হযরত বুজাইর (রাঃ ) এর আপন ভাই কা’ব এর নামে পত্র – শেষ পর্ব

হযরত কা’ব (রাঃ) বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি এইভাবে বলি নাই। রাসূল (সাঃ) জিজ্ঞাসা করিলেন, তবে কিভাবে বলিয়াছিলে? আমি বলিলাম, আমি তো এইভাবে বলিয়াছিলাম, (পূর্বোক্ত কবিতাকেই সামান্য শব্দ পরিবর্তন করিয়া প্রশংসামূলক বানাইয়া দিলেন।)

অর্থঃ আবু বকর তোমাকে এক পরিপূর্ণ পেয়ালা পান করাইয়াছেন, আর সেই বিশ্বস্ত ব্যক্তি তোমাকে উহা হইতে বার বার পান করাইয়া পরিতৃপ্ত করিয়াছেন।

রাসূল (সাঃ) বলিলেন, খোদার কসম, সে (অর্থাৎ আবু বকর) বিশ্বস্ত ব্যক্তি। অতঃপর হযরত কা’ব (রাঃ) তাহার সেই কাসীদাহ শেষ পর্যন্ত পড়িয়া শুনাইলেন। হাকেম (রহঃ) তাহার পূর্ণ কাসীদাহ উল্লেখ করিয়াছেন।

মূসা ইবনে ওকবা (রাঃ) বলেন, হযরত কা’ব ইবনে যুহাইর (রাঃ) বানাত সুআদ নামক তাহার (সুপ্রসিদ্ধ) কাসীদাহ রাসূল (সাঃ)-কে মদীনার মসজিদে নববীতে বসিয়া শুনাইয়াছেন।

যখন তিনি তাহার কাসীদার নিম্নোক্ত পঙক্তিগুলো পড়িতেছিলেন-

অর্থঃ নিঃসন্দেহে রাসূল (সাঃ) এক জ্যোতি যাহা হইতে হেদায়াতের আলো সংগ্রহ করা হয়। তিনি আল্লাহর তরবারীসমূহ হইতে উত্তেলিত অতিশয় ধারালো এক তরবারি। তিনি কোরাইশদের এক যুবকদলের মধ্যে রাসূল হইয়া আসিয়াছিলেন। সেই যুবকদল যখন মুসলমান হইল তখন মক্কায় অবস্থানকালে তাহাদের মধ্য হইতে একজন বলিল, তোমরা স্থান পরিবর্তন কর, (অর্থাৎ হিজরত কর)।

তখন রাসূল (সাঃ) নিজের আস্তিন দ্বারা সমবেত লোকদের প্রতি ইঙ্গিত করিলেন যেন তাহারা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করে।

বর্ণনাকারী বলেন, হযরত বুজাইর ইবনে (রাঃ) আপন ভাই কা’ব ইবনে যুহাইর ইবনে আবি সুলমাকে ভীতিপ্রদর্শন করিয়া ও ইসলামের প্রতি দাওয়াত দিয়া একখানা পত্র লিখিয়াছিলেন। উহাতে তিনি এই কবিতাও লিখিয়াছিলেন-

অর্থঃ কে আছে, আমার পক্ষ হইতে কা’বকে এই পয়গম পৌঁছাইয়া দিবে যে, তুমি কি সেই দ্বীন গ্রহণ করিতে আগ্রহী হইবে? যাহার সম্পর্কে তুমি অন্যায়ভাবে তিরষ্কার করিতেছ, অথচ উহাই পরিপক্ক ও বিশ্বস্ত দ্বীন। তুমি যদি নাজাত পাইতে চাও লাত ও ওযযাকে ছাড়িয়া এক আল্লাহর দিকে আস, নাজাত পাইয়া যাইবে এবং নিরাপদ থাকিবে। তুমি সেই দিন নাজাত লাভ করিবে যেদিন পাক দিল মুসলমান ব্যতিত আর কেহ আগুন হইতে নাজাত পাইবে না এবং বাঁচিতে পারিবে না (আমাদের পিতা) যুহাইরের দ্বীন, কোন দ্বীনই নহে, আর (আমাদের দাদা) আবু সুলমার দ্বীন তো আমার জন্য হারাম। (হাকেম)।

সূত্রঃ হায়াতুস সাহাবা

হযরত বুজাইর (রাঃ ) এর আপন ভাই কা’ব এর নামে পত্র – প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।