হরিপুরের হরেক কান্ড– অষ্টম পর্ব – পর্ব-শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

গল্পের নবম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

জগা ভয় খেয়ে বলল, যে আজ্ঞে।

খালের ওপর একখানা পুরনো নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। তার ওপারে বাবলাবনের ভেতর দিয়ে একখানা জঙ্গুলে পথ আছে বটে, কিন্তু লোকবসতি নেই। লোকটা জগাকে বাঁশের সাঁকোর মুখটায় এনে ফেলল, ঘাড়টা এমন চেপে ধরে আছে যে জগা অন্যরকম কিছু করতে পারছে না।

সে বলল, এবার বলে ফেলুন। লোকটা খ্যাক খ্যাক করে হেসে উঠে বলল, বড্ড তাড়া দেখছি যে হে জগা ওস্তাদ। আমার হাত থেকে ছাড়া পেতে চাও নাকি ? তাহলে যা বলব মুখ বুজে করবে, নইলে বিপদ।

জগা চিঁচিঁ করে বলল, করবটা কী মশাই, সেইটে আগে বলুন।

শোনো জগা, কাজটা তোমার প্রথমটায় শক্ত মনে হতে পারে। তবে এ ধরনের কাজ প্রথমটায় শক্ত লাগলেও ধীরে ধীরে দেখবে সড়গড় হয়ে যাবে।

যে আজ্ঞে। মোটে একশ টাকায় শক্ত কাজ করা যে ভারি শক্ত হয়ে যাচ্ছে মশাই, তাও কাজটা কতটা শক্ত তা এখনও বলেননি।

কাজটা শক্ত বলেছি বুঝি? তা হবে, তবে তোমার কাছে হয়তো তেমন শক্ত নাও মনে হতে পারে।

কাজটা ক ? লোকটা একটু গলাটা নামিয়ে বলল, একজন বুড়ো মানুষকে বৈতরণীটা একটু পার করে দিতে হবে।

বৈতরণীটা পার করতে হবে? কথাটা ঠিক মাথায় যেন সেঁধোচ্ছে না মশাই |

বৈতরণী জানো না?

সে জানি, ওই তো মরার পর যে খালটা পেরোতে হয়।

বাঃ এই তো বুঝেছে।

না, ঠিক বুঝতে পারছি না আজ্ঞে।

বুড়ো মানুষটার বয়স নব্বইয়ের ওপর, কঞ্জুস লোক, টাকার পাহাড়ের ওপর বসে আছেন। এই মানুষটি ভবলীলা সাঙ্গ না করলে কিছু অসুবিধে দেখা দিচ্ছে। জগা হঠাৎ লোকটার প্রস্তাবের অর্থ বুঝতে পেরে চোখ কপালে তুলে বলল, আপনি কি খুন-খারাপির কথা কইছেন নাকি?

লোকটা চোখ একটু ছোটো করে চেয়ে বলল, তুমিই না একটু আগে বলছিলে ছিচকে চোর হয়ে থাকতে তোমার ঘেন্না করে। তুমি জীবনে উন্নতি করতে চাও, বলোনি?

জগা কাঁপতে কাঁপতে বলে, আজ্ঞে তা বলেছি, তবে খুন-খারাপি আমি পেরে উঠবো না। ও আমার পোষাবে না মশাই।

তাহলে যে তোমার কপালে দুঃখ আছে জগাইচাঁদ।

জগা লোকটার দিকে চেয়ে বলল, আমাকে ছেড়ে দিন। মেলা লোক পাবেন, আমাদের নিবারণ শীলই তো টাকা নিয়ে খুন করে বেড়ায়। তাকে ধরুন।

লোকটা মাথা নেড়ে বলল, উঁহু, আমার তোমাকেই দরকার।

জগা বলল, কিছু চিন্তা করবেন না মশাই, নিবারণ আমার পিসতুতো ভাইয়ের শালার পাশের গাঁয়ে থাকে। খুব চেনা লোক, দশ বিশ টাকা কমিয়েও দিতে পারব।

লোকটা মাথা নেড়ে বলল, নিবারণ নয়, কাজটা যে তোমাকেই করতে হবে জগাইচাঁদ।

আজ্ঞে, ও এলেম আমার নেই।

আছে কি না সেটারই পরীক্ষা হবে, শোনো জগা, কার ভেতরে কোন গুণ আছে তা আমার মতো কম লোকই বুঝতে পারে। আমি হলাম মানুষের জহুরী। তোমাকে দেখেই বুঝেছি, এই ছিচকে চোরের জীবন তোমার নয়। তোমার অন্যরকম জীবন হওয়া উচিত ।

জগা মলিন মুখ করে বলল, ওসব কি আমার সাধ্যি বাবু? ও আমি পেরে উঠব না।

একশো টাকার কথা শুনে হতাশ হয়ো না। একশো টাকাটা কথার কথা। কাজটা উদ্ধার যদি করে দাও, কোনওরকম গণ্ডগোল যদি না হয়, তাহলে পাঁচটি হাজার টাকা পাবে।

পাঁ… পাঁচ…

হ্যাঁ, পাঁচ হাজারই।

জগা তবু কাঁপতে কাঁপতে বলল, আজ্ঞে শুনে কাজ করার লোভও হচ্ছে, কিন্তু মনটা সায় দিচ্ছে না যে! বুকটা কাঁপছে।

লোকটা হাসল, বলল, আচ্ছা আচ্ছা, দশ হাজারই পাবে। এবার কাঁপুনিটা কমেছে?

জগা একটু নড়েচড়ে বলল, যে আজ্ঞে, বুকটা আর কাঁপছে না তো। যদি আরও পাঁচ হাজার দিই? জগা বুক চিতিয়ে বলল, আজ্ঞে কখন করতে হবে কাজটা ?

জিলিপি মাথায় উঠেছিল পাগলুর সে বড়বড় চোখ করে দেখছিল দশাসই লোকটার পাল্লায় পড়ে জগার কেমন বেড়ালের থাবায় ইঁদুরের মতো অবস্থা। বেগতিক দেখে পাগলু আর এগোয়নি। একটু ঘাপটি মেরে থেকে লক্ষ্য করল, লোকটা জগাকে খালধারে বাঁশঝোপের আড়ালে ঘাড়ে ধরে নিয়ে গেল। মারবে না কাটবে কে জানে বাবা, চেঁচামেচি করলে লোক জড়ো হবে বটে, কিন্তু সেটা তাদের পক্ষে ভাল হবে কি না কে বলতে পারে। গাঁয়ে মোটেই তাদের সুনাম নেই। লোক জড়ো হলে উলটে তারাই না হাটুরে কিল খেয়ে যায়।

পাগলুকে সুতরাং অপেক্ষা করতেই হল। ভরসার কথা, দশাসই লোকটার গায়ে সবুজ জামা, এই লোকই যদি চিঠি দিয়ে থাকে? তবে হয়তো মারধর করবে না |

খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হল না পাগলুকে। কিছুক্ষণ পরেই দেখল জগা হাসিহাসি মুখে বেশ তরতরিয়ে এদিক পানে আসছে। সঙ্গে দশাসই লোকটা নেই।

রমেশের ছিটকাপড়ের দোকানের পাশে পাগলু ধরল জগাকে, কী রে, কখন থেকে তোকে খুঁজছি!”

“ওঃ পাগলুদাদা, মার দিয়া কেল্লা।”

“মেরেছিস।”

“তবে আর বলছি কী ? এই দেখ কড়কড়ে দুশো টাকা, চলো, জিলিপি খাই। আমার এখন খিদেটা চাগাড় দিয়েছে।”

পাগলু চোখ ছোটাে করে গম্ভীর মুখে বলল, “দ্যাখ জগা, আমি একটু আগেই তোকে বলেছিলাম কি না যে, তোর নজর বড় ছোট হয়ে যাচ্ছে।”

জগা খ্যাঁক করে উঠে বলল, “কেন কেন, নজরটা ছোটো বুঝলে কিসে?”

“মাত্র দুশো টাকা পেয়েই বলছিস মার দিয়া কেল্লা ? একে ছোটো নজর বলে না তো কাকে বলে? দু-পাঁচ হাজার টাকার বরাত পেতিস তা হলে না হয় বুঝতাম, মাত্র দুশো টাকা পেয়ে কেউ এত লাফায়?”

উত্তেজিত জগা বেশ চড়া গলায় বলল, “দুশো টাকা কী বলছ গো ? বিশ লাখ টাকার বরাত পেয়ে এলাম আর দুশো বলছ? জগা কি ছোটোলোক নাকি গো পাগলুদাদা?”

পাগলু এমন আঁতকে উঠল যে, বাক্য সরতে চাইল না, বিশ লাখ কথাটা যেন জীবনে প্রথম শুনছে। মাথাটাও এক পাক ঘুরে গেল। কিছুক্ষণ দম ধরে থেকে বলল, “কত বললি ?”

জগা অট্টহাসি হেসে বলল, “বিশ লাখ, বুঝলে ?

বিশ লাখ ” চারদিক থেকে লোকজন তাদের দিকে তাকাচ্ছে, পাগলু হঠাৎ জগার মুখটা হাতের চেটোয় চাপা দিয়ে ধরে বলল, “বুদ্ধ কোথাকার! এসব কথা চেঁচিয়ে বলতে আছে?”

জগা কাঁচুমাচু হয়ে চারদিকে চেয়ে গলা খাটো করে বলে “টাকাটা বড্ডই বেশি তো, তাই গলাটা আপনা থেকেই ওপরে উঠে গেছে।”

“আমারও মাথাটা কেমন পাক মারছে। খালি পেটে এসব উত্তেজক কথাবার্তা ভাল নয়। চ, আগে পেটপুরে জিলিপি খেয়ে নিই। তারপর পেট আর মাথা দুই-ই ঠাণ্ডা হলে একটু ফাঁকে বসে নিরালায় কথা হবে।”

“তাই চলো ”

“তা দুজনেই বেশ উত্তেজিত বলে খিদেটাও জম্পেশ রকমেরই হয়েছিল। ইয়া বড়বড় সাইজের জিলিপি এক-একজনে ত্ৰিশটা করে খেয়ে টিপকলে গলা অবধি জল গিলে মুখ মুছে হাটের বাইরে একখানা জামগাছের তলায় জুত করে বসল।       তারপর পাগলু বলল, “এবার ধীরেসুস্থে বেশ গুছিয়ে বল।”

“এই সে-ই লোক, বুঝলে ?”

“কোন লোক ? যে চিঠি দিয়েছিল ?”

“তা আমি জিজ্ঞেস করিনি, তবে সে ছাড়া আর কে হবে ?”

“তা না হয় হল, কিন্তু বিশ লাখ টাকা দিচ্ছে, ব্যাপারটা তো সোজা নয়, কাজটাও গুরুতরই হবে। কাজের কথা কিছু বলল ?”

“সে কথায় আসছি। তার আগে একটা কথা ।”

“কী কথা বলে তো !”

“তুমি কি জানো যে পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা খুব বেড়ে যাচ্ছে ?”

“তা আর জানি না! এই হরিপুরের হাটেই কি দশ বছর আগে এত লোক হত? আজকাল গিজগিজ করছে মানুষ। পৃথিবীতে লোক বাড়ছে এটা সবাই জানে ৷”

“সে কথা ঠিক। কিন্তু বাড়াটা উচিত হচ্ছে কি ?”

“সবাই তো বলে মোটেই উচিত হচ্ছে না। যত লোক বাড়বে ততই অভাব-অনটন বাড়বে, গণ্ডগোল বাড়বে, খেয়োখেয়ি বাড়বে |”

“তা হলেই বোঝো, দুনিয়াটা একদম উচ্ছন্নে যাবে যদি লোকের সংখ্যা আরও বাড়ে।”

“অত ঘুরিয়ে বলছিস কেন ? আসল কথাটা বলে ফেল ”

“সেই কথাতেই আসছি। তাড়াহুড়ো করতে নেই। গুছিয়ে না বলতে পারলে ব্যাপারটা তোমার মাথায় ঢুকবে না।”

“তা হলে গুছিয়েই বল, কিন্তু ঘুরিয়ে বলিস না বাপ ।”

“তা হলে শোনো, এই যে লোক বাড়ছে এটা যদি ভাল না হয় তা হলে এর উলটোটাই ভাল, কী বলো ?”

“তার মানে ?”

“ধরো, যদি লোক আর বাড়তে না দিয়ে যদি ধীরে ধীরে কমিয়ে ফেলা যায় তাহলে কেমন হয়?”

পাগলু চোখ সরু করে জগার দিকে তাকিয়ে বলল, “কমাবি? কেমন করে কমাবি?”

জগা উদাস গলায় বলে, “কাজটা যদি ভালই হয়, কমানোই যদি সাব্যস্ত হয় তবে তার জন্য যা করা দরকার তা করতে হবে ।”

মাথা নেড়ে পাগলু বলল, “কথাটা বুঝলুম না। আরও খোলসা করে বল ”

“ইয়ে মানে, বলছিলাম কি, ধরে যদি দুনিয়া থেকে কিছু লোকজন লোপাট করে দেওয়া যায় তাহলে কাজটা কি খারাপ হবে ?”

“লোপাট করবি কীভাবে ?”

“তোমার সঙ্গে কথা বলাটা বড্ড ঝকমারি হয়ে যাচ্ছে। এত কম বোঝো, কেন বলো তো ? বুদ্ধির গোড়ায় একটু জল দাও।”

পাগলু খুবই গম্ভীর হয়ে বলল, “বুঝতে যে একেবারে পারছি না তা নয়। কিন্তু যা বুঝেছি তা-ই তুই বলতে চাইছিস কি না সেটাও তো বোঝা দরকার ”

“কী বুঝছ সেইটা আগে বলো।”

“তুই খুন-খারাপির কথা বলতে চাইছিস নাকি ?”

“আহা, খুন-খারাপ হিসেবে না ধরলেই তো হয়। ধরো, পৃথিবীর ভালই করতে চাইছি। একটা লোক কমে যাওয়া মানে হল একটা পেট কমল, একখানা ঘর, একখানা বিছানা খালি হল, শ্বাসের জন্য একটু অক্সিজেন বাঁচল। সব হিসেব করে দেখলে দেখবে, ব্যাপারটা যত খারাপ শোনাচ্ছে ততটা খারাপ নয় ।”

“পাগলু থমথমে মুখ করে বলে, “লোকটা তোকে কী প্রস্তাব দিয়েছে সেটা আমাদের বাংলা ভাষায় বলতো বাপ । বাবু ভাইদের মতো সোজা কথাকে প্যাচে ফেলিস না ।”

জগা একটু চুপ করে থেকে বলল, “কাজটা খুবই সোজা। মহামায়াতলায় একজন বুড়ো মানুষ আছেন, বয়স তা ধরো পঁচানব্বই-ছিয়ানব্বই হবে। খুব কঞ্জুষ লোক, তা এই লোকটিকে বৈতরণী পার করিয়ে দিতে হবে। তা হলেই হাতে একেবারে কড়কড়ে বিশ হাজার—”

“হাজার? এই না বিশ লাখ বললি?”

“বলেছি ! পাগলুদাদা, আমাদের কাছে হাজারে আর লাখে তফাত কী বলো তো ! কত টাকায় হাজার হয় তা-ই তো আজ অবধি জানলুম না। বললে ভুলই বলেছি। লাখ নয়, হাজার ”

একটা শ্বাস ফেলে পাগলু বলল, “তার মানে লোকটা তোকে খুনের কাজে লাগাতে চাইছে।”

“আহা, খুনটুন বললে ভাল শোনায় না পাগলুদাদা।”

“কেমন শোনায় জানি না। কিন্তু কাজটা খুনই, শোন, তোর সঙ্গে অনেক দিনের সম্পর্ক। তোকে ছোট ভাইয়ের মতো দেখি। কিন্তু তোর মাথায় যদি এসব পাপের চিন্তা ঢোকে তা হলে আর তোর ছায়াও মাড়াব না।”

জগা কাচুমাচু হয়ে বলে, “তা হলে কি চিরটা কাল ছিচকে চোরই থেকে যাবো পাগলুদাদা? জীবনে উন্নতি করতে পারব না ?”

“চোর থেকে খুনি হওয়া কি উন্নতি রে পাগল ? তোর ধর্মে কী বলে?”

“ফস করে ধর্মের কথা তোলো কেন বলে তো !”

“ধর্ম বলে একটা ব্যাপার আছে, তাই বলি, চুরিও অধর্ম কিন্তু জীবহত্যা ওরে বাপ রে !”

“হাসালে পাগলুদাদা। জীবহত্যা যদি পাপ হবে তবে পাঁঠা কাটলে, মাছ মারলে, মশা মারলে যা পাপ মানুষ মারলেও তার বেশি পাপ হওয়ার কথা নয় ।”

পাগলু কাহিল মুখে একটু হেসে বলল, “তোর বুদ্ধি খুব খুলেছে রে জগা। বেশ বলেছিস । কিন্তু আমি ওর মধ্যে নেই। তোকে বলি, তুইও থাকিস না। মশা মারলে ফাঁসি হয় না। কিন্তু মানুষ মারলে হয়, এটা তো মানিস !”

“ফাঁসি হয়, ধরা পড়লে, ধরা না পড়লে কিছু হয় না।”

“ধরা পড়বি না কে বলতে পারে ?”

“ভেবে দেখতে হবে ।”

“লোকটাকে খুন করতে চায় কেন এই লোকটা ?”

“তা অত খোলসা করে বলেনি। আন্দাজ করছি, বুড়ো মানুষটা এর মামা বা কাকা গোছের কেউ হয়। সে মারা গেলে এ-লোকটা সম্পত্তি পাবে।”

“বটে ! তা দেশে কি খুনির অভাব? টাকা ফেললেই কত লোক গিয়ে খুন করে আসবে। লোকটা তোকে এ-কাজের জন্য বাছল কেন ?”

“আমার মধ্যে নাকি মস্ত বড় হওয়ার মতো গুণ আছে। সেই দেখেই।”

“তোর মাথা ।”

“তা হলে কী ?”

“বলব ? বললে বিশ্বাস করবি ?”

“বলেই দ্যাখো না ।”

“খুন যদি তুই করিসও লোকটা তোকে ফাঁসিয়ে দেবে। একটি পয়সাও আর পাবি না। উলটে ধরা পড়ে ফাঁসিতে যাবি। লোকটা তোকে বলির পটা করেছে।”

শুনে একটু ছাইবৰ্ণ হয়ে গেল জগা, বলল, “তাই নাকি পাগলুদাদা ?”

“তাই তো মনে হচ্ছে।”

“কিন্তু কাজটা যদি না করি তা হলে যে লোকটা পুলিশের কাছে যাবে। তার কাছে আমার সব অপকর্মের একটা ফৰ্দ আছে।”

“তা থাক। তুই বরং পালা।”

“পালাব ! কোথায় পালাব ?”

দু’জনের যখন এরকমতরো কথা হচ্ছে, কারোই কোনও দিকে খেয়াল নেই, তখন হঠাৎ পেছনের বাবলা ঝোপের আড়াল থেকে বেঁটেখাটো একটা লোক বেরিয়ে এসে বলল, “ওঃ, তোমাকে খুঁজে খুঁজে যে হয়রান হলাম হে জগা !”

লোকটার গায়ে সবুজ জামা। দুজনে হাঁ করে চেয়ে রইল

 

গল্পের নবম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!