হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর বিবাহ-২য় পর্ব

হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর বিবাহ-১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

দ্বীতীয়ত নবীদের পক্ষে এক জায়গায় স্থায়ীভাবে বসবাস করার বিধান নেই। দাওয়াতি কাজে তাঁদেরকে আল্লাহ্‌ তা’য়ালার নির্দেশ অনুসারে বিভিন্ন স্থানে যেতে হবে এবং বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে হবে। এতএব তোমরা আমাকে আপাতাত বিদায় দাও। আবার দেখা হবে।

এই বলে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) সিরিয়ার পথে রওয়ানা করলেন। একাধারে পথ চলতে চলতে নমরুদের রাজ্যের সীমা অতিক্রম করে অন্য রাজ্যে প্রবেশ করলেন। যখন তিনি খাজানায়ে ওজা নামক স্থানে পৌঁছলেন তখন তিনি দেখলেন দলে দলে মানুষ উওম পোশাকে সজ্জিত হয়ে একই দিকে ছুটে চলছে। অবস্থা দেখে হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর মনে ঘটনা জানার কৌতুহল জাগল। তিনি জনৈক ব্যাক্তিকে এভাবে জনযাত্রার উদ্দেশ্য জিজ্ঞেস করলেন।

পথিক উত্তর দিল, আজ সাত দিন যাবত এ রাজ্যের বাদশাহর একমাত্র কন্যা নিজ পছন্দমত বর নির্বাচন করার উদ্দেশ্যে দেশবাসীকে এক সভার উপস্থিত হওয়ার আহবান জানিয়েছে। সে মর্মে প্রতিদিন রাজ দরবারে সুসজ্জিত বেশে হাজার হাজার লোক জমায়েত হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত রাজকন্যা কাউকে পছন্দ করে নি । যতদিন পর্যন্ত সে বর পছন্দ না করবে ততদিন পর্যন্ত এভাবে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এ খবর শুনে বৈঠকে উপস্থিত হবার ইচ্ছা করলেন এবং সাধারণ পোশাকেই অন্যান্য যাত্রীদের সাথে রাজ দরবারের দিকে রওয়ানা করলেন।

অল্প সমায়ের মধ্যে তিনি রাজ দরবারের এক বিশাল জনসমাবেশে এসে উপস্থিত হলেন। সম্মুখের আসন তো দূরের কথা সমাবেশের মাঝেও কোন স্থান ফাঁকা ছিল না যেখানে তিনি একটু বসতে পারেন। পরিশেষে সবার পিছনে এক নিভৃত কোণে একটু বসতে পারেন। কিছু সময় পরে দেখা গেল অপূর্ব সুন্দরী রাজকন্যা তাঁর সহচারীদেরকে নিয়ে সমাবেশের মঞ্চে আসন গ্রহণ করলেন। অতপর মনিমুক্তা খচিত একটি তাজ হাতে নিয়ে জনসমাবেশের এক দিক থেকে সম্মখে চলতে আরম্ভ করলেন। এক এক করে সকল প্রার্থীকে দেখে যেতে লাগলেন। এভাবে সমাবেশের সকল মানুষের লাইন পেরিয়ে একেবারে শেষ প্রান্তে পৌঁছে হযরত ইব্রাহীম (আঃ)- এর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন। হযরত ইব্রাহীম (আঃ)- এর ললাটে ছিল নূরে মোহাম্মদী বিরাজমান।

সূত্রঃ কুর আনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী

যরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর বিবাহ-৩য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।