হযরত ইব্রাহিমের মোকাবেলায় শয়তান

হযরত কাঅব (রাঃ) বলেছেনঃ হযরত ইব্রাহিম (আঃ) স্বপ্নে দেখেন যে তিনি নিজের ছেলে ইসমাইল (আঃ) কে যবাহ করছেন।  নবী রাসূলদের স্বপ্ন এক ধরনের ওহী অর্থাৎ হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে ওহীর মাধ্যমে ছেলেকে যবাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  শয়তান সে কথা জানতে পেরে মনে মনে বলে এই এক মস্ত সুযোগ।  এই সময় যদি ওদের ফিতনায় ফেলতে না পারি, তবে আর কক্ষণো পারব না।   

হযরত ইব্রাহিম (আঃ) ছেলেকে নিয়ে যবাহ করার জন্য বের হয়ে যাবার পর শয়তান হযরত হাজেরার কাছে গিয়ে বলল, ইব্রাহিম  সাহেব আপনার ছেলেকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন, জানেন?

হযরত হাজেরা বলল, কোনও এক দরকারে।  

শয়তানঃ না না।  কোনও দরকারে নয়।  বরং উনি নিয়ে যাচ্ছে ওকে যবাহ করার জন্য।

হাজেরা বলল, নিজের ছেলেকে উনি যবাহ করবেন কেন?

শয়তানঃ ওর ধারনা আল্লাহ্‌ ওকে ওই কাজ করার হুকুম দিয়েছেন। 

হাজেরা বলল, উনি আল্লাহর হুকুম পালন করলে তো ভালই করবেন। 

শয়তান তখন হাজেরার কাছে ব্যর্থ হয়ে হযরত ইসমাইল এর কাছে গিয়ে বলে, তোমার আব্বা তোমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন। 

হযরত ইসমাইল কোনও এক কাজে। 

শয়তানঃ না, কোনও কাজে নয়।  উনি তোমাকে নিয়ে যাচ্ছে যবাহ করার জন্য। 

হযরত ইসমাইল উনি আমাকে যবাহ করবেন কেন?  

শয়তানঃ ওর ধারনা আল্লাহ্‌ ওকে ওই কাজ করার হুকুম দিয়েছেন। 

হযরত ইসমাইল (আঃ) আল্লাহ্‌ যদি হুকুম দিয়ে থাকেন, তাহলে আল্লাহর কসম! উনি তা অবশই তা পালন করবেন। 

হযরত ইসমাইল (আঃ) এর কাছে ব্যর্থ হবার পর শয়তান এবার গেল হযরত ইব্রাহিমের কাছে।  বলল, ছেলেকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন, জনাব?

হযরত ইব্রাহিমঃ কি দরকার

শয়তানঃ কোনও দরকার নয়, বরং আপনি তো একে যবাহ করতে নিয়ে যাচ্ছেন। 

হযরত ইব্রাহিমঃ কেন আমি ছেলেকে যবাহ করব?

শয়তানঃ আপনার ধারনা হয়েছে যে, আল্লাহ্‌ আপনাকে ও কাজ করার হুকুম দিয়েছেন।   

হযরত ইব্রাহিমঃ আল্লাহর হুকুম তো আমি অবশই পালন করব। 

সুতরাং শয়তান হযরত ইব্রাহিমের এর কাছেও  ব্যর্থ হল।  এবং ওদেরকে তাঁর অনুসারী করার বিষয়ে নিরাশ হয়ে ফিরে গেল। 

হযরত ইব্রাহিমের মোকাবেলায় শয়তান

হযরত কাঅব (রাঃ) বলেছেনঃ হযরত ইব্রাহিম (আঃ) স্বপ্নে দেখেন যে তিনি নিজের ছেলে ইসমাইল (আঃ) কে যবাহ করছেন।  নবী রাসূলদের স্বপ্ন এক ধরনের ওহী অর্থাৎ হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে ওহীর মাধ্যমে ছেলেকে যবাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  শয়তান সে কথা জানতে পেরে মনে মনে বলে এই এক মস্ত সুযোগ।  এই সময় যদি ওদের ফিতনায় ফেলতে না পারি, তবে আর কক্ষণো পারব না।   

হযরত ইব্রাহিম (আঃ) ছেলেকে নিয়ে যবাহ করার জন্য বের হয়ে যাবার পর শয়তান হযরত হাজেরার কাছে গিয়ে বলল, ইব্রাহিম  সাহেব আপনার ছেলেকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন, জানেন?

হযরত হাজেরা বলল, কোনও এক দরকারে।  

শয়তানঃ না না।  কোনও দরকারে নয়।  বরং উনি নিয়ে যাচ্ছে ওকে যবাহ করার জন্য।

হাজেরা বলল, নিজের ছেলেকে উনি যবাহ করবেন কেন?

শয়তানঃ ওর ধারনা আল্লাহ্‌ ওকে ওই কাজ করার হুকুম দিয়েছেন। 

হাজেরা বলল, উনি আল্লাহর হুকুম পালন করলে তো ভালই করবেন। 

শয়তান তখন হাজেরার কাছে ব্যর্থ হয়ে হযরত ইসমাইল এর কাছে গিয়ে বলে, তোমার আব্বা তোমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন। 

হযরত ইসমাইল কোনও এক কাজে। 

শয়তানঃ না, কোনও কাজে নয়।  উনি তোমাকে নিয়ে যাচ্ছে যবাহ করার জন্য। 

হযরত ইসমাইল উনি আমাকে যবাহ করবেন কেন?  

শয়তানঃ ওর ধারনা আল্লাহ্‌ ওকে ওই কাজ করার হুকুম দিয়েছেন। 

হযরত ইসমাইল (আঃ) আল্লাহ্‌ যদি হুকুম দিয়ে থাকেন, তাহলে আল্লাহর কসম! উনি তা অবশই তা পালন করবেন। 

হযরত ইসমাইল (আঃ) এর কাছে ব্যর্থ হবার পর শয়তান এবার গেল হযরত ইব্রাহিমের কাছে।  বলল, ছেলেকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন, জনাব?

হযরত ইব্রাহিমঃ কি দরকার

শয়তানঃ কোনও দরকার নয়, বরং আপনি তো একে যবাহ করতে নিয়ে যাচ্ছেন। 

হযরত ইব্রাহিমঃ কেন আমি ছেলেকে যবাহ করব?

শয়তানঃ আপনার ধারনা হয়েছে যে, আল্লাহ্‌ আপনাকে ও কাজ করার হুকুম দিয়েছেন।   

হযরত ইব্রাহিমঃ আল্লাহর হুকুম তো আমি অবশই পালন করব। 

সুতরাং শয়তান হযরত ইব্রাহিমের এর কাছেও  ব্যর্থ হল।  এবং ওদেরকে তাঁর অনুসারী করার বিষয়ে নিরাশ হয়ে ফিরে গেল। 

আরো পড়তে পারেন...

মুগীরা ইবন শু’বা (রা)

নাম আবু আবদিল্লাহ মুগীরা, পিতা শু’বা ইবন আবী আমের। আবু আবদিল্লাহ ছাড়াও আবু মুহাম্মাদ ও…

সাপের তওবা

একটি সাপের ঘটনা বর্ণনা করছি। আমার কাছে যারা তালীম গ্রহন করতে আসে প্রথমেই আমি কাউকে…

আবদুল্লাহ ইবন হুজাফাহ আস-সাহমী-(রা)

আবু হুজাফাহ আবদুল্লাহ নাম। পিতার নাম হুজাফাহ। কুরাইশ গোত্রের বনী সাহম শাখার সন্তান। ইসলামী দাওয়াতের…