হরিণীর কালেমা শাহাদত পাঠ

উম্মে ছালমা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এক মাঠ অতিক্রম করছিলেন। হঠাৎ এক হরিণী তাঁকে হে আল্লাহ্‌র রাসূল! বলে ডাকল। তিনি ঘুরে একটি হরিণী বাধা অবস্থায় দেখতে পেলেন। ওটার পাশেই এক গ্রাম্য ব্যক্তি ঘুমাচ্ছিলেন। তিনি হরিণীকে জিজ্ঞেস করলেন, কিছু বলবে কি? হরিণী কাতর কণ্ঠে বলল, এ দেহাতী ব্যক্তিটি আমাকে শিকার করে এনেছে। ঐ পাহাড়ে আমার ছোট ছোট দুটি শাবক আছে। আপনি আমাকে মুক্ত করে দিন, আমি ওদেরকে দুধ পান করিয়ে আবার ফিরে আসব। তিনি বললেন, সত্যিই তুমি ফিরে আসবে? সে বলল হ্যাঁ! অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হরিণীর বন্ধন মুক্ত করে দিলেন। হরিণী তৎক্ষণাৎ ছুটে গিয়ে তাঁর দু বাচ্চাকে দুধ পান করিয়ে তৎক্ষণাৎ ফিরে এল। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)  ওটাকে পূর্বের ন্যায় বেঁধে রাখলেন। ইত্যবসরে দেহাতী লোকটি নিদ্রা থেকে জাগল। সেখানে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে দেখতে পেয়ে সে আরজ করল, আপনার কোন নির্দেশ আছে কি? তিনি বললেন, তুমি এ হরিনীটিকে ছেড়ে দাও। সে তৎক্ষণাৎ তাঁকে বন্ধন মুক্ত করে দিল। হরিণী মুক্তি পেয়ে সেখান থেকে প্রস্থান করতে করতে বললঃ

اشْهَدُ انْ لّآ اِلهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه، وَ اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدً اعَبْدُه وَرَسُولُه

অর্থাৎঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্‌ ব্যতীত আর কোন ইলাহা নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই আপনি আল্লাহ্‌র রাসূল! (বায়হাকী, তাবরানী)

উক্ত বর্ণনাটি একাধিক সনদ দ্বারা বর্ণিত হয়েছে। সুতরাং ইবনে হাজরের বর্ণনা সঠিক।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।