হজরত ঈসা (আঃ)- এর আর্বিভাব-পর্ব ৬

হজরত ঈসা (আঃ)- এর আর্বিভাব-পর্ব ৫ পড়তে এখানে ক্লিক করুন  

অনেক দূর অতিক্রম করার পরে নবী এক জেলে পাড়ায় গিয়ে উপস্থিত হলেন। তিনি সেখানে মানুষের দ্বিনের দাওয়াত দিতে আরম্ভ করলেন। জেলেরা বলল, হুজুর! আপনি আল্লাহর নবী আমরা স্বীকার করি, তবে নবী হিসাবে আপনার নিকট আমরা কিছু অলৌকিক কিছু মো’জেযা দেখতে চাই। নবী বললেন,হ্যাঁ, আল্লাহ তায়ালা আমাকে অলৌকিক কিছু ক্ষমতা দান করেছেন তা তোমাদের দেখাব। আমি মাটি দিয়ে পাখি তৈরি করে ফু দিলে তা জীবিত হয়ে উড়ে যাবে। আমি জন্ম অন্ধকে ও কুষ্ঠরোগীকে ভাল করতে পারি।

তোমারা কি খাবার খেয়ে এসেছ এবং বাড়িতে কি রেখে এসেছ তা আমি বলে দিতে পারি।  সর্বপরি আমি মৃতকে জীবিত করতে পারি। এ কথা বলে নবী দু’একটি উদাহরণ সঙ্গে সঙ্গে তাদের কে দেখিয়ে দিলেন। এর পরে তারা বলল, আমরা আপনার কিকট কিছু বেহেস্তের খাবার খেতে চাই। নবী তাদের আবদারে  কথা শুনে আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন। তখন আল্লাহ তায়াল খাঞ্জা ভরে তাদের জন্য খাবার পাঠলেন।  তাঁর মধ্যে ছিল মাজা মাছ, রুটি, তরকারি, লবন, আনার, খোরমা, জলপাই, ও আরো অনেক খাদ্য।  আল্লাহ প্রদত্ত আসমানি খাবারের কথা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ল। তখন দলে দলে মানুষ তা দেখার জন্য সমবেত হল।  কতিপয় লোক নবীর নিকট বলল, হে আল্লাহর নবী! আপনি দোয়া করে ভাজা মাছকে জীবিত করে আপনার অলৌকিক ক্ষমতা আমাদেরকে প্রদর্শন করুন। 

যাতে আপনার প্রতি আমাদের আস্থা আরো দৃঢ় হয়। নবী তখন দোয়া করলেন  অমনি, ভাজা মাছ জীবিত হয়ে বিরাট আকার ধারণ করল এবং এমন জোরে লাফাতে আরম্ভ করল তাতে মানুষেরা ভীত হয়ে পড়ল। কথিত  আছে মাছের আঘাতে সেখানে সতের জন মানুষ মৃত্যুমুখে পতিত হয়। তখন সকল মানুষ চিৎকার দিয়ে মাছটিকে ভাজা মাছে রূপান্তরের জন্য নবীর নিকট আবেদন করে। নবী তখন দোয়া করেন, তখন মাছটি পুনরায় ভাজা মাছে পরিণীত হয়।

হজরত ঈসা (আঃ)- এর আর্বিভাব-শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন  

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।