হযরত ইলইয়াস (আঃ) – শেষ পর্ব
হযরত ইলইয়াস (আঃ)-এর কথায় উদ্দীপ্ত হয়ে তারা নিজেদের উপাস্য দেবতার কাছে অনাবৃষ্টি ও দুর্ভিক্ষ থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য আবেদন নিবেদন করে ফল না পেয়ে হযরত ইলইয়াস (আঃ) -সমীপে আবেদন জানাল, তিনি যেন আল্লাহর দরবারে দোয়া করে এ দুর্দশা থেকে তাদেরকে মক্ত করে দেন। তিনি দোয়া করার সাথে সাথে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়, জমীনে ফল ফসল তরিতরকারী উৎপাদিত হয়ে দুর্ভিক্ষ অপসারিত হতে শুরু করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করে নবী হযরত ইলইয়াস (আঃ) -কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে থাকে। এতে হযরত ইলইয়াস (আঃ) অত্যন্ত মন কষ্ট পেয়ে এ সম্প্রদায় থেকে পৃথক হয়ে পড়েন। এ সময় হযরত আলইয়াস (আঃ)-কে তিনি নিজের স্থলাভিষিক্ত নিযুক্ত করেন। আলইয়াসা (আঃ) এ পথভ্রষ্ট সম্প্রদায়কে প্রতিমার উপাসনা থেকে ফেরানোর নিরন্তর চেষ্টা সাধনা অব্যাহত রাখেন কিন্তু ধ্বংস হওয়াই ছিল যাদের তকদীরের ফয়সালা তারা আল্লাহর প্রতি আহবানে সাড়া কেন দেবে? এক্ষেত্রেও হয়েছে তাই। উপর্যুপরি আল্লাহর আযাব, দুরারোগ্য ব্যধি এবং বহিঃশত্রুর আক্রমণে এ মানবগোষ্ঠীর অস্তিত্ব ধরা থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তাদের হঠকারিতা, জাহেলীপনা, সমকালীন নবীকে মিথ্যা প্রতিপন্নকরণ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা কোরআন মজিদে ইরশাদ করেন-
فَكَذَّبُوهُ فَإِنَّهُمْ لَمُحْضَرُونَ
অর্থঃ অতঃপর তারা তাঁকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল, অনন্তর অবশ্যই কিয়ামতের দিন তাদেরকে উপস্থিত করা হবে। (সূরা সফফাত)