হযরত ইসহাক (আঃ) এর বিবাহ
হযরত ইব্রাহীম (আঃ) স্বীয় খাদেমকে বললেন, আমি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত করে ফেলেছি যে, ইসহাক কে ফিলিস্তিনে কেনানী বংশে বিবাহ করাব না। বরং আমার একান্ত ইচ্ছা হল আমি তাঁকে স্বীয় খান্দানে বিবাহ করাব। এ উদ্দেশ্যে তুমি ফাদ্দানে সফর করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ কর। সেখানে আমার ভ্রাতুষ্পুত্র বতুইল বিন নাখুর বসবাস করতেছে। তার নিকট আমার সংবাদ পৌঁছাও সে যেন তার কন্যাকে ইসহাকের সাথে বিবাহ দেয়। সে যদি এ প্রস্তাবে সম্মত হয় তাহলে তাকে একথাও বলে দিব যে, আমি ইসহাককে দূরে রাখতে চাই না।
সুতরাং সে যেন তার কন্যাকে তোমার সাথে এখানে পাঠিয়ে দেয়। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর নির্দেশ মোতাবেক খাদেম ফাদ্দানের উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে ফাদ্দানের কাছে সে শহরের বাইরে কোন এক স্থানে উট বেঁধে বিশ্রাম গ্রহণ করতেছিল উদ্দেশ্য ছিল তাদের অবস্থা সম্পর্কে খবরা খবর নেয়া। এখানে বসে থাকা অবস্থায় সে একটি পরমা সুন্দরী যুবতী দেখতে পেল। সে কলসী ভর্তি করে পানি নিয়ে যাচ্ছিল।
অতঃপর খাদেম যুবতীর পরিচয় জানতে চাইল। জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে পারল যে, যুবতী বতুইলের কন্যা। খাদেমও তার পরিচয় দিন। যুবতী তাকে মেহমান হিসাবে বাড়িতে নিয়ে গেল। বাড়িতে গিয়ে স্বীয় ভ্রাতা লাবানকে মেহমান সম্পর্কে অবগত করল। লাবান তার খুব সেবা যত্ন করল এবং তার এখানে আগমনের কারণ জিজ্ঞেস করল। সে হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর প্রস্তাব লাবানের নিকট বিস্তারিত বর্ণনা করল। লাবান এ প্রস্তাব শুনে খুব খুশী হল এবং তার পিতার নিকট গিয়ে বর্ণনা করল। বতুইল বিন নাখুর পথের প্রয়োজনীয় সামগ্রী সাথে দিয়ে স্বীয় কন্যা রুফকাকে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) খাদেমের সঙ্গে ফিলিস্তিনে পাঠিয়ে দিলেন।
সূত্রঃ কুরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী
হযরত ইসহাক (আঃ) এর সন্তানাদি ও ইন্তেকাল সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন