হযরত আবদুল্লাহ ইবনে খুবাইক (রঃ)

তাপস লোকের এক উজ্জ্বল জ্যোতিক হলেন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে খুবাইক (রঃ)। ধর্ম সমুদ্রের ডুবুরী আর ঈমান-সমুদ্রের রত্নের সঙ্গে তাঁর তুলনা করা হয়। হযরত আবদুল্লাহ কুপার অধিবাসী ছিলেন। কিন্তু তিনি হযরত ইউসুফ আসবাত (রঃ)-এর সঙ্গে এন্তাকিয়ায় বসবাস করেন। হযরত ইউসুফ আসবাত (রঃ)-এ বহু অনুগামীর সঙ্গেই তাঁর সাক্ষাৎ হয়।

তাঁর অমূল্য উপদেশ মানুষকে সৎ পথে পরিচালিত করে। হযরত শেখ ফতেহ মুসেলী (রঃ)-কে তিনি বলেন, মানুষকে চারটি জিনিস দেওয়া হয়েছে। যথাঃ চোখ, জিব্বা, হৃদয় আর রিপু।

চোখের জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার হল, আল্লাহ যা দেখতে নিষেধ করেছেন, তার দিকে দৃষ্টি না দেওয়া। জিভের কৃতজ্ঞতা হল, পার্থিব কোন বস্তু মুখে তলব না করা। যে এর বিপরীত করবে, সে নিশ্চয় দুর্ভাগ্যের শিকার হবে। আর রিপুর সঙ্গে যার সম্পর্ক, তার অন্তরে পার্থিব লিপ্সা ও কু ইচ্ছা স্থান লাভ করে।

তিনি আরও বলেন;

১. ভয়ার্ত, ব্যক্তিব্যস্ত মানুষ রিপু বাসনাকে পূরণ হতে দেয় না, বরং তাতে বাঁধা সৃষ্টি করে।

২. লোভ-লালসা মুক্ত হয়ে সঙ্কুচিত মন নিয়ে জীবন অতিবাহিত করা পরকালের জন্য সর্বোত্তম পথ।

৩. পরকালে যা কোন উপকারে করে না। এমন বস্তু অর্জন করা সম্পূর্ণ বৃথা। যা দিয়ে জটিলতা দূর হয়, সঙ্কটের অবসান ঘটে, এমন কামনাকেই বলে শুভ কামনা।

৪. মানুষের তিনটি অবস্থা। যথাঃ (ক) মানুষ অন্যায়-অপরাধ থেকে চিরতরে বিরত হয়ে যায়। (খ) তওবাও করা হয়, সাথে সাথে পাপও করা হয়, অবশ্য আল্লাহ ক্ষমা করবেন না, এমন একটা আশঙ্কা মনে  থেকে যায়।

৫. পুনঃ পুনঃ পাপ করা ও পুনঃ তওবা করা ও তার মধ্যে ক্ষমার আশা করা একেবারেই বৃথা।

৬. অপকর্মকারীর মনে ভয় থাকে বেশী। তার আশা খুব কম হওয়াই স্বাভাবিক

৭. সিদ্দিক বা বস্তুর গুণে সমৃদ্ধ ব্যক্তিরা সর্বদা নির্ভীক ও বেপরোয়া।

৯. তুমি যদি সর্বোত্তম লোক হতে চাও, তাহলে সব কিছু ঝেড়ে-মুছে ফেলে একমাত্র আল্লাহর পথ ধরে থাক। এরূপ করতে পারলে দেখবে, তুমি কারও মুখাপেক্ষী নও। কিন্তু সবাই তোমার মুখাপেক্ষী।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে খুবাইক (রঃ)

তাপস লোকের এক উজ্জ্বল জ্যোতিক হলেন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে খুবাইক (রঃ)। ধর্ম সমুদ্রের ডুবুরী আর ঈমান-সমুদ্রের রত্নের সঙ্গে তাঁর তুলনা করা হয়। হযরত আবদুল্লাহ কুপার অধিবাসী ছিলেন। কিন্তু তিনি হযরত ইউসুফ আসবাত (রঃ)-এর সঙ্গে এন্তাকিয়ায় বসবাস করেন। হযরত ইউসুফ আসবাত (রঃ)-এ বহু অনুগামীর সঙ্গেই তাঁর সাক্ষাৎ হয়।

তাঁর অমূল্য উপদেশ মানুষকে সৎ পথে পরিচালিত করে। হযরত শেখ ফতেহ মুসেলী (রঃ)-কে তিনি বলেন, মানুষকে চারটি জিনিস দেওয়া হয়েছে। যথাঃ চোখ, জিব্বা, হৃদয় আর রিপু।

চোখের জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার হল, আল্লাহ যা দেখতে নিষেধ করেছেন, তার দিকে দৃষ্টি না দেওয়া। জিভের কৃতজ্ঞতা হল, পার্থিব কোন বস্তু মুখে তলব না করা। যে এর বিপরীত করবে, সে নিশ্চয় দুর্ভাগ্যের শিকার হবে। আর রিপুর সঙ্গে যার সম্পর্ক, তার অন্তরে পার্থিব লিপ্সা ও কু ইচ্ছা স্থান লাভ করে।

তিনি আরও বলেন;

১. ভয়ার্ত, ব্যক্তিব্যস্ত মানুষ রিপু বাসনাকে পূরণ হতে দেয় না, বরং তাতে বাঁধা সৃষ্টি করে।

২. লোভ-লালসা মুক্ত হয়ে সঙ্কুচিত মন নিয়ে জীবন অতিবাহিত করা পরকালের জন্য সর্বোত্তম পথ।

৩. পরকালে যা কোন উপকারে করে না। এমন বস্তু অর্জন করা সম্পূর্ণ বৃথা। যা দিয়ে জটিলতা দূর হয়, সঙ্কটের অবসান ঘটে, এমন কামনাকেই বলে শুভ কামনা।

৪. মানুষের তিনটি অবস্থা। যথাঃ (ক) মানুষ অন্যায়-অপরাধ থেকে চিরতরে বিরত হয়ে যায়। (খ) তওবাও করা হয়, সাথে সাথে পাপও করা হয়, অবশ্য আল্লাহ ক্ষমা করবেন না, এমন একটা আশঙ্কা মনে  থেকে যায়।

৫. পুনঃ পুনঃ পাপ করা ও পুনঃ তওবা করা ও তার মধ্যে ক্ষমার আশা করা একেবারেই বৃথা।

৬. অপকর্মকারীর মনে ভয় থাকে বেশী। তার আশা খুব কম হওয়াই স্বাভাবিক

৭. সিদ্দিক বা বস্তুর গুণে সমৃদ্ধ ব্যক্তিরা সর্বদা নির্ভীক ও বেপরোয়া।

৯. তুমি যদি সর্বোত্তম লোক হতে চাও, তাহলে সব কিছু ঝেড়ে-মুছে ফেলে একমাত্র আল্লাহর পথ ধরে থাক। এরূপ করতে পারলে দেখবে, তুমি কারও মুখাপেক্ষী নও। কিন্তু সবাই তোমার মুখাপেক্ষী।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া