অচেনা দ্বীপের গল্প– চতুর্থ পর্ব

 

তুমি আমাকে নিয়ে কৌতুক করছ।

মোটেও না। যে মানুষ আমাকে সিদ্ধান্ত নামের দরজা দিয়ে রাজপ্রাসাদ থেকে বের করে এনেছে আমি তাকে নিয়ে  কৌতুক করতে পারি না।

আমাকে মাফ করো।

যাই ঘটুক না কেন, আমি আর কোনও দিন ওখানে ফিরে যাব না।

চাঁদের আলো এখন সরাসরি পরিচ্ছন্ন নারীর মুখে এসে পড়ছে।

সুন্দর, সত্যি সুন্দর, ভাবল লোকটা, এবং এই মুহূর্তে সে উপহার পাওয়া ক্যারাভেলের কথা ভাবছে না।

আর মেয়েটা…সে কিছুই ভাবছে না। তার যত ভাবনা ছিলো সব ভেবে নিয়েছে ওই তিনদিনে: বার বার, খানিক পরপর, আর্জির দরজা খুলে যখন দেখেছে লোকটা এখনও ওখানে অপেক্ষা করছে কিনা।

রুটি বা পনিরের একটা কণাও পড়ে থাকল না, না পড়ে থাকল ওয়াইনের একটা ফোঁটা। জলপাইয়ের বিচিগুলো তারা সাগরে ফেলে দিলো। আবার ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে উঠল ডেক। এই সময় ওদেরকে চমকে দিয়ে কাছাকাছি কোনও স্টিমশিপ থেকে সাইরেন বেজে উঠল। এর মানে হলো, ওটা রওনা হচ্ছে।

মেয়েটা বলল, আমাদের যখন সময় হবে, আমরা এত শব্দ করব না।

ওরা বন্দরের ভেতর দিকে রয়েছে, তারপরও স্টিমশিপ পাশ কাটানোর সময় ছোট ছোট ঢেউ সামান্য দুলিয়ে দিয়ে গেল ওদের ক্যারাভেলকে।

লোকটা বলল, তবে আমরা অবশ্যই এরচেয়ে বেশি দোলা দিয়ে যাবো।

দুজনেই হেসে উঠল। তারপর আর কেউ কিছু বলছে না।

খানিক পর, দুজনের একজন, শুতে যাবার প্রসঙ্গটা তুলল -এবার শুতে গেলে হয়, তবে বলছি না যে আমার ঘুম পেয়েছে।

অপরজন রাজি হলো। তবে স্বীকার করল, তারও ঘুম পায়নি।

তারপর আবার চুপ করে থাকল দুজন।

চাঁদ আরও ওপরে উঠছে। এক সময় মেয়েটা বলল, নীচে বাঙ্ক আছে, শুতে হলে ওখানে যেতে হবে।

লোকটা বলল, হ্যাঁ।

তখনই উঠল ওরা, ধাপ বেয়ে ডেকের নীচে নামল।

নীচে নামার পর মেয়েটা বলল, কাল আবার দেখা হবে। আমি ওদিকে যাচ্ছি।

লোকটা উত্তরে বলল, ঠিক আছে, আমি ওদিকে যাচ্ছি, কাল আবার দেখা হবে।

তারা পোর্ট বা স্টারবোর্ড বলল না, কারণ সম্ভবত এই যে  কৌশলটা তাদের দুজনেরই জানা আছে।

মেয়েটা ঘুরে ফিরে এলো, বলল, আরে, আমার একদম মনে  নেই। সে তার অ্যাপ্রনের পকেট থেকে দুটো আধপোড়া মোমবাতি বের করল। বলল, ঝাড়মোছ করার সময় এগুলো আমি পেয়েছি। কিন্তু আমার কাছে দেশলাই নেই।

আমার কাছে আছে, লোকটা বলল।

দু’হাতে ধরা দুটো মোম বাড়িয়ে ধরল মেয়েটা। দেশলাই জ্বালল তার সঙ্গী, সাবধানে এক এক করে মোমের সুতো ধরালো। জোড়া মোমের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠল মেয়ের মুখ। লোকটা কি ভাবছে, তা আর বলার প্রয়োজন নেইÑও অসম্ভব সুন্দর।

তবে মেয়েটা এরকম ভাবছে: এটা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে  নিজের চোখ দিয়ে সে শুধু অচেনা দ্বীপই দেখতে পাবে।

এটা শুধু একটা উদাহরণ যে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের চোখের দৃষ্টি কতটুকু ভুল অনুবাদ করতে পারে, বিশেষ করে তাদের যখন সবেমাত্র পরিচয় হয়।

মেয়েটা ওর হাতে একটা মোম ধরিয়ে দিলো, বলল, তাহলে কাল আবার দেখা হচ্ছে, ভালো একটা ঘুম দাও।

লোকটাও তাকে এই একই কথা বলতে চাইল, তবে অন্যভাবে: তুমি ঘুমের মধ্যে মিষ্টি স্বপ্ন দেখো।

পরে, নীচের ব্যাঙ্কে শুয়ে, লোকটার মনে হলো আরও মজার এবং অর্থবহ কিছু বলা উচিত ছিলো তার। যেমনটি হওয়া উচিত কোনও লোক যখন একটা মেয়ের সঙ্গে একা থাকে। সে ভাবল, ও কি এত তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছে? ওর হয়তো ঘুম আসতে দেরি হয়। দেরি হয় ধরে নিয়ে কল্পনায় আমি তাকে খুঁজতে বেরোলাম। ওকে খুঁজছি কিন্তু কোথাও পাচ্ছি না। আমরা দুজনেই তাহলে বিরাট একটা জাহাজের ভেতর হারিয়ে গেছি।

 

ঘুম ভারি দক্ষ জাদুকর। জিনিসের আকার-আকৃতি আর ধরন-ধারণ বদলে দেয়, বদলে দেয় একটার সঙ্গে আরেকটার  দূরত্ব। মানুষকে আলাদা করে ফেলে। আবার উল্টোটাও কি সত্যি নয়? ওরা একজনের পাশে আরেকজন শুয়ে আছে। এই সময়, এই রাত আর এই চাঁদ কিভাবে যেন এক করে ফেলেছে ওদেরকে। যদিও পরস্পরকে কোনও রকমে দেখতে পাচ্ছে ওরা। মেয়েটা শুয়ে আছে তার কাছ থেকে মাত্র ক’ফুট দূরে, কিন্তু সে ওর নাগাল পাচ্ছে না, অথচ পোর্ট থেকে স্টারবোর্ডে যাওয়াটা কত সহজ।

লোকটা কামনা করেছিল মেয়েটা স্বপ্ন দেখুক, কিন্তু স্বপ্ন যা দেখার সে নিজেই দেখছে। সে দেখছে তার ক্যারাভেল খোলা সাগর ধরে সবেগে ছুটছে। প্রবল বাতাসে ফুলে আছে তিনটে পালই। জাহাজের নাক উঁচু উঁচু ঢেউ কেটে এগোচ্ছে। সে-ই চালাচ্ছে জাহাজ, মাঝি-মাল্লারা সব ছায়ায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছে। এই মাঝি-মাল্লারা এখানে কেন এসেছে তার কোনও ধারণা নেই। এরাই তো তারা, যাদেরকে তার সঙ্গে অচেনা দ্বীপ খুঁজতে যেতে রাজি করানো যায়নি। সম্ভবত তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার পর অনুশোচনা জেগেছে তাদের মনে।

লোকটা আরও দেখল, ডেকে কিছু পশু-পাখি চরে বেড়াচ্ছে-হাঁস, খরগোস, মুরগি, ছাগল, গরু। কবে বা কখন ওগুলোকে জাহাজে তোলা হয়েছে মনে করতে পারছে না সে। কিন্তু ঘটনা যে ঘটেছে সেটা তো পরিষ্কারই দেখতে পাচ্ছে। ওগুলো যে এখানে থাকবে, এটাই যেন স্বাভাবিক, কারণ অচেনা দ্বীপটা মরুভ‚মিও তো হতে পারে, যেমনটি অতীতে বেশ কয়েকবার ঘটতে দেখা গেছে।

খোলের গভীর গর্ত থেকে ঘোড়াদের চিঁহিঁ-চিঁহিঁহি কোরাস ভেসে আসতে শুনছে সে। ষাঁড় হুঙ্কার ছাড়ছে। গাধা ব্যা ব্যা করছে। ওরা ভার বহন করতে ওস্তাদ। কিন্তু ওগুলো সব এলো কখন। ছোট একটা ক্যারাভেলে ওগুলোর জায়গাই বা হচ্ছে কিভাবে, যেখানে মাঝি-মাল্লাদেরই জায়গা দেয়া দুষ্কর। তারপর সে দেখল জাহাজে বেশ কিছু মহিলাও আছে, প্রত্যেকে তারা কোনও না কোনও কাজে ব্যস্ত।

এটা স্বপ্ন ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। কারণ বাস্তব জীবনে এভাবে কেউ ভ্রমণ করে না। জাহাজের হুইল ধরে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটা পরিচ্ছন্ন নারীর খোঁজে চারদিকে তাকাল, কিন্তু তাকে কোথাও দেখতে পাচ্ছে না।

হতে পারে সে হয়তো ডেস্ক ধোয়া-মোছার শক্ত কাজটা করার পর স্টারবোর্ডের ওদিকে একটা বাঙ্কে বিশ্রাম নিচ্ছে। উঁহুঁ, না, ভাবল সে. আমি আসলে নিজেকে বোকা বানাতে চেষ্টা করছি। আমার মন জানে, কিভাবে জানল বলতে পারব না, একেবারে শেষ মুহূর্তে আমার এদিকে না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে। তারপর জাহাজ থেকে লাফ দিয়ে জেটিতে নেমেছে, চিৎকার করে বলেছে, শুভ বিদায়! আমি চলে যাচ্ছি! কারণ শুধু অচেনা দ্বীপ ছাড়া আর কিছু দেখতে রাজি নয় তোমার চোখ।

কিন্তু ওগো মেয়ে, কথাটা সত্যি নয়। এই দেখো তার চোখ এখন শুধু তোমাকেই খুঁজছে, কিন্তু কোথাও পাচ্ছে না।

ঠিক এই সময় আকাশে প্রচুর মেঘ চলে এলো, এবং নেমে এলো ঝমঝম বৃষ্টি। আর বৃষ্টি পেয়ে ডেকের একধারে মাটিভর্তি সারি সারি বস্তা থেকে চারা গজাতে শুরু করল। অচেনা দ্বীপে কি পাওয়া যায় না যায় ভেবে বস্তায় ভরে তারা সব ধরনের বীজই নিয়ে এসেছে-সেখানে তারা গোলাপ-জুঁই-চামেলি যেমন ফোটাতে পারবে, তেমনি ফলাতে পারবে গম, চাল, ভুট্টা থেকে শুরু করে সব ধরনের ফল, তরকারী, শাক-সবজিও।

হুইলে দাঁড়ানো লোকটা ডেকে বিশ্রামরত মাঝি-মাল্লাদের জিজ্ঞেস করল, মানুষের বসতি নেই এমন কোনও দ্বীপ এখন পর্যন্ত তাদের চোখে পড়েছে কিনা।

জবাবে তারা জানাল, কোনও দ্বীপই তাদের চোখে পড়েনি। তবে যেকোনও দ্বীপ পেলেই হলো, সেখানে নোঙর ফেলার সুযোগ থাকলে, নেমে পড়বে তারা। সেখানে অবশ্য সরাইখানা থাকতে হবে, যেখানে তারা গলা ভেজাতে পারবে, শুতে পারবে-এখানে সে সুযোগ নেই তাদের। এখানে এক জায়গায় এত লোক জড়ো হয়ে থাকায় তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।

হুইলে থাকা লোকটা জিজ্ঞেস করল, তাহলে অচেনা দ্বীপের কি হবে?

অচেনা দ্বীপের অস্তিত্ব নেই। ওটা শুধু তোমার মাথায় একটা আইডিয়া হয়ে আছে।

আমার যাত্রায় বিঘ্ন সৃষ্টি না করে তোমাদের উচিত ছিলো শহরে পড়ে থাকা।

কিভাবে ভালো থাকা যায় তার সন্ধানে ছিলাম আমরা, তোমার লোক লাগবে শুনে সুযোগ নিতে চলে এসেছি।

তোমরা মাঝি-মাল্লা নও।

কোনও দিন ছিলাম না।

কিন্তু মাঝি-মাল্লা ছাড়া এই জাহাজ আমি একা চালাতে পারব না।

এটা তোমার ভাবা উচিত ছিলো রাজার কাছে জাহাজ চাইতে যাবার আগে। কিভাবে জাহাজ চালাতে হয়, এটা তোমাকে সাগর শেখাবে না।

এই সময় হুইলে দাঁড়ানো লোকটা কাছাকাছি দূরত্বে জমিন দেখতে পেলো। সে ওটাকে দেখতে না পাবার ভান করে পাশ কাটিয়ে চলে যাবার চেষ্টা করছে, মনে মনে ভাবছে-আমি ভুল দেখছি! কোথায় ডাঙা!

কিন্তু ডেকে বসা লোকগুলো, যারা মাঝি-মাল্লা নয়, তারা প্রতিবাদ করল। চিৎকার করে বলল, আরে, এই দ্বীপ তো মানচিত্রে নেই! তুমি যদি ওখানে আমাদের না নামতে দাও, তোমাকে আমরা খুন করব।

তারপর, ক্যারাভেল নিজে থেকেই, ওই ডাঙার দিকে ঘুরে গেল, প্রবেশ করল বন্দরে, থামল জেটির পাশে। তোমরা এখন নামতে পারো, হ্ইুলে দাঁড়ানো লোকটা বলল।

সঙ্গে সঙ্গে সবাই তারা জাহাজ থেকে নেমে গেল। প্রথমে মেয়েরা, তাদের পিছু নিয়ে পুরুষরা। কিন্তু তারা শুধু একা গেল না, যাবার সময় সঙ্গে করে নিয়ে গেল হাঁস-মুরগি, খরগোস, গরু-ছাগল, গাধা, ঘোড়া ইত্যাদি সবই। এমনকি গাংচিলরাও থাকল না, তারা ঠোঁটে করে বয়ে নিয়ে গেল তাদের বাসা-এরকম দৃশ্য আগে কেউ কখনও দেখেনি, তবে প্রথমবার বলে কথাটা সব ক্ষেত্রেই খাটে।

হুইলের লোকটা চুপচাপ এই প্রস্থানপর্ব চাক্ষুষ করল। যারা তাকে ছেড়ে যাচ্ছে তাদেরকে থামানোর কোনও চেষ্টাই করল না সে। হাতের কাছে যা পেয়েছে সব নিয়ে গেলেও, কিছু জিনিস নেয়নি তারা, যেমন-গাছপালা, চারা আর বীজ। হুড়োহুড়ি করায় মাটিভর্তি বস্তার মুখ খুলে গেছে, ফলে ডেকে ছড়ানো মাটি দেখে মনে হচ্ছে ওটা একটা খেত, ইতিমধ্যে হাল দেয়া হয়েছে, আর সামান্য বৃষ্টি হলেই খুব ভালো ফসল ফলবে।

যখন থেকে অচেনা দ্বীপের সন্ধানে এই অভিযান শুরু হয়েছে তখন থেকে হুইলের দায়িত্বে থাকা লোকটাকে আমরা একবারও খেতে বসতে দেখিনি, এর কারণ নিশ্চয়ই স্বপ্ন দেখছিল সে, শুধুই স্বপ্ন দেখছিল, আর স্বপ্নের ভেতর যদি সে এক টুকরো আপেল কিংবা এক টুকরো রুটি খেয়ে থাকে সেটা হবে নিখাদ বানানো গল্প, তার বেশি কিছু না।

গাছপালার শিকড় এখন জাহাজের কাঠামো ভেদ করছে। আর বেশি দেরি নেই যখন টাঙানো পালগুলোর প্রয়োজন ফুরাবে। বাতাস তখন শুধু গাছের মগডালে লাগলেই হবে, ক্যারাভেল রওনা হয়ে যাবে নিজ গন্তব্যে।

ওটা একটা জঙ্গল, যেটা ঢেউয়ের সঙ্গে পানির ওপর উঁচু-নিচু হচ্ছে। এমন একটা জঙ্গল, কেউ জানে না কিভাবে সম্ভব, যেখানে গাছে গাছে বসে পাখিরা গান গাইতে শুরু করেছে। ওগুলো নিশ্চয়ই কোথাও লুকিয়ে ছিলো, হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে বেরিয়ে এসেছে আলোয় জগতে। এর কারণ সম্ভবত এই যে খেতে গম পাকতে শুরু করেছে, এবার ওগুলো কাটতে হবে।

কাজেই হুইলে তালা দিলো লোকটা, কাস্তে হাতে নেমে পড়ল খেতে। মাত্র কয়েক গোছা কাটা হয়েছে, নিজের ছায়ার পাশে আরেকটা ছায়া দেখতে পেলো সে। তার ঘুম ভাঙল বাহুর ওপর পরিচ্ছন্ন নারীকে নিয়ে, ওই মেয়ের হাতও দেখা গেল তার গায়ের ওপর পড়ে আছে। ওদের শরীর আর ওদের বাঙ্ক এক হয়ে গেছে, যে কারণে কেউ বলতে পারছে না এটা পোর্ট আর এটা স্টারবোর্ড। তারপর, সূর্য উঠতে, ওই লোক আর মেয়ে ক্যারাভেলের নাকের দু’পাশে সাদা রঙ দিয়ে কিছু হরফ আঁকতে শুরু করল-জাহাজটার নাম লিখছে ওরা। অবশেষে সাগরের পথে যাত্রা শুরু করল অচেনা দ্বীপ, খুঁজে বেড়াচ্ছে নিজেকে।

 

গল্পের প্রথম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!