হযরত দাউদ (আঃ) এর মো’জেযা-শেষ পর্ব

হযরত দাউদ (আঃ) এর মো’জেযা-২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন  

হযরত দাউদ (আঃ) সমস্ত তথ্য জেনে আউরিয়াকে খবর দিলেন। আউরিয়া হযরত দাউদ (আঃ) এর নিকট এসে হযরত দাউদ (আঃ) তাঁর নিকট পরিচয় দিলেন। তখন আউরিয়া তাকে যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন করে আরজ করল। হুজুর! আপনি কষ্ঠ করে কেন পদধূলি রাখলেন। হযরত দাউদ (আঃ) বললেন, আমি কতক লোকের কাছে তোমার সুনাম শুনেছি। তুমি একজন দক্ষ সৈনিক। সে হিসাবে আমি তোমাকে বলতে এসেছি যে, আমার একজন দক্ষ সৈনিক প্রয়োজন। বর্তমানে আমার একজন দক্ষ সৈনিক এর অভাব।  তুমি সামান্য ক্রুটির জন্য চাকুরী চ্যুত হয়েছে সেটা কোন ব্যাপার নয়। আমি তোমাকে এবার প্রধান সেনাপতি করে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব দিতে চাই। এ পথ থেকে হয়ত তুমি একদিন রাজ্যের সর্বেসর্বা হওয়ার সুযোগ লাভ করবে। যেমন আমি সেনপতি থেকে রাষ্ট্র প্রধানের ভাগ্য লাভ করেছি। বর্তমানে তোমার বেতন হবে সেনাবাহিনীর সকলের চাইতে বেশি এবং সুবিধা যা চাও তাই দেওয়া হবে। আউরিয়া হযরত দাউদ (আঃ) এর নিকট থেকে তাঁর ভাগ্য পরিবর্তনের কথা শুনে আনন্দে আটখানা হয়ে গেল। একবাক্যে সে চাকুরির স্বীকৃতি প্রদান করল।

আউরিয়া তাৎক্ষনিক সুযোগ সুবিধার মোহে অন্ধ হয়ে তাঁর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর কথা ভুলে গেল এবং হযরত দাউদ (আঃ) এর নিকট যুদ্ধ যাত্রার আদেশ প্রার্থনা করল। হযরত দাউদ (আঃ) আউরিয়াকে দুর্ধর্ষ রোম বাহিনীর বীরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য প্রেরণ করলেন। আউরিয়া অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে রোমক বাহিনীর বীরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করল এবং অতি অল্প সময়য়ের মধ্যে বিজয় লাভ করল। ইতিপূর্বে এ বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে কেউ বিজয়ী লাভ করতে পারি নি।

আউরিয়া রোম বিজয় করে সেখান থেকে নাতেকা নামক আর এক যুদ্ধ ক্ষেত্রের দিকে অগ্রসর হল। সেখানে একদিন বিরের সাথে যুদ্ধ করে নিহত হল। কিন্তু তাঁর সৈন্যরা আউরিয়ার মৃত্যুতে মনবল না হারিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বিজয় তাদের হাতের মুঠায় চলে এসে।  

হযরত দাউদ (আঃ) আউরিয়ার মৃত্যুতে যথেষ্ট শোক প্রকাশ করেন। এক বছর ধরে শোক পালনের জন্য রাজ্যময় ঘোষণা দিয়ে দেন।  

কিছুদিন পরে বতশার  নিকট হযরত দাউদ (আঃ) বিয়ের পয়গাম প্রেরণ করেন। বতশা নিজ জীবনের ভবিষ্যত চিন্তা করে বিয়েতে রাজি হয়। তখন হযরত দাউদ (আঃ) একদিন দরবারের লোকজন নিয়ে বতশাকে বিয়ে করে নিজ মহলে নিয়ে আসেন। ইতোপূর্বে হযরত দাউদ (আঃ) নিরানব্বই শাদী করেছিল।  এবার বতশাকে নিয়ে স্ত্রীর সংখ্যা একশতে পরিপূর্ণ হল। হযরত দাউদ (আঃ) এর শেষ স্ত্রীর বতশার গর্ভেই বিশ্বখ্যাত বাদশা ছোলাইমান জন্মগ্রহন করেন। যিনি ছিলেন সমগ্র পৃথিবীর একছত্র অধিপতি। জ্বীন, ইনছান, পশু-পক্ষী বাতাস, পানি ছিল তাঁর প্রজাকুলের অন্তভুক্ত। 

হযরত দাউদ (আঃ) এর মো’জেযা-১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।