হযরত আদম(আঃ) এর পার্থিব জীবন-৭ম পর্ব

হযরত আদম(আঃ) এর পার্থিব জীবন-৬ষ্ঠ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

কথিত আছে হযরত আদম (আঃ) যখন পৃথিবীতে অবতরণ করেন, তখন যে স্থানে তিনি প্রথম পা রাখেন সেখানের মাটিগুলো টগবগ করে ফুটে উঠে এবং ঘুরতে থাকে। এ দৃশ্য দেখে শয়তান ভাবল এ মাটি দ্বারা বিরাট উদ্দেশ্য সাধন করা যাবে। তখন সে সেখান থেকে এক মুষ্টি মাটি নিয়ে গভীর সমুদ্রের মাঝে এক পর্বতমালার উপর রেখে দেয়। বাকি ঘূর্ণায়মান মাটি একটি গর্তের আকার ধারণ করে ভূ-গর্ভে চলে যায়। ভূ-গর্ভে চলে যাওয়া এ মাটি হতে নাকি পৃথিবীর খনিজ দ্রব্যের সৃষ্টি হয়। এ যাবত শতাধিক রকমের খনিজ দ্রব্য মানুষের কল্যানে ব্যবহারিত হচ্ছে। এগুলো সবই হযরত আদম (আঃ)-এর কদম মোবারকের বরকতে সৃষ্টি বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। দ্বিতীয়ত যে মাটি  শয়তান পর্বত চূড়ায় রেখে দিয়েছিল তা দ্বারা পৃথিবীতে যাদু বিদ্যার প্রচলন হয়। যা আজ পর্যন্ত মানুষের অকল্যাণের ক্ষেত্রে ব্যবহারিত হয়ে আসছে।

হযরত আদম (আঃ)-এর জামানায় আইয়ামে রিয়াজের রোজা ফরজ ছিল। (প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখকে আইয়ামে রিয়াজ বলা হয়) হযরত শীশ (আঃ) নবুয়াতী লাভ করার পরে আইয়ামে রিয়াজের রোজার এফতারী আল্লাহ তায়ালা হযরত আদম (আঃ) ও তাঁর সন্তানদের জন্য ফেরেস্তা মারফত বেহেস্ত থেকে প্রেরণ করতেন। এটা ছিল নূরে মোহাম্মাদীর বরকত।

একদা হযরত শীশ (আঃ) যখন দেখলেন তাঁর পিতা হযরত আদম (আঃ) অতি সাধারণ ভাবে সন্তানদেরকে নিয়ে এফতার করেন। যা সংগ্রহ করাও ছিল খুব কষ্টকর। তখন তিনি আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করে বলেন, হে পরম করুণাময়! তোমার নিকট খাদ্য, সম্পদ, অর্থ কোন কিছুর অভাব নেই। এমতাবস্থায় নূরে মোহাম্মাদীর বহনকারী ব্যক্তিত্ব, হযরত আদম (আঃ) খাদ্যের অভাবে যথেষ্ট দুরআবস্থায় কাটাচ্ছে। এ ব্যপারে তোমার রহমত কামনা করি। হযরত শীশ (আঃ) -এর দোয়ার পর হতে তিন দিন এফতারির নামে বহু রকম খাদ্য খাদক বেহেস্ত হতে আসতে থাকে। সে খাদ্য ছিল এত পর্যাপ্ত যা দশদিন যাবত সকলে খাবার পরেও উদ্বৃত্ত থাকত। হযরত আদম (আঃ) শেষ বয়সে আল্লাহ তায়ালা আরো অনেক অনুদান লাভ করেছেন, যার সংখ্যা নির্ণয় করা কঠিন।

সূত্রঃ কুরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী

হযরত আদম(আঃ) এর পার্থিব জীবন-১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।