দরজায় তালা লাগাতে যাব ঠিক তখুনি অন্ধকারে নারীকন্ঠ ফিসফিস করে বলছে, তুমি আমায় ভুলতে পার না কেন জাফর? আশ্চর্য! ফরিদা ভাবির কন্ঠস্বর।
কে যেন খনখনে কন্ঠে বলল, আমি যে তোমায় ভালোবাসি পরী।
আমি শিউরে উঠলাম।
সিঁড়ি দিয়ে কয়েক ধাপ নেমে আসি। নীচে বাল্ব জ্বলেছিল। আবছা আলোয় দেখলাম একটি নারীমূর্তি একটি লম্বা শীর্ণ ছায়া ছায়া শরীরের সঙ্গে ঠেস দিয়ে বসে আছে। নারীকন্ঠ বলল, আমি এখন যাই জাফর। আমার স্বামী ঘুমিয়ে আছে।ঘুম ভেঙেআমাকে না দেখলে আমি বড় বিপদে পড়ব যে।
আচ্ছা যাও। কাল আবার এসো কেমন।
আসব। তুমি অপেক্ষায় থেকো। কেমন?
আমি চট করে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠে দরজার আড়ালে চলে এলাম। পাল্লার ফাঁকে দেখি আবছা অন্ধকারে নারীমূর্তি। দরজার পাল্লা ঠেলে ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল। ফরিদা ভাবি?
আমার কৌতূহল হল। আমি দ্রুত রান্নাঘরে চলে আসি। রান্নাঘরে অন্ধকার। জানালার ওপাশের ধবল পূর্ণিমার আলো। বাঁশঝাড়ে বাতাসের শনশন শব্দ। কে যেন কবরস্থানের দিকে হেঁটে যাচ্ছে। লম্বা, শীর্ণ, ছায়া-ছায়া শরীর। আবু জাফর? না তার প্রেত? প্রেত পিছন ফিরে ঘুরে ওপরে তাকালো। রান্নাঘরে তো অন্ধকার। কী করে টের পেল যে আমি তাকে দেখছি ? আমি কেঁপে উঠলাম। দ্রুত ভাবছি উর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে আমার কালিকাপুর স্টেশনে পৌছতে কত সময় লাগবে …..
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।