হযরত হাসান বসরী (রঃ) – পর্ব ২১
হযরত হাসান বসরী (রঃ) – ২০ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
২০. যিনি আল্লাহ্কে চিনিছেন তিনি আল্লাহ্র সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছেন। আর যিনি দুনিয়া চিনেছেন, তিনি আল্লাহ্র সঙ্গে শত্রুতায় লিপ্ত হয়েছেন।
২১. মানুষের রিপুগুলিকে খুব শক্ত শেকলে বেঁধে রাখতে হয়। পশুদের ক্ষেত্রে তেমনটি দরকার হয় না।
২২. তোমাদের পূর্বপুরুষদের কোরআন পাকের প্রকৃত মর্যাদা রক্ষা করেছেন। কোরআনের আদেশ-নির্দেশ নিয়ে রাত ভর চিন্তা করেছেন আর দিনে তার চর্চা করেছেন। কিন্তু তোমরা বিশুদ্ধরূপে কোরআন পাঠ কর, তার জের, জবর ঠিক করে দাও। কিন্তু কোরআন পাকের মূল লক্ষ্য তোমাদের মধ্যে প্রতিফলিত হয় না। কেবল অধ্যয়নই চলছে। কিন্তু তার বিধি-বিধান জীবন যাত্রার পাথেয় হিসেবে গৃহীত হচ্ছে না।
২৩. আল্লাহ্ যাকে ঘৃণিত করে দিয়েছেন, সে ব্যক্তিই দুনিয়ার প্রতি আসক্ত।
২৪. যে মানুষ অন্য মানুষকে শুধু বশীভূত করতে চায়, সে প্রকৃত জ্ঞানী নয়। তাছাড়া তার অন্তরে রয়েছে অসৎ উদ্দেশ্য।
২৫. অপরকে কোন কঠোর আদেশদানের পূর্বে নিজে তার চর্চা করা চাই।
২৬. যে অন্যের দোষ তোমাকে বলে, সে নিশ্চয় তোমার দোষও অপরকে বলে।
২৭. আমার স্ব-ধর্মবলম্বী ভাই সহোদর ভাইয়ের চেয়েও প্রিয়- যদি তার মধ্যে প্রকৃত দ্বীন থাকে। তার দ্বারা যে উপকার পাওয়া যাবে, স-ধর্মচ্যুত সহোদর ভাইয়ের দ্বারা তা কখনই সম্ভব নয়। তার দ্বারা পার্থিব কিছু কাজ হতে পারে, কিন্তু ধর্মনিষ্ঠ ধর্ম ভাইয়ের দ্বারা পারলৌকিক উপকার লাভ হয়।
২৮. বন্ধু-বান্ধবের জন্য কে কতটা খরচ করল, আল্লাহ্র কাছে তার তেমন গুরুত্ব নেই। গুরুত্ব রয়েছে পিতা-মাতার প্রতি কে কেমন খরচ করল তার ওপর। আল্লাহ্ খুব ভালোভাবেই তার হিসাব রাখেন।
২৯. যে নামাজ মনকে সংযত করে, সে নামাজই আল্লাহ্র ক্ষমা আশা করতে পারে। হযরত হাসান বসরী (রঃ)-এর মোনাজাতও মনকে বিপুলভাবে টানে। তিনি বললেন প্রভু আমার!! আপনি আমাকে যে নেয়ামত দান করেছেন, আমি তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিনি। আপনি আমাকে বিপন্ন করেছেন, কিন্তু আমি ধৈর্য ধারণ করতে পারিনি। কিন্তু কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিনি বলে আপনি আপনার নিয়ামত তুলে নেননি। আর ধৈর্য্য ধরিনি বলে আমার বিপদও স্থায়ী করেননি। প্রভু গো! আপনার মধ্যে বদান্যতা ও রহমত ছাড়া আর কিছুই নেই।
হযরত হাসান বসরী (রঃ) – শেষ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া