হযরত এমরান (রাঃ ) এর পিতা হযরত হুসাইন (রাঃ ) কে দাওয়াত প্রদান – পর্ব ১

হযরত এমরান ইবনে হুসাইন (রাঃ) বলেন, কোরাইশগণ হুসাইন (রাঃ) কে খুবই সম্মান করিত। তাহারা তাহার নিকট আসিয়া বলিল, আপনি আমাদের পক্ষ হইয়া এই ব্যক্তির সহিত কথা বলুন। কারণ তিনি আমাদের মাবুদদের সমালোচনা করেন ও নিন্দা করেন। অতএব তাহারা তাহাকে সঙ্গে লইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরজার নিকট আসিয়া বসিল। (হযরত হুসাইন (রাঃ) ভিতরে প্রবেশ করিলে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, মুরুব্বির (অর্থাৎ হযরত হুসাইন (রাঃ) এর) জন্য জায়গা করিয়া দাও। তাহার ছেলে হযরত এমরান (রাঃ) ও তাহার সঙ্গীগণ পূর্ব হইতেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

হযরত হুসাইন (রাঃ) বলিলেন, আপনার সম্পর্কে এই সকল কি কথা শুনিতেছি! আপনি নাকি আমাদের মা’বুদগুলির নিন্দা করেন এবং উহাদের সমালোচনা করেন। আপনার পিতা তো ধর্মেকর্মে পরিপক্ক ও অতি ভাললোক ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, হে হুসাইন, আমার ও তোমার উভয়ের পিতাই দোযখে গিয়াছেন। হে হুসাইন, বল দেখি, তুমি কতজন মা’বুদের উপাসনা কত? হযরত হুসাইন (রাঃ) বলিলেন, যমীনে সাতজন ও আসমানে একজন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, আচ্ছা, যখন কোন অসুবিধায় পড় তখন কাহাকে ডাক? তিনি বলিলেন, যিনি আসমানে আছেন তাহাকে ডাকি। জিজ্ঞাসা করিলেন, আচ্ছা, যখন মাল-দৌলত নষ্ট হয় তখন কাহাকে ডাক?

তিনি বলিলেন, যিনি আসমানে আছেন, তাহাকে ডাকি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, (আশ্চর্যের বিষয়) তিনি একাই তোকামে সাহায্য করিতেছেন, আর তুমি তাহার সহিত অন্যান্যদেরকে শরীক করিতেছ ! তুমি কি সেই আসমানী খোদার অনুমতি ক্রমে তাহার সহিত এইগুলিকে শরীক করিতেছ? না এই ভয়ে করিতেছ যে, তাহাদিগকে শরীক না করিলে তাহারা তোমার উপর প্রবল হইয়া যাইবে? তিনি বলিলেন, না, দুইটার একটাও না।

সূত্রঃ হায়াতুস সাহাবা

হযরত এমরান (রাঃ ) এর পিতা হযরত হুসাইন (রাঃ ) কে দাওয়াত প্রদান – শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।