হযরত আদম (আঃ) – এর সৃষ্টির কাহিনী-৪র্থ পর্ব
হযরত আদম (আঃ) এর কাহিনী-এর প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
অতঃপর রুহকে আদম (আঃ)-এর শরীরে প্রবৃষ্ট হতে বলা হয় । সে বলল, হে রাব্বুল আলামিন, আমি আদম (আঃ) এর রুহ নুরের তৈরি আর এ শরীরটা মাটির তৈরি এর মধ্যে আমি কিভাবে থাকব । আল্লাহ বললেন, নূরে মোহাম্মাদীর উজ্জ্বলতায় এ মাটির শরীর ও উহার রক্ত মাংস সব কিছু নূরে পরিণত হবে । এরপর আদম (আঃ) এর মাথার উপর রেখে দেওয়া হল । তখন তাঁর মস্তিষ্ক ও জ্ঞানবুদ্ধির বিকাশ ঘটল । অতপর জিব্রাইলকে বলা তাঁর শরীরের সব কার্যক্রম গুলোকে বিন্যাস করে দাও । তখন জিবরাইল (আঃ) তাঁর শিরা, উপশিরা, হৃদপিণ্ড, ফুসফুস ও ধমনীর কার্যগুলো এক এক করে পরিচালনা করে দিলেন । হযরত আদম (আঃ) তাঁর শরীরের সব ক্রিয়া সঞ্চালিত ও অঙ্গের কার্জকারিতা পরিপূর্ণভাবে লাভ করতে পেরে সম্মুখে হাঁটার চেষ্টা করলেন, ফেরেস্তারা তাকে বাঁধা দিলেন । তাঁরা বললেন, তোমার শরীর এখন পর্যন্ত নরম । অতএব ক্ষণিক বিশ্রাম কর । শরীরটা ঠিক হলে যথা ইচ্ছা গমন করতে পারবে ।
হযরত আদম (আঃ) শরীরের পরিপূর্ণতা লাভ করে প্রথমে একটি হাচি দিলেন এবং পাঠ করলেন, “আলহামদুলিল্লাহ্” এটিই হযরত আদম (আঃ) -এর জীবনের প্রথম বাক্য । আল্লাহ তায়ালা এ সময় বললেন “ইয়ার হামুকুমুল্লাহ” । পরবর্তী সময় মুসলমানদের জন্য হাচির পরে আলহামদুলিল্লাহ্ বলা এবং শ্রোতাদের ইয়ার হামুকুমুল্লাহ বলা সুন্নাত হিসেবে গণ্য হয় ।
হযরত আদম (আঃ) -এর জীবন লাভ করার অনুষ্ঠানে জমিন আসমানের সকল ফেরেস্তা হর্ষোৎফুল্ল মনে হাজির ছিলেন । আজাজিলকে সেখানে ডাকা হল । হযরত আদম (আঃ) নিজ অস্তিত্ব লাভের শুকরিয়া হিসেবে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলেন । ফেরেশতাগণের সকলেই আদম (আঃ) -এর সাথে নামাজ আদায় করলেন ।
সূত্রঃ কুরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী
হযরত আদম (আঃ) এর কাহিনী-এর পূর্বের পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন