হযরত ছোলায়মান (আঃ) এর বিবাহ-৩য় পর্ব
হযরত ছোলায়মান (আঃ) এর বিবাহ-২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তখন আমি রানী বিলকিস বেগমকে দেখলাম। তিনি অপরূপ সৌন্দর্যের অধিকারিণী। তিনি কুমারী। অত্যন্ত মূল্যবান বিরাট এক সিংহাসনে তিনি উপবিষ্ট। আমি তাঁর রুপ দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম এবং শাহেন শাহের বিবি করে তাকে লাভ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। হে শাহানশা! এখন আমার পুরষ্কার দিন। আমি এমন পুরস্কার চাই যা আমার বংশানুক্রমে এক সম্মানের প্রতিক হিসাবে চিহ্নিত থাকবে।
হযরত ছোলায়মান (আঃ) বললেন , তুমি যা বলেছে তা সত্যি কি না তা যাচাই করে দেখব। যদি তুমি সত্যবাদী হও তাহলে আমি তোমার মাথায় এক স্মরণীয় মুকুট স্থাপনের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করব। আর যদি মিথ্যা বল তাহলে তোমাকে শাস্তি দিব। হুদহুদ বলল, আপনার নিকট মিথ্যা কথা বলার সাহস আমার নেই। আমি যা কিছু বলেছি বস্তুর ক্ষেত্রে ঘটনা আরো বড় এবং ব্যাপক। আমি আমার ক্ষুদ্র মুখে সঠিক ভাবে বর্ণনা দিতে সক্ষম নই।
তবে একটি বিষয় আছে যা ঘৃনা করা যেতে পারে। সেটা হল রানী ও তাঁর প্রজাবৃন্দ সকলে সূর্যের পূজারী। হযরত ছোলায়মান (আঃ) জিজ্ঞেস করলেন তুমি কি তাদের সূর্য পূজা করতে দেখছ। হুদহুদ বলল, হ্যাঁ আমি নিজেই তাদেরকে সূর্যের পূজা করতে দেখেছি। শয়তান তাদের পথ প্রদর্শন করেছে। এতে তারা আল্লাহ তায়ালার নির্বাচিত পথ পরিত্যাগ করে সূর্য পূজায় আত্ননিয়োগ করেছে এবং তারা হেদায়েত থেকে দূরে পড়ে আছে।
হযরত ছোলায়মান (আঃ) হুদহুদ এর শেষ কথা শুনে বললেন, তোমাকে আমি বিশেষ দূত করে আমার পত্র নিয়ে বিলকিসের নিকট প্রেরণ করব। তুমি আমার পত্র তাঁর নিকট পৌঁছে দাও। তাঁর পর ফিরে এস। দেখা যাক সে পত্রের কি উত্তর দেয়।
হুদহুদ বলল, শাহান শাহ তাহলে দোয়া করে পত্র লিখে দিন আমি এখনই পত্র নিয়ে চলে যাচ্ছি। হযরত ছোলায়মান (আঃ) লিখলেন, পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার নামে আরম্ভ করছি। এ পত্র আল্লাহর নবী হযরত ছোলায়মান (আঃ) এর পক্ষ থেকে সাবার রাণী বিলকিসের প্রতি প্রেরিত হল। রাণী বিলকিস! আপনি অনতিবিলম্বে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে আমার নিকট চলে আসুন। অন্যথায় প্রতিরোধ মূলক শক্তি নিয়ে আমার সম্মুখীন হন।
হযরত ছোলায়মান (আঃ) এর বিবাহ-৪র্থ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন