হযরত ইদ্রীস (আঃ) এর কৌশলে বেহেস্তে গমনের ঘটনা-প্রথম পর্ব

আল্লাহ পাক হযরত ইদ্রীস (আঃ) এর প্রতি অহী অবতীর্ণ করেছেন যে,”হে ইদ্রীস! সমস্ত দুনিয়াবাসী প্রতিদিন যে পরিমান নেক আমল করে আমি প্রতিদিন আপনাকে সে পরিমাণ সওয়াব দান করি। যতদিন আপনি দুনিয়ায় বেচেঁ আছেন। এ ওহী প্রাপ্ত হওয়ার পর তাঁর অন্তরে এ আকাংক্ষা  জন্মিল তিনি যত বেশীদিন দুনিয়াতে বেঁচে থাকবেন তত বেশী সওয়াব তাঁর আমল নামায় লেখা হবে। তাই বেশীদিন বেঁচে থাকার চিন্তা ফিকির করতে লাগলেন।”  

অতঃপর একদিন তিনি আল্লাহর যিকির মগ্ন ছিলেন। এমন সময় জনৈক ব্যক্তি তাঁর সামনে এলেন। তিনি তাকে জনৈক বিদেশী মেহমান মনে করে যথোচিত অভ্যথনা জ্ঞাপন করলেন। হযরত নূহ আঃ প্রতিদিনের মত সেদিনও রোজা রাখলেন এবং ইফতারের সময় পূর্বের মত বেহেস্ত হতে ইফতারের খাবারও  আসল। তিনি তা দিয়ে ইফতার করলেন এবং মেহমানকেও তা খেতে দিলেন। কিন্তু উক্ত মেহমান খানা খেলেন না বরং সারা রাত এবাদতে অতিবাহিত করলেন। মেহমান ব্যক্তির আচার আচরণে আরো কতগুলো বৈশিষ্ট পরিলক্ষিত হল, যা দেখে হযরত ইদ্রীস আঃ বিষ্ময়বোধ করলেন।   

পরদিন ভোরবেলা হযরত ইদ্রীস আঃ মেহমানকে বললেন, ওহে আগন্তুক মেহমান! চলুন আমরা একটু ভ্রমন করে আল্লাহ তা’য়ালার কুদরত সমূহ অবলোকন করে আসি। মেহমান তাতে সম্মত হলে দু’জন একত্রে ভ্রমনে বের হলেন। কিছুদূর গমন করে হঠাৎ মেহমান বললেন, চলুন আমরা ঐ ক্ষেত হতে কিছু ফল তুলে এনে দু’জনে ভক্ষন করি।

হযরত ইদ্রীস আঃ তাতে বেশ কিছুটা আশ্চার্য ও ক্ষোভ মিশ্রিত কন্ঠে বললেন, আপনি তো ভারী আশ্চর্য মানুষ। রাতে আপনি হালাল খানা খেলেন না অথচ এখন অপরের ক্ষেত হতে ফল তুলে ক্ষেতে চাচ্ছেন। মেহমান তাঁর কথার কোন জবাব  না দিয়ে সামনে অগ্রসর হতে লাগলেন। কিছুদূর সামনে অগ্রসর হয়ে সামনে এক স্থানে কতকগুলো ছাগল চরতে দেখে মেহমান হযরত ইদ্রীস আঃ কে বললেন, চলুন, ওখানে হতে একটা ছাগল এনে আমরা যবেহ করে পাক করে বেশ করে খেয়ে নেই।

হযরত ইদ্রীস আঃ বললেন, অপরের ছাগল জবেহ করে খাওয়া যে পাপের কাজ তা কি আপনার জানা নেই।

এভাবে আগন্তুক মেহমান তিনদিন পর্যন্ত হযরত ইদ্রীস আঃ এর সহচর্যে থাকলেন। তার আচরানাদি লক্ষ্য করে হযরত ইদ্রীস আঃ এর মনে সন্দেহের উদ্রেক হল যে, এ ব্যক্তি নিশ্চয়ই কোন মানুষ নন। অতএব তিনি আগন্তুক মেহমানকে জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর কসম! আপনি আপনার প্রকৃত পরিচয়টা বলুন।

মেহমান উত্তরে বললেন, আসলে আমি কোন মানুষ নই। আমি আজরাঈল ফেরেস্তা। তখন হযরত ইদ্রীস আঃ বললেন, তবে মনে হয় আপনি আমার জান কবজ করতে এসেছেন। হযরত আজরাঈল আঃ বললেন, না আপনার সাথে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করতে এসেছি।। আমার একান্ত আশা যে, আপনিও আমার এ প্রস্তাবে রাজি হবেন।

হযরত ইদ্রীস (আঃ) এর কৌশলে বেহেস্তে গমনের ঘটনা -শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন  

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।