হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রঃ) কে ইসলামের দাওয়াত প্রদান
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) দোয়া করিলেন, আয় আল্লাহ, ওমর ইবনে খাত্তাব অথবা আবু জেহেল ইবনে হেশামের দ্বারা ইসলামকে শক্তিশালী করুন।
সুতরাং আল্লাহ তায়ালা রাসূল (সাঃ)-এর এই দোয়া হযরত ওমর (রাঃ)-এর পক্ষে কবুল করিলেন। আল্লাহ তায়ালা তাহার দ্বারা ইসলামের বুনিয়াদকে মজবুত ও মূর্তিপূজার মহলকে ধ্বংস করিলেন।
হযরত সাওবান (রঃ) হইতে বর্ণিত একটি হাদিস সাহাবাদের আল্লাহর রাস্তায় কষ্ট সহ্য করার বর্ণনায় সামনে আসিতেছে। উক্ত হাদিসে হযরত ওমর (রাঃ)-এর বোন হযরত ফাতেমা (রাঃ) ও তাঁহার স্বামী হযরত সাঈদ ইবনে যায়েদ (রাঃ)-এর কষ্ট সহ্য করার ঘটনা বর্ণনা করা হইয়াছে। উক্ত ঘটনায় ইহাও বলা হইয়াছে যে, রাসূল (সাঃ) হযরত ওমর (রাঃ)-এর দুই বাহু ধরিয়া নাড়া দিলেন এবং জিজ্ঞাসা করিলেন, কি চাও? কেন আসিয়াছ? হযরত ওমর (রাঃ) বলিলেন, আপনি যে জিনিসের প্রতি দাওয়াত দিতেছেন তাহা আমার নিকট পেশ করুন। তিনি বলিলেন, তুমি সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নাই, তিনি এক, তাঁহার কোন অংশীদার নাই এবং এই কথার সাক্ষ্য দিবে যে, মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁহার বান্দা ও রাসূল। হযরত ওমর (রাঃ) সেখানেই ইসলাম গ্রহণ করিলেন এবং বলিলেন, বাহিরে চলুন। অর্থাৎ বাহির ইহয়া প্রকাশ্যে দাওয়াত দিন।
অপর রেওয়ায়াতে আছে, হযরত আসলাম (রহঃ) বলেন, হযরত ওমর (রাঃ) আমাদিগকে বলিলেন, তোমরা কি চাও যে, আমি আমার ইসলাম গ্রহণের প্রাথমিক ঘটনা তোমাদের নিকট বর্ণনা করি? আমরা বলিলাম, জ্বি হ্যাঁ, অবশ্যই। তিনি বলিলেন, আমি রাসূল (সাঃ)-এর শত্রুতায় সর্বাপেক্ষা কঠোর ছিলাম। তিনি বলেন, তারপর একদিন আমি সাফা পাহাড়ের নিকট ঘরে রাসূল (সাঃ)-এর সম্মুখে আসিয়া বসিলাম। তিনি আমার জামার গলদেশ ধরিয়া বলিলেন, হে খাত্তাবের বেটা, মুসলমান হইয়া যাও। আয় আল্লাহ, তাহাকে হেদায়াত দান করুন। হযরত ওমর (রাঃ) বলেন, আমি বলিলাম, আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ ব্যতিত কোন মাবুদ নাই; আর সাক্ষ্য দিতেছি যে, আপনি আল্লাহর রাসূল। মুসলমানগণ (ইহা শুনিয়া) এমন জোরে তাকবীর দিলেন যে, মক্কার অলিগলিতে তাহা শুনা গেল।