হযরত আবূ বকর ও হযরত ওমর (রাঃ) এর লাশ অপহরণের চেষ্টা

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ভবিষ্যদ্বাণিতে “ভুগর্ভে ধ্বসে যাওয়া” সংক্রান্ত ঘটনা রিয়াজুন্নাফআহু গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে। হালাব এলাকার রাফেজীদের একটি বহু মূল্যবান উপঢৌকন আরজ করল, হে মহামান হাকিম! আপনি অনুগ্রপূর্বক আমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হুজরার দরজার খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করুন। আমরা আবু বকর ও ওমর (রাঃ) এর লাশ তথা হতে তুলে নিয়ে যাব। (রাফেজীদের ধারণায় তাদের লাশ রওজা পাশে থাকবার উপযুক্ত নয়)।

মদীনায় তৎকালীন এ হাকিম একজন ভ্রান্ত নীতির অনুসারী ছিল। সে দুনিয়াবী লোভে পড়ে এ আবেদন মঞ্জুর করে হেরেম শরীফে প্রহরীকে ডেকে বলে দিল, তাদের জন্য যেন হেরেম শরীফে দরজা খুলে দেয়া হয়। আর হেরেমের ভিতরে প্রবেশ করে তাঁরা যা কিছুই করে ওতে যেন কোন প্রকার বিঘ্ন সৃষ্টি করা না হয়। হেরেম শরীফের প্রহরী বর্ণনা করেন, এশার নামাযের পর হেরেম শরীফের দরজা বন্ধ করে দেওয়ার পর প্রায় চল্লিশ জন লোক হাতে কোদাল, শাবল, ও বাতি নিয়া বাবে ইসলামের সম্মুখে এসে দাড়াল। দরজায় আঘাত করার পর আমি মদীনার হাকিমে হুকুম অনুযায়ী দরজা খুলে দিলাম। অতঃপর তাদের লোহমর্ষক কর্ম-কাণ্ড দেখে আমি মসজিদের এক কোনে বসে বসে কাঁদতে লাগলাম, আর মনে মনে বলতে লাগলাম, হে আমার পরওয়ারদেগার! এ কোন কেয়ামত শুরু হয়ে গেল?

ইত্যবসরে আল্লাহর কুদরতের খেলা আরম্ভ হয়ে গেল। তাঁরা মিম্বরের নিকট গমনের পূর্বেই মেহরাবে ওসমানীর থামের নিকটবর্তী জমিন ফেটে দু’ভাগ হয়ে সকলকে তাদের অস্ত্রপাতিসহ গিলে ফেলল, এদিকে মদীনার প্রশাসক তাদের প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষা করেছিল। অধিক বিলম্ব দেখে সে আমাকে ডেকে তাদের অবস্থার জিজ্ঞেস করল। আমি হাকিমদের নিকট ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিলে সে আমার কথাকে পাগলের প্রলাপ বলে উড়িয় দিল। অবশেষে আমি বললাম, হে আমীর! আপনি অকুস্থলে তাশরীফ নিয়ে চলুন, সেখানে তাদের চিহ্ন দেখতে পাবেন।

উপরোক্ত ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিরা দৃশ্যতঃ কেবল মুসলামন ছিল তাই নয়, বরং তাদের সততা ও দিয়ানতদারীর যথেষ্ট সুনামও ছিল , যা হোক, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) রাফেজী সম্প্রদায় সম্পর্কে যে ভবিষ্যদ্বাণী

করেছিলেন যে, তাদের ভূগর্ভে ধ্বসিয়ে দেয়া হবে এবং তাদের ছুরত বিকৃত করে দেয়া হবে ঘটনার মধ্যে তা সত্য প্রমাণিত হল।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।