এক হরিণের তেষ্টা পাওয়ায় সে এক ঝরণায় পানি পান করতে এসেছে। পানি খাওয়া হয়ে গেলে তার নজরে পড়ল ঝরণায় পানিতে তার প্রতিবিম্ব পড়েছে। নিজের অদ্ভুতু জমকালো শিং দুটি দেখে বুক তার গর্বে ফুলে উঠল, কিন্তু এর পরই নিজের পা গুলির দিকে নজর পড়তে মনটা তার একবারে খিচড়ে গেলঃ আঃ কি বিচ্ছিরি সরু – সরু পা আমার, এ কি ঐ শিং এর সঙ্গে মানায়! : হরিণ এই সব ভাবছে এমন সময় এক সিংহ এসে গেল সেখানে তাকে ধরতে । সিংহকে দেখামাত্র হরিণ দিল ছুট। সিংহও ছুটছে তার পিছু পিছু। খোলা জায়গা পেয়ে হরিণ সিংহকে অনেক পিছু ফেলে ছুটছে। ছুটতে ছুটতে তারা এক বনের মধ্যে এসে গেল। বনে অনেক ঝোপ-ঝাড়, গাছ, গাছের ডাল-পালা। তার ভিতর দিয়ে ছুটতে গিয়ে হরিণের শিং গেল আটকে ! সেই ফাঁকে সিংহ ছুটে এসে তাকে ধরলে । মরবার সময় হরিণ বড় দুঃখেই মনে মনে বললে, হায়, আমার যে পা গুলিকে আমি ঘৃণা করেছিলাম তারাই আমায় এতক্ষণ বাঁচিয়ে রেখেছিল? আর যে দুটি শিং-এর জন্য আমি নিজেকে ধন্য মনে করে ছিলাম তারাই আমার মৃত্যু ডেকে আনল।
উপদেশ: বিপদের সময় প্রায়ই দেখা যায় যাদের আমরা চিরকাল অবজ্ঞা করে এসেছি তারাই আসছে সাহায্যের জন্যে ছুটে আর যাদের বিশ্বস্ততায় আমাদের অটুট বিশ্বাস ছিল তারাই যাচ্ছে সরে।