হযরত ইকরামা (রাঃ) ইবনে আবি জাহলের ইসলাম গ্রহণ – শেষ পর্ব

হযরত ইকরামা (রাঃ) ইবনে আবি জাহলের ইসলাম গ্রহণ – ৩য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

আর আপনি মানবকূলে সর্বাপেক্ষা সদাচারী, সত্যবাদী ও ওয়াদা পালনকারী হযরত ইকরামা (রাঃ) বলেন, আমি কথাগুলি বলিবার সময় অতিশয় লজ্জার দরুন মাথা তুলিতে পারিতেছিলাম না। তারপর বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি আপনার সহিত যত রকম শত্রুতা করিয়াছি এবং শিরককে জয়যুক্ত করিবার উদ্দেশ্যে যত সফর করিয়াছি তাহা মাফ করিয়া দিবার জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করুন।

রাসূল (সাঃ) তৎক্ষণাৎ এই দোয়া করিলেন, আয় আল্লাহ! হযরত ইকরামা (রাঃ) আমার সহিত যত শত্রুতা করিয়াছে এবং আপনার পথে বাঁধাদানের উদ্দেশ্যে যত সফর করিয়াছে, আপনি তাহার এই সকল গুনাহকে মাফ করিয়া দিন।

হযরত ইকরামা (রাঃ) আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আপনার জানামতে যাহা উত্তম তাহা আমাকে বলিয়া দিন, যেন আমিও তাহা জানিত পারি। তিনি বলিলেন, বল, আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ ব্যতিত কোন মাবুদ নাই এবং মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁহার বান্দা ও রাসূল। আর আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করিতে থাক।

অতঃপর হযরত ইকরামা (রাঃ) বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, খোদার কসম, আমি আজ পর্যন্ত আল্লাহর পথে বাঁধা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে যে পরিমাণ ব্যয় করিয়াছি এখন আল্লাহর পথে উহার দ্বিগুণ ব্যয় করিব এবং যে পরিমাণ আল্লাহর পথে বাধাদানের জন্য যুদ্ধ করিয়াছি এখন উহার দ্বিগুণ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করিব। অতএব হযরত ইকরামা (রাঃ) পূর্ণোদ্যমে জিহাদে শরীক হইতে লাগিলেন এবং হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর খেলাফাত আমলে আজনাদাইনের যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন। রাসূল (সাঃ) বিদায়ী হজ্জের বৎসর হযরত ইকরামা (রাঃ) কে হাওয়াযেন গোত্রের সাদকা উসূল করিবার উদ্দেশ্যে পাঠাইয়াছিলেন। রাসূল (সাঃ)-এর ইন্তেকালের সময় তিনি (ইয়ামানের) তাবালাহ নামক স্থানে ছিলেন। (হাকেম)

সূত্রঃ হায়াতুস সাহাবা

হযরত ইকরামা (রাঃ) ইবনে আবি জাহলের ইসলাম গ্রহণ – প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।