হযরত আবুল হাসান বুশঙ্গী (রঃ) – শেষ পর্ব
তাঁর মৃত্যুর পর এক দরবেশ তাঁর কবর যিয়ারত করে দোয়া করেন। সেদিনই তিনি স্বপ্নে দেখেন হযরত আবুল হাসান (রঃ) বলছেন, ভাই আমার কবরে এসে পার্থিব বিষয় কামনা করো না। তা যদি চাও তো ধনীদের কবরে যাও। তিনি বলেনঃ
১. স্বল্প কামনা ও পুণ্য চর্চাই তাসাউফ।
২. অবৈধ বিষয় থেকে বিরত হওয়াই হল মুনকার নকীরের সঙ্গে বীরত্ব প্রদর্শন। আর সদাসর্বদা পুণ্য চর্চা করা হল তাসাউফের নামান্তর।
৩. পুণ্য কর্ম, পুণ্য কর্মের ফলের প্রতি আগ্রহ রাখা আর রিপুর বিরোধিতা করাও বীরত্ব বলে গণ্য।
৪. বিশুদ্ধতা এমন বস্তু যাকে মুনকার-নকীর অসম্মান করতে পারে না, ইবলীস তার কোন ক্ষতিসাধন করতে পারে না, বিশ্ববাসী তার পরিচয় জানে না।
৫. রুজি যা নির্ধারিত হয়েছে তার চেয়ে কম পাওয়া যাবে না- এই বিশ্বাস রাখাকে বলে তাওয়াক্কুল বা নির্ভরতা।
৬. যে নিজের ইজ্জত রক্ষা করতে চায়, আল্লাহ তার ইজ্জত রক্ষা করেন।
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া
হযরত আবুল হাসান বুশঙ্গী (রঃ) – প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন