হযরত দাউদ (আঃ) এর কুদরতি শিকল-২য় পর্ব

নিদিষ্ট তারিখে এ বিচারটি দেখার জন্য মসজিদের সম্মুখে বহুলোক জড় হল।লোক দু’টি উপস্থিত হলে বিচারকগণ প্রথমে অভিযোগকারীকেই নির্দেশ দিল যে, আপনার অভিযোগ সত্য হলে আপনি শিকলটি স্পর্শ করুন। সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগকারী শিকলের কাছে গিয়ে হাত বাড়িয়ে শিকল স্পর্শ করে আসল। অতপরঃ বিবাদীকে বলা হল আপনার দাবী সত্য হলে শিকল স্পর্শ করুন। বিবাদী লোকটি তখন তাঁর হাতের লাঠিখানা বাদীর হাতে দিয়ে বলল, ভাই! আপনি এ লাঠিখানা রাখুন। আমি শিকল স্পর্শ করে এসে পুনরায় লাঠিটা ফিরিয়ে নিব। বাদী লাঠিখানা হাতে নিল।

অতঃপর বিবাদী শিকলের কাছে গিয়ে বলল, হে আল্লাহ্‌! যে লোকটি তাঁর কিছু মূল্যবান জিনিষ আমার নিকট আমানাত রেখেছিল আমি তা তাঁর নিকট ফিরিয়ে দিয়েছি। তাঁর ডান হাতখানা শিকলের উপর দিয়ে বাড়িয়ে দিল। আল্লাহ্‌ পাকের হুকুমে কুদরতী শিকল বাদীর মত বিবাদীর হাতেও ধরা দিল। বিবাদী শিকলটি স্পর্শ করে এসে বাদীর নিকট হতে লাঠিখানা নিয়ে স্বীয় বাড়ি চলে গেল। বিচারক ও দর্শকগণ সকলেই ঐ ঘটনায় অবাক হয়ে গেল যে, বাদী বিবাদী দু’জনেই শিকল স্পর্শ করতে সক্ষম হল, কাজেই উভয়ই সত্যবাদী। অথচ জিনিসের কোন খোঁজ নেই। আর এরূপ ঘটনা হতেই পারে কি করে। একজন সত্যবাদী হলে অন্যজন মিথ্যাবাদীই হবে। আর মিথ্যাবাদী তো শিকল স্পর্শ করতে সক্ষম হয় না। অথচ উপস্থিত দু’জনই সেই কুদরতী শিকল স্পর্শ করতে সক্ষম হল। সুতরাং তাতে আশ্চর্য হবারই কথা যে, এর মধ্যে কি নিগুঢ় রহস্য লুকায়িত ছিল।

এ ঘটনাটির মধ্যে রহস্য লুকায়িত ছিল সত্য। আর তা এই যে, যে লোকটির নিকট মালগুলো আমানত রাখছিল। সে লোকটির লাঠিখানার মধ্য ফাঁকা ছিল। তাঁর নিকট যে মালগুলো গচ্ছিত ছিল সে মালগুলো সবই ঐ লাঠির ফাঁকার মধ্যে ভরে লাঠিখানা বাদীর হাতে দিয়ে সে গচ্ছিত মালগুলো ফিরিয়ে দিয়েছে বলে যে কথাটি বলল, তা সত্যই ছিল। আর এ সত্য কথার কারণেই সে শিকল স্পর্শ করতে সক্ষম হয়েছিল। আসলে এটা ছিল তাঁর একটা মারাত্নক প্রতারণা।ঐ প্রতারক ব্যক্তির দ্বারা উক্ত কুদরতী শিকল স্পর্শ করার ফলে পরদিন আর ঐ শিকল দেখা গেল না। রাত্রে তা অদৃশ্য হয়ে গেল।

হযরত দাউদ (আঃ) এর কুদরতি শিকল-১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন  

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।