হযরত ওমর (রাঃ) এর কষ্ট সহ্য করা – প্রথম পর্ব
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে (রাঃ) বলেন, হযরত ওমর (রাঃ) ইসলাম গ্রহণের পর জিজ্ঞাসা করিলেন, কোরাইশদের মধ্যে কে সর্বাপেক্ষা কথা প্রচার করিতে ওস্তাদ? বলা হইল জামীল ইবনে মা’মার জুমাহী। হযরত ওমর (রাঃ) সকালবেলা তাহার নিকট গেলেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, আমি ও তাহার পিছনে পিছনে গেলাম যে, দেখি, তিনি কি করেন? আমি তখন ছোট হলেও যাহা দেখিতাম তাহা বুঝিতে পারিতাম।
হযরত ওমর (রাঃ) জামীলের নিকট পৌছিয়া বলিলেন, হে জামীল, তুমি কি জানিতে পারিয়াছ যে, আমি মুসলমান হইয়া গিয়াছি এবং মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর দ্বীন গ্রহণ করিয়াছি? হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম, জামীল কোন জবাব না দিয়া উঠিয়া দাঁড়াইল এবং আপন চাদর টানিতে টানিতে চলিল। হযরত ওমর (রাঃ) তাহার পিছনে এবং আমি হযরত ওমর (রাঃ)এর পিছনে চলিলাম।
সে মসজিদে হারামের দরজায় দাঁড়াইয়া উচ্চস্বরে চিৎকার করিয়া বলিল, হে কোরাইশগণ, শোন, খাত্তাবের বেটা বেদ্বীন হইয়া গিয়াছে। কোরাইশগণ তখন কা’বার চতুর্দিকে নিজ নিজ মজলিসে বসিয়াছিল। হযরত ওমর (রাঃ) জামীলের পিছন হইতে বলিলেন, সে মিথ্যা বলিয়াছে। বরং আমি ইসলাম গ্রহণ করিয়াছে এবং সাক্ষ্য দিয়াছি যে, আল্লাহ ব্যতিত কোন মাবুদ নাই এবং হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল। কারণ ইহা শুনামাত্রই হযরত ওমর (রাঃ)এর উপর ঝাঁপাইয়া পড়িল। দ্বিপ্রহরের সূর্য মাথা বরাবর হওয়া পর্যন্ত হযরত ওমর (রাঃ) ও তাহাদের মধ্যে লড়াই চলিতে থাকিল।
অবশেষে হযরত ওমর (রাঃ) ক্লান্ত হইয়া বসিয়া পড়িলেন। আর তাহারা মাথার উপর দাঁড়াইয়া রহিল। তিনি বলিতেছিলেন, তোমাদের যাহা ইচ্ছা করিতে পার। আল্লাহর নামে কসম করিয়া বলিতেছি, আমরা মুসলমানগণ যদি তিনশত জন হইতে পারি তবে হয়ত আমরা তোমাদের জন্য মক্কার জমিন ছাড়িয়া চলিয়া যাইব, আর না হয় তোমরা আমাদের জন্য তাহা ছাড়িয়া চলিয়া যাইবে।
সূত্রঃ হায়াতুস সাহাবা
হযরত ওমর (রাঃ) এর কষ্ট সহ্য করা – শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন