হযরত আবু বকর (রাঃ)- এর জীবনে যবনিকা –পর্ব ২
হযরত আবু বকর (রাঃ)- এর জীবনে যবনিকা –পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
হযরত আবু বকর (রাঃ) বলেন, খেলাফতের দায়িত্বই তাঁকে নরম করে দেবে। অপর একজন সাহাবী বলেন, হযরত ওমর (রাঃ)-এর কঠোর প্রকৃতি সম্পর্কে অবগত হওয়া সত্বেও আপনি তাঁকে খলীফা পদে নিয়োগ করার ইচ্ছা পোষণ করছেন। এরুপ করা সঙ্গত কি না, তা চিন্তা করে দেখুন। আপনি আল্লাহর কাছে পৌঁছে কি উত্তর দেবেন।
তিনি জবাবে বললেন, আমি আল্লাহর কাছে নিবেদন করব, হে আল্লাহ্! আমি তোমার বান্দাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তিকে এ কাজের দায়িত্বে দিয়ে এসেছি। সকলকে সন্তুষ্ট করার পর তিনি হযরত ওসমান (রাঃ) ডেকে খেলাফতের অসিয়তনামা লিখতে শুরু করেন। কয়েকটি শব্দ লেখার পর হযরত আবু বকর (রাঃ) অজ্ঞান হয়ে যান। হযরত ওসমান (রাঃ) নিজেই ওমর (রাঃ) এর নাম লিখে দেন। অল্পক্ষণ পর তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে। তিনি হযরত ওসমান (রাঃ) কে বলেন, কি লিখেছ পড়ে শুনাও।
হযরত ওসমান (রাঃ) যা যা লিখেছেন পড়ে শুনালেন। খলিফা আবেগের আতিশয্যে বলে উঠলেন, আল্লাহ আকবার। আল্লাহ্ তোমাকে উত্তম পুরষ্কার দান করুন। তুমি তো আমার মনের কথা লিখে দিয়েছ। লেখা শেষ হলে তিনি গোলামকে এ অসিয়তনামা জনসমাবেশ পড়ে শুনানোর নির্দেশ দিলেন এবং নিজে বাড়ির ছাদের উপরে উঠে উপস্থিত জনতাকে লক্ষ্য করে বললেন, আমি আমার কোন আত্নীয়কে খলিফা নিয়োগ করিনি।
বরং সকলের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিকেই এ মহান দায়িত্বের জন্য মনোনীত করেছি। সকলেই তাঁর অসিয়তনামাকে উত্তম বিবেচনা মনে করে নিলেন। হযরত আবু বকর (রাঃ) হযরত ওমর (রাঃ) ডেকে কতিপয় গুরুত্বপূর্ন উপদেশ দিলেন। হযরত ওমর (রাঃ) এর কৃতিত্বপূর্ণ খেলাফত পরিচালনায় এসব উপদেশ সংবিধানরুপে কাজে আত্মনিয়োগ করেন।
হযরত আবু বকর (রাঃ)- এর জীবনে যবনিকা –শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন