রূপের ঝলক ছিল। বিগত-বন্যায় তাদের গ্রামে আকাল এলো। গ্রামে কাজকাম না থাকায় দূরের গ্রামে রোজগারের উদ্দেশে পাড়ি জমাতে হয় সফুরার স্বামী রুস্তম আলীকে। ওটাই ওদের জীবনে কাল হয়েছিল। দুই মাস অন্তর অন্তর কাজ শেষে বাড়ি ফেরে। সেই টাকায় গরু, ছাগল কেনে। সংসারের আয়-উন্নতি করে। দুইবার ঠিক সময়মতোই এসেছিল গ্রামে। তৃতীয়বার আর রুস্তম আলীর খবর নাই। ছয় মাস হয়ে যায় তবুও কোনো খবর পায় না। সাত মাস পরে বাড়ি ফেরে। হাতে তেমন টাকাও আনতে পারেনি রুস্তম আলী। সফুরা ভাবে, এই রুস্তম তো সেই রুস্তম নেই। তবুও মুখে কিছু বলে না। ভাবে টাকা-পয়সা ঠিকমতো আনতে পারেনি তাই হয়তো মন খারাপ।
সেই ছয় মাস রুস্তম আলীর জীবনে ঘটে গেছে আরেক অধ্যায়। রুস্তম আলীর মতো আরও কয়েকজন কামলা মিলে একটা ছাপরায় থাকত। ওদের রান্নাবান্না করে দিত মতিন কামলার ছোট বোন। কেমন করে যে কী হয়ে গেল রুস্তম আলীও বুঝে উঠতে পারেনি।
বানুর সঙ্গে ভালো লাগা তারপর ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে রুস্তম আলীর। তার পরিণতিতে বিয়ে, বাধ্য হয়েই মতিন আর ওর বউ মিলে ননদের বিয়ে দিয়ে দেয় রুস্তমের সঙ্গে। তাদেরও জানা ছিল না যে রুস্তম আলী বিবাহিত। কয়েক মাসের আনন্দের যদি ভাটা পড়ে তাই মুখ খোলেনি রুস্তম আলী।
সেই খেসারত যে এভাবে দিতে হবে সফুরাকে সে কি তা জানত? সফুরা সেদিনের কথাগুলো নন্দিতাকে বলেছে- খালাম্মা গো, এমন তেমন কইরা দিন পার হইতাছে। এর মইধ্যে একদিন এক মাইয়্যা মানুষ এক মাসের একটা বাচ্চা কোলে লইয়্যা আমাগো উঠানে। হের লগে এক বেডা। আমার লগেই পরথম কথা কয় সেই পুরুষ মানুষডা। আমি কই, কে তোমরা? কারে চাও?
-এইডা রুস্তম আলীর ঘর না?
– হ রুস্তম আলীর ঘর। হেয় বাজারে গেছে। তোমরা কারা?
– আমার নাম মতিন কামলা। আমার বইন বানু রুস্তম আলীর বউ। হেরে আর বাইচ্চাডারে দিতাম আইছি। রুস্তম আলীর মা-বাপ কি বাড়িত আছে?
খালাম্মা গো আসমান থনে ঠাডা পড়ল আমার মাথায়। বিদিশার মতইন হইয়্যা গেলাম।
মতিন- বিয়া কইরা হেগরে রাইখ্যা আইছে হেই কবে, আইজও খবর নেয় নাই। কত যে খোঁজখবর করতাছি। পরে না খবর পাইলাম।
নিজের ধৈর্যের পরীক্ষায় উতরে গেল সফুরা। শান্তভাবে ঘরের ভেতরে নিয়ে যায় সফুরা ওদের। শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে ওদের বুঝিয়ে দিয়ে সে তার পাশেই ননদ আম্বিয়ার ঘরে চলে যায়। ডুকরে কেঁদে ওঠে। আছড়ে মাটিতে বসে পড়ে। সমবয়সী ননদ আম্বিয়াকে বলে সব কথা। রাগত স্বরে আম্বিয়া বলে- ভাউজ, তুমি কইলাম কামটা ঠিক করলা না। তোমার সংসারডা আরেক বেডির হাতে তুইল্যা দিয়া আইল্যা?
– কী করবাম? মারামারি করবাম? তার ভাত আর আমার কুফালে নাই। যার লগে মজছে হের লগেই থাহুক।
আম্বিয়া- আসলে মাইয়্যা মানুষ কুড়িতেই বুড়ি। আর পুরুষ মানুষ বুড়া হয় না।
সফুরা- কেন? আমারে কি বুড়ির লাহাইন লাগে?
– না গো ভাউজ, না। রূপে-গুণে তুমি হইলা অবিকল পরীর লাহাইন। তোমারে কোনো পুরুষ মানুষ ভুলতে পারে?
এই ঘটনার পর দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে সোজা বাপের বাড়ি। শত অনুরোধেও ঐ মুখো হয়নি সফুরা। এরপর পেয়ারার মায়ের সঙ্গে চলে এসেছে ঢাকায়। দুবছর কাজ করে গেছে। এবারে দেশে গিয়ে প্রায় চার মাস ছিল। চিন্তায় ডুবে যায় নন্দিতা।
সফুরা ডাকে- ও খালাম্মা শুনতাছেন আমার কথা! খালাম্মা আমাকে বাঁচান। সারা জীবন আপনার গোলামি করুম। এই মুখ আমি কারও দেহাইতাম পারতাম না।
– সফুরা এবার আসল কথাটা বলো। তুমি কি তোমার স্বামীর কাছে যেতে চাও? আমার কোনো আপত্তি নেই। তোমার যেখানে ভালো হবে তুমি সেখানে থাকতে পারো।
না না খালাম্মা, যাওনের কথা কই না। যাওনের পথ আমি নিজ হাতে বন্ধ কইরা আইছি। হেও কি অহন আমারে বিশ্বাস করব? কী যে কমু? কেমনে কমু? এমন শরমের কথা।
সেই এক অমানিশা রাইত। সফুরা বলতে থাকে সেই রাতের কথা। ঘরে কেউ নাই। বাজান আর মায়ে গেছে ভাইয়ের বাড়ি, হের বউয়ের বাচ্চা হইব। আর আমার পোলা-মাইয়া খাইয়া-লইয়া ঘুমাইছে। একলা একলা ভালা লাগতাছিল না। উঠানে হাঁটাহাঁটি করতেছিলাম। ঘুইটঘুইট্টা আন্ধাইর রাইতের মধ্যে কে একজন গলা ঝাড়া দেয় আমার কাছাকাছি আইস্যা।
কে কে?
সফুরা না? রুস্তম আলী ডাকে।
আমি, চুপ। আবার ডাকে, সফুরা না?
আমি কই- হ্যয়, কেন এই রাইতে আইছ? কেউ তো বাড়িত নাই।
– জানি হের লাইগ্যাই তো আইছি। তোর লগে বোঝাপড়া করতে। তুই তো এখনও আমার বউ। তোরে কি আমি ছাইড়া দিছি? তুই না রাগ কইরা ঢাকায় চইলা গেছস।
– এখন যাও আমার লগে আর কোনো কথা নাই তোমার।
রুস্তম আলী আরও কাছে আসে। আস্তে আস্তে ওর হাত ছুঁয়ে ফেলে। কাছে টানে। সফুরা আর কোনো প্রতিবাদ করতে পারে না। নিসাড়-নিস্তব্ধ চারিদিক। সফুরার সারা শরীরে শিহরণ। সেই প্রথম রাতের মতো অনুভূতি ওকে ছুঁয়ে ছুঁঁয়ে যায়। নিজেকে আর শক্ত করে বেঁধে রাখতে পারে না সফুরা।
ওর সারা শরীরে ভালো লাগার আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে। সব পুড়ে যাক- সব পুড়ে যাক। এত দিনের উত্তাপহীন দেহে আজ আগুন জ্বর। সফুরাকে আলতো করে টেনে ঘরে তোলে রুস্তম আলী। ভালো লাগার অনুভূতিতে ভেসে যায় ওরা দুজন।
কিছুক্ষণ পরে অচেতন সৌন্দর্যের ঘোর কাটে। সফুরা কাঁদতে থাকে- এইডা তুমি কী করলা? এইডা তুমি কী করলা?
রুস্তম আলী সান্ত্বনা দেয়, তোরে আমি আলাদা ঘর কইরা দিমু। তুই তো আমার বউ এখনও আছস। বাচ্চা দুইডা আমার না! হেগোরে লইয়া থাকবি। তোরে তো আমি তালাক দেই নাই।
তবুও সফুরা কাঁদে আর কিছু বলতে পারে না।
-যাই, কাইল সকালে আসুম নে।
পরের দিন সকালে বাড়ি আইস্যা বাজানরে বুঝায়।
-এই গ্রামে কেউ কি নাই দুই বউ লইয়্যা? ভুল একটা কইরা ফেলাইছি, হেই বেডিরে কই ফালামু? সফুরার লাইগা আলাদা ঘর কইরা দিমু। হেরে রাজি করান।
সফুরার জবাব শুধু না আর না। যাবে না সে ঐ বাড়ি কিন্তু রাতের ব্যাপারে সে অনুতপ্ত। সকলেই ওকে বুঝায়, যেতে বলে রুস্তম আলীর ঘরে। ওর কেন যেন বিশ্বাস হয় না আর মনে হয়- আমার এই টাকার লোভে আমারে আবার নিতে চায়।
ঘর বাঁইন্ধা দিব হেয় কোন টাকায়? টাকা কি তার হাতে আছে? কাউকে কিছু না বলে কয়েক দিন পর পেয়ারার মাকে খবর দিয়ে আবার ঢাকার পথে পাড়ি জমায়। পেয়ারার মা-ও চালাকি করে ওকে আগের বাসায় আর দেয় না। আগের বাসায় গেলে তো তার আর টুপাইস ইনকাম হবে না। নতুন বাসায় দিলে লাভ আছে। তাই নন্দিতার কাছে নিয়ে আসে।
সফুরা ভাবতেও পারেনি সেই অমানিশা রাতের ভূত এমনভাবে ছায়ার মতো তাকে অনুসরণ করবে।
সফুরার কথাগুলো শুনে নন্দিতা কিছুক্ষণ চুপ থাকে। ভাবে, এমন ভুল কখনও কারও জীবনে ঘটতে পারে? শরীর-মন যেন কারও কথা কেউ বোঝে না। কিছুই নিজের আয়ত্তে থাকে না। লাগামহীন ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকে। ভেসে চলে মন কোনো এক সে াতধারায়। এই তো জীবনের এক অন্য রূপ।
নন্দিতা বলে- তোমার স্বামী তো তোমাকে নিতেই চায়। দেখতে পারো বুঝিয়ে তাকে। যেতে পারো তোমার স্বামীর ঘরে।
সফুরা- নিষিদ্ধ ফল খাইছি খালাম্মা। হেয় যদি অহন বিশ্বাস না করে! এত দেমাগ দেখাইয়্যা আইছি। হগলেই কইব- আবার কী মতলবে আইছস? আমি তো কিছু পরমান দিতে পারুম না। কেউ তো কিছু জানে না। আমার মায়েও কিছু জানে না। অহন আমার স্বামী আমার লগে কতখানি … কে জানে? আরও খারাপ অবস্থায় পড়তে পারি।
আবার কাঁদতে থাকে সফুরা- লজ্জায়, অভিমানে, অপরাধবোধে। খালাম্মা গো অহন আপনি আমার মা-বাপ। আমি সারা জীবন আপনার গোলামি করুম। যেমনে পারেন আমার খালাস করার ব্যবস্থা করেন। কাকপক্ষী কেউ জানি জানে না। হেই পেয়ারার মা, আমার মায়ে, কেউ না খালাম্মা গো কেউ না। হের কোনো চিহ্ন রাখতে চাই না। আমি অহন অকূলে। আমারে একটা কূল কইরা দেন খালাম্মা। আপনার কথা আমি মাথা পাইত্তা নিমু। আমারে বাঁচান খালাম্মা।
নন্দিতা ভাবে, একটা গতি তো করতেই হবে।
লেখক : সাহিত্যিক
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।