হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-আল-আমীন উপাধী

মক্কা শরীফের বতনে নখলা ও তায়েফের মাঝামাঝি একটি শহর ছিল যার নাম ছিল ফাতক। সে শহরের নিকট একটি বিশাল প্রান্তে বছরে একবার মেলা বসত। যেখানে দূর দুরান্তের লোকজন আগমন করত। ঐ বাজারের নাম ছিল ছুক্বে ওকাজ। সে বাজারে ব্যবসায়ীকে মালামাল বেচাকেনা হত এবং প্রত্যেক গোত্র কবিতার মাধ্যমে তাদের পূর্ব পুরুষের গুণ গরিমা বর্ণনা করে অন্য গোত্রের উপর গর্ব করত। তাতে কোন সময় দুই কবীলার মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যেত। যা দীর্ঘকাল পর্যন্ত চালু থাকত এবং বহু লোক প্রাণ হারাত।

এ সকল যুদ্ধ হরবুল ফুজ্জার নামে পরিচিত। যার একটি যুদ্ধ কোরাইশ ও বনু হাওয়াজেনের মধ্যে সংগঠিত হয়েছিল। তখন নবীজীর বয়স ১২/১৪ বছর ছিল। তিনি এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে যুদ্ধের অস্ত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনী সামগ্রী চাচাকে পরিবেশন করে দেন। তাতে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন এবং তিনিও কাবার একজন রক্ষক হয়ে প্রমাণ করলেন। তার সততা, আমানতদারী, বাহাদুরী, কওমের হামদরদী দেখে সকলে তাঁকে ঐ যুদ্ধেই ‘আল-আমীন’ খেতাব প্রদান করল।

আরো পড়তে পারেন...

গাধার সংগীতচর্চা

এক গাঁয়ে এক ধোপার ছিল একটা গাধা। তার নাম অদ্ভূত। দিনভর গাধা ধোপার কাপড়ের বোঝা…

গাধা ও ব্যবসায়ী

এক লবণের ব্যবসায়ী সস্তায় পেয়ে একদিন বাজার থেকে প্রচুর লবণ কিনল। বোঝা বইবার জন্য ব্যবসায়ীর…

পায়রা ও পিঁপড়া

একদিন এক পিঁপড়ে পিপাসায় কাতর হয়ে নদীতে জল পান করতে গেল। এমন সময় আচমকা বাসাতের…

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-আল-আমীন উপাধী

মক্কা শরীফের বতনে নখলা ও তায়েফের মাঝামাঝি একটি শহর ছিল যার নাম ছিল ফাতক। সে শহরের নিকট একটি বিশাল প্রান্তে বছরে একবার মেলা বসত। যেখানে দূর দুরান্তের লোকজন আগমন করত। ঐ বাজারের নাম ছিল ছুক্বে ওকাজ। সে বাজারে ব্যবসায়ীকে মালামাল বেচাকেনা হত এবং প্রত্যেক গোত্র কবিতার মাধ্যমে তাদের পূর্ব পুরুষের গুণ গরিমা বর্ণনা করে অন্য গোত্রের উপর গর্ব করত। তাতে কোন সময় দুই কবীলার মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যেত। যা দীর্ঘকাল পর্যন্ত চালু থাকত এবং বহু লোক প্রাণ হারাত।

এ সকল যুদ্ধ হরবুল ফুজ্জার নামে পরিচিত। যার একটি যুদ্ধ কোরাইশ ও বনু হাওয়াজেনের মধ্যে সংগঠিত হয়েছিল। তখন নবীজীর বয়স ১২/১৪ বছর ছিল। তিনি এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে যুদ্ধের অস্ত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনী সামগ্রী চাচাকে পরিবেশন করে দেন। তাতে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন এবং তিনিও কাবার একজন রক্ষক হয়ে প্রমাণ করলেন। তার সততা, আমানতদারী, বাহাদুরী, কওমের হামদরদী দেখে সকলে তাঁকে ঐ যুদ্ধেই ‘আল-আমীন’ খেতাব প্রদান করল।